আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

দৌলতখানে জেলেকে পিটিয়ে হত্যা, নারী আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
পরান আহসান, ভোলা

Image

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোলার দৌলতখান উপজেলার  রতন মাঝি (৫০) নামে এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার (২৪ মে) রাতে ১০টার দিকে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদকের মৃত্যু

পুলিশ সুত্র জানায়, বিকেলের দিকে চরপাতা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায় দুই পরিবারের বাচ্চারা খেলাধুলা করছে। সেখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এরপর বিষয়টি স্থানীয়রা কিছুটা নিষ্পত্তি করে দিলেও রাতে বেড়িবাধের সেই হাতাহাতির ঘটনায় জড়িত এক শিশুর বাবা রতনকে প্রতিপক্ষ নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে তুলে নিয়ে যা একটি অন্ধকার ঘরে। সেখানে তাকে আটকে রেখে চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। নির্যাতনের একপর্যায়ে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দৌলতখান থানা পুলিশ। সেখান থেকে তারা নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিপক্ষ এক নারীকেও আটক করে। এদিকে আজ (২৫ মে) বৃহস্পতিবার ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে শুরু হলো উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এর আগে জেলেকে পিটিয়ে হত্যা করার বিষয়টিকে নির্বাচনের ইস্যু হিসেবে দাঁড়া করানোর জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে।

আরও পড়ুন: শেরপুর চায়না জালের বিরুদ্ধে অভিযান

তবে এই ঘটনার সাথে চরপাতা ইউনিয়নের নির্বাচন কিংবা রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা নেই এমনটি নিশ্চিত করে বলে দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাকির হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখান থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে। এমনকি এ ঘটনার মূল হোতা অর্থাৎ প্রধান আসামি হিসেবে এক নারীকেও আটক করা হয় বলে জানান তিনি।


আরও খবর



কোথাও বলিনি পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলব না: তামিম

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার শেষ দিন ২৮ সেপ্টেম্বর। এ সময়ের দুই দিন আগেই দল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে সবচেয়ে বড় চমক তামিম ইকবালের জায়গা না পাওয়া। নির্বাচকদের ব্যাখ্যা চোটের কারণে এ অভিজ্ঞ ওপেনারকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেওয়া হয়নি।

এ বিষয় নিয়ে দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল ফেসবুকের এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচের বেশি খেলব না এমন কথা আমি কখনো বলিনি। এমনকি জাতীয় দলের নির্বাচকরা বলেছেন আমি আনফিট। কিন্তু ফিজিও রিপোর্টে খেলার জন্য আমার কোনো বাধা ছিল না।

ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন-আমাকে নিয়ে মিডিয়াতে যা লেখা হয়েছে আর যা ঘটছে তা পুরোপুরি উল্টো। আমি পুরো বিষয়টি আপনাদের জানাতে চাই। আমার কাছে মনে হয় আমার ফ্যান এবং ক্রিকেট লাভার সবার বিষয়টি জানা উচিত।

আমি অবসরে যাওয়ার পেছনেও একটা কারণ ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলায় আমি ফিরে এসেছি। আমি নিজেকে ফিট করার জন্য বোর্ডের চাহিদা মতো সব কিছু করেছি।

চোট থেকে ফিরে আমি প্রথম ম্যাচে ৩০-৩৫ ওভার ফিল্ডিং করেছি। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছি, তখন চেষ্টা করেছি রান করার এবং আমি নিজে কেমন খেলি সেটা আমার নিজেরও দেখা দরকার ছিল।

নিউজ ট্যাগ: তামিম ইকবাল

আরও খবর



এবার জেলেনস্কিকে যে প্রতিশ্রুতি দিলেন বাইডেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় যুদ্ধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মুখোমুখি আলাপ হয় এ দুই নেতার।

গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে কিয়েভকে আরও ১২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এ ছাড়া কংগ্রেস থেকে আরও সহায়তারও ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নতুন নিরাপত্তা সহায়তার প্যাকেজের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অস্ত্র সরবরাহ করবে। 

আরও পড়ুন>> নিউজিল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে হোয়াইটে হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বাইডেন বলেন, কোনো জাতি, কোনো দখলদার প্রতিবেশীর ভূখণ্ড জোর করে দখল করতে যেন না পারে তা নিশ্চিত করতে আমরা আছি। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ কখনো সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যাবে না।

বাইডেন আশ্বস্ত করে তিনি আরও বলেন, এ কারণে ইউক্রেনের ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে আমরা আমাদের অংশীদার এবং মিত্ররা প্রতিনিয়ত দেশটিকে নিরাপত্তা সহায়তা দিয়ে যাবে। 

আরও পড়ুন>> ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ৪ ফিলিস্তিনি নিহত

শুধু তাই নয়, রাশিয়ার আগ্রাসন শিকার লাখ লাখ অসহায় বেসামরিক মানুষকে মানবিক সহায়তা দেবে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণের অভিযোগ তুলে বাইডেন বলেন, তারা আপনার সন্তানের সঙ্গে যা করেছে তা শুধুই অপরাধমূলক কাজ। 


আরও খবর



ঐতিহ্য হারাচ্ছে ঈশ্বরদীর মৃৎশিল্প

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

প্লস্টিক তৈরির সামগ্রীর দাপটে পাবনার ঈশ্বরদীর মাটির তৈরি সামগ্রী কারিগর বা মৃৎশিল্পীদের দুর্দিন চলছে। নেই আগের মতো বেঁচা-বিক্রি এবং মাটির তৈরির হাঁড়ি-পাতিল ও খেলনাসহ অন্যান্য সামগ্রী। প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের চাহিদায় প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরী হাঁড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন সামগ্রী।

কিছু দিন আগেও কেবল মাত্র দই এবং ফুলের টব তৈরি করা হলেও এখন মাত্র দইয়ের পাতিল তৈরি করে কোনো রকমে জীবনযুদ্ধে টিকে আছে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের মধ্য পাল পাড়ার একাধিক কুমার। তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এ পেশায় সংযুক্ত না করে নিয়ে যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন পেশায়। এক সময় বিনামূল্যে মাটি পেলেও এখন উচ্চমূল্যে মাটি কিনে এবং অন্যান্য খরচ করে মাটির সামগ্রী তৈরিতে পোষাচ্ছে না তাদের।

সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া মধ্য পাল পাড়ার সাধন পাল জানান, মূলত এই ব্যবসাটা আগে ছিল এখন আগের মতো আর নেই তারা বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনো কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারি সহযোগিতা না পেলে এটা আগামী দিনে ঐতিহ্যবাহী পেশা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তাদের কোনরকম সংসার চালানোর চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

অপর দিকে উপজেলার মুলাডুলি পালপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার মৃৎশিল্পীগণ এখন শুধু কুয়োর পাঠ তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তারপরও বাপ-দাদার ঐতিহ্যবাহী পৈত্রিক এ পেশা ধরে রাখতে কোনো রকমে টিকে আছে তারা। এক সময় দেশের সর্বত্র মৃৎশিল্পী বা কুমারদের সোনালি দিন ছিলো। বছরজুড়ে থাকত কুমারবাড়ি বা পাল পাড়াতে মাটির হাঁড়ি-পাতিল, খাদা প্লেট, কলসি, জগ, গ্লাস, গো-খাদ্যের চাড়ি, মুড়ি ভাজার পাতিলসহ নানা আসবাবপত্র এবং বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী তৈরির জমজমাট কর্মযজ্ঞ। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির তৈরি কুমার বা পালদের তৈরি হাঁড়ি-পাতিলসহ নানা সামগ্রী।

কিন্তু বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে প্লাস্টিক সামগ্রীর কারণে মাটির তৈরির হাঁড়ি-পাতিলসহ অন্যান্য মাটির সামগ্রীর কদর কমে আসে। ৩-৪ বছর আগেও কেবল মাত্র মিষ্টি ও দই এবং ফুলের টবের কিছুটা চাহিদা ছিল। হাজার বছরের ঐতিহ্য বহণকারী মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমতে থাকায় প্রাচীনকাল থেকে বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে।

মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা আগের মত না থাকায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়ার পথে ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্প। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের রুচির পরিবর্তনের ফলে মাটির তৈরি সামগ্রীর স্থান দখল করে নিয়েছে দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র। আধুনিক জিনিসপত্রের ভিড়ে মাটির দাম বৃদ্ধিসহ নানা সংকট এ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে বলে জানান মৃৎশিল্পীরা।


আরও খবর



বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঠাকুরগাঁওয়ে আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক, ঠাকুরগাঁও

Image

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঠাকুরগাঁওয়ে দেশের অন্যতম শীর্ষ পত্রিকা আজকের দর্পণ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) শহরের আমতলা ঠাকুরগাঁও গণমাধ্যমকর্মী কল্যাণ ট্রাষ্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আজকের দর্পণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: বেলায়েত হোসেন।

অনুষ্ঠানে পত্রিকাটির ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি মো: রেদওয়ানুল হক মিলন'র সভাপতিত্বে 'গেস্ট অব অনার' হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর) আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের উপদেষ্টা, হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ.কে.এম.শামীম ফেরদৌস টগর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও গণমাধ্যমকর্মী কল্যাণ ট্রাষ্টের সভাপতি ও সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মো: জিয়াউর রহমান বকুল, নিউজনেট ডট কমের সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও গণমাধ্যমকর্মী কল্যাণ ট্রাষ্টের মো: আতাউর রহমান, সদস্য ও মুক্তকলম পত্রিকার সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো: হাসিনুর রহমান। আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আজকের দর্পণ পত্রিকা ১০ বছর পদার্পণ করেছে। এই অল্প সময়ে মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে পত্রিকাটি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মিডিয়ার অবদান অপরিসীম। দেশের এই অগ্রযাত্রায় আজকের দর্পণ আমাদের সঙ্গে থেকে দ্যুতি ছড়াবে আশা করি। আজকের দর্পণ যেভাবে দেশের উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে, সেই ভাবে সকল মিডিয়ার এগিয়ে আসা উচিত। পত্রিকাটির সাফল্য এবং পাঠক প্রিয়তা বৃদ্ধি কামনা করেন বক্তাগণ।

আলোচনা সভা ও কেক কাটার আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ঠাকুরগাঁও গণমাধ্যমকর্মী কল্যাণ ট্রাষ্টের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় অস্থায়ী কার্যালয়ে এসে সমাপ্ত হয়।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২১২৯

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, আর ঢাকার বাইরে ৮ জন। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ২৫০ জন।

আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৮৯১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার হাসপাতালে ৪ হাজার ১৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ৮৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭১ হাজার ৫০৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯০ হাজার ৪৬১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ৫১ হাজার ২৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬৬ হাজার ৯৪০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৮৪ হাজার ৩৪৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট ৭৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই এত মৃত্যু এর আগে দেখেনি বাংলাদেশ।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়। ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হয় দুজনের। মার্চে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও এপ্রিল ও মে মাসে দুজন করে মারা যায়।

জুন মাসে এসে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারায় ২০৪ জন। আগস্ট মাসে ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়। আর চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ দিনে মারা যায় ১৯৭ জন।


আরও খবর