আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দরিদ্রদের প্রতি ইসলামের সম্মান

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

و اصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم بالغداة و العشي يريد وجهه و لا تعد عيناك عنهم

و اصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم بالغداة و العشي يريد وجهه

و لا تعد عيناك عنهم تريد زينة الحيوة الدنيا

এ অয়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্বোধন করে বলা হচ্ছে, আপনি নিজেকে তাদের সঙ্গে রাখুন যারা সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর সন্তুাষ্টির উদ্দেশ্যে তার উপাসনা করে। কখনো এমন যেন না হয়, আপনার দৃষ্টি তাদের থেকে সরে পার্থিব জীবনের চাকচিক্যের প্রতি নিবদ্ধ হয়, অর্থাৎ আপনি ভাবতে থাকেন-এরা দরিদ্র ও সাধারণ প্রকৃতির লোক। তাদের প্রতি দৃষ্টিপাতের কী প্রয়োজন? আপনি সম্পদশালীদের প্রতি মনোনিবেশ করতে থাকেন।

বন্ধুসুলভ ভর্ৎসনা: 

সমস্ত কোরআনে দুতিনটি স্থান এমন, যেখানে আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামান্য ভর্ৎসনা করে বলেন, আপনার এ কাজ আমার পছন্দ হয় না। তন্মোধ্যে একটি হলো, সূরা আবাসা। যার ঘটনাটি এমন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে মুশরিকদের কতিপয় সরদার এসেছিল।

তিনি ভাবলেন, যেহেতু তারা সরদার যদি তাদের সংশোধন হয়ে যায়, তাদের মাধ্যমে পুরো জাতির সংশোধনের পথ খুলে যাবে। এ কারণে তাদেরকে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দেয়ার অধিক গুরুত্ব তার অন্তরে সৃষ্টি হয়ে যায় এবং তাদের প্রতি নিবিষ্ট হয়ে যান। ইতিমধ্যেই হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম যিনি অন্ধ সাহাবি ছিলেন, যাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীর মুয়াজ্জিন নির্দিষ্ট করেছিলেন, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে এসে কোনো মাসআলা জিজ্ঞেস করেত  লাগলেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাবলেন, এ তো আমার নিজের লোক প্রতিদিন সাক্ষাত হয়, এখন তাকে মাসআলা না বলে পরে বলে দেব। তাই তিনি তাকে বললেন, তুমি একটু অপেক্ষ করো, আমি মুশরিক নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্যস্ত আছি, যেন তাদের ইসলাম গ্রহণের তাওফিক হয়ে যায়। কারণ যদি তারা মুসলমান হয়ে যায়, তাহরে পুরো সম্প্রদায়ের মুসলমান হওয়ার পথ খুলে যাবে।

ব্যস, ঘটনা এতটুকুই। তবে আল্লাহ তায়ালা এর ওরপর সতর্ক করেছেন এবং এই আয়াত নাজিল করেছেন,

عبس و تولى أن جاءه الأعمى

এ আয়াতে রাসূল (সা.)-কে অনুপস্থিত শব্দে সম্বোধন করেছেন। তিনি ভ্রুকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন। কারণ তার কাছে অন্ধ লোকটি এসে পড়েছিল।  যেন এ কাজটি আল্লাহ তায়ালার পছন্দ হয়নি।

و ما يدريك لعله يزكى، أو يذكر فتنفعه الذكرى

তোমার কি জানা আছে? হয়ত সে শুধরে যেত। অথবা উপদেশ গ্রহণ করত এবং উপদেশ দান  তার উপকারে আসত

أما من استغنى، فأنت له تصدى

আর যে ব্যক্তি অগ্রাহ্য করছিল (আগ্রহ নিয়ে আপনার কাছে আসেনি, বরং দ্বীনের প্রতি অনাগ্রহ প্রকাশ করছে) আপনি তার প্রতি মনযোগ দিচ্ছেন আর চিন্তা করছেন,

و ما عليك ألا يزكى

অথচ সে নিজেকে না শোধরালে আপনার ওপর কোনো দায়িত্ব বর্তায় না। (যখন তার ভেতরে কোনো আগ্রহ নেই বরং অনাগ্রহ আছে, আপনাকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে না।)

و أما من جاءك يسعى و هو يخشى فأنت عنه تلهى

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি দৌড়ে তোমার কাছে আসল এবং সে অন্তরে আল্লাহর ভয় পোষণ করে, তার প্রতি তুমি অবজ্ঞা প্রদর্শন করছ!

আগ্রহীকে প্রাধান্য দেয়া চাই:

এতে নবী করিম (সা)-কে বন্ধুসুলভ ভর্ৎসনা করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদ্দেশ্য কখনোই এটা ছিল না-এ দুর্বল লোক আর ও শক্তিশালী। তাই একে উপেক্ষা করে ওর প্রতি মনোনিবেশ করবেন। বরং তার অন্তরে এ কল্যাণকামিতা ছিল, এ তো নিজের লোক, তার সঙ্গে পরেও কথা বলা যাবে, আর তারা দ্বিতীয়বার আসবে কি না জানা নেই।

তাই তাদের কাছে সত্যের বাণী পৌঁছে দেয়া উচিত। তবে আল্লাহ তায়ালা এটা পছন্দ করেননি। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আগ্রহ নিয়ে এসেছে সে অগ্রাধিকার পাবে ওই ব্যক্তির উপর যে আগ্রহ নিয়ে বসেনি এবং উপেক্ষা প্রকাশ করেছে। তার প্রতি মনোনিবেশ করার প্রয়োজন নেই।  বরং যে আগ্রহ নিয়ে এসেছে তার প্রতি মনোনিবেশ করা চাই।

এ আয়াতগুলোতে যদিও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সম্বোধন করা হয়েছে, তবে তার মাধ্যমে পুরো উম্মতকে এ শিক্ষা দেয়া হয়েছে, বাহ্যত সাধারণ কোনো ব্যক্তিকে বাস্তবেই সাধারণ মনে করো না। কারণ জানা নেই আল্লাহ তায়ালার কাছে সে মর্যাদায় কোনো স্তরে আছে। তাই তাকে সম্মান করা চাই।

বেহেশতি ও দোযখীদের আলোচনা: আল্লামা নববী (রহ.) এ প্রসঙ্গে প্রথম এ হাদিস বর্ণনা করেছেন-

عن حارثة وهب رضي الله عنه قال، سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : ألا أخبركم بأهل الجنة؟ كل ضعيف مستضعف لو أقسم على الله لأبره، ألا أخبركم بأهل النار؟ كل عتل جواظ مستكبر.

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে সম্বোধন করে বলেন, তোমাদেরকে বলবো জান্নাতে কারা? এরপর বলেন, প্রত্যেক যে ব্যক্তি দুর্বল এবং মানুষ যাকে দুর্বল মনে করে, হয়ত সে শারীরিক বা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হবে অথবা মর্যাদা হিসেবে দুর্বল হবে, অর্থাৎ দুনিয়াদারদের কাছে তার মর্যাদা কম।

তবে সে আল্লাহ তায়ালার কাছে এত প্রিয় যে, যদি সে আল্লাহর নামে শপথ করে, আল্লাহ তার শপথ পূর্ণ করে দেন। যদি সে শপথ করে বলে, অমুক কাজ এভাবে হবে, আল্লাহ তায়ালা ওই কাজ ওইভাবে করে দেন। কারণ সে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় ব্যক্তি। আল্লাহ তায়ালা তার ভালোবাসার কারণে এরূপই করে দেন।

আল্লাহওয়ালাদের মর্যাদা:

হাদিস শরিফে আছে, একদা দুই নারীর মাঝে ঝগড়া হয়ে গেছে। ঝগড়ায় এক নারী অন্য জনের দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে। ইসলামি আইন অনুযায়ী দাঁতের বদলা দাঁত। যখন এ শাস্তি শোনানো হলো, যে নারীর দাঁত ভাঙ্গার ফয়সালা হলো তার পৃষ্ঠপোষক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি শপথ করে বলছি, তার দাঁত ভাঙ্গবে না।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিদ্ধান্তের ওপর আপত্তি করা তার উদ্দেশ্য ছিল না। শত্রুতাও না। বরং আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা বলে দিয়েছে অবস্থা এমন সৃষ্টি হয়ে যাবে, আল্লাহ চাহে তো তার দাঁত ভাঙ্গবে না। যেহেতু তার অনুভূতি শত্রুতামূলক ছিল না এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিদ্ধান্তের ওপর আপত্তি করা উদ্দেশ্য ছিল না, এ জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথাটি খারাপ মনে করেননি।

যেখানে ইসলামে এ আইন আছে-দাঁতের বদলা দাঁত, চোখের বদলা চোখ, সেখানে ইসলামে এটাও রয়েছে-আক্রান্ত ব্যক্তি বা তার ওয়ারিসগণ যদি ক্ষমা করে দেয় তাহলে কিসাস রহিত হয়ে যাবে। বদলা নেয়ার কোনো প্রয়োজন থাকবে না। আল্লাহ তায়ালার করুণা, যে মহিলার দাঁত ভেঙ্গেছিল সে বলল, আমি মাফ করে দিলাম। তার ক্ষমা করায় কিসাসের অবসান হলো। তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনো কোনো লোক আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় হয়ে থাকে। তাদের বাহ্যিক অবস্থা হলে,  এলামেলো চুল, দুর্বল, কারো দরজায় গেলে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। তবে আল্লাহ তায়ালার কাছে তার এতো সম্মান যে, যদি সে আল্লাহর নামে কোনো শপথ করে বসে, আল্লাহ তার শপথ পূর্ণ করে দেন। এই ব্যক্তিও এমন, সে শপথ করে বলেছিল তার দাঁত ভাঙ্গা হবে না। আল্লাহর তার শপথ পূর্ণ করে দিয়েছেন। ওয়ারিশরা ক্ষমা করে দিয়েছে।

এ হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদিকে ইঙ্গিত করলেন, এমন ব্যক্তি যে দেখতে দুর্বল, মানুষ তাকে দুর্বল মনে করে, তবে খোদাভীতি, আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সম্পর্ক ও আল্লাহর এবাদতের বিচারে সে আল্লাহ তায়ালার এত প্রিয় যদি সে আল্লাহর নামে শপথ করে, আল্লাহ তায়ালা তা পূর্ণ করে দেন। এরূপ লোকই জান্নাতি।

কঠোর স্বভাব ক্ষতিকারক:

এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে বলবো জাহান্নামী কারা? তারপর বললেন,

كل عتل جواظ مستكبر

প্রত্যেক যে ব্যক্তি কঠোর স্বভাবের হয়

এর অর্থ কঠোর স্বভাবের, রুঢ় ব্যক্তি, যে নম্ররতার সঙ্গে কথা বলে না। কঠোরতা ও ক্রোধের সঙ্গে কথা বলে, অন্যকে তুচ্ছ মনে করে। جواظ অর্থ চড়া মেজাজ, যার ললাটে সর্বদা ভাঁজ পড়ে থাকে, সাধারণ প্রকৃতির মানুষের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত হয় না। দুর্বল ও নিম্ন শ্রেণির লোাকদের সঙ্গে কথা বলাতে অপমানবোধ করে। সর্বদা আত্মম্ভরী থাকে।

مستكبر অহংকারী, যে নিজেকে বড় মনে করে এবং অন্যকে ছোট মনে করে। এ সকল গুণাবলীর অধিকারীদের ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন জাহান্নামী। কারণ তারাই عتل, جواظمستكبر এবং তারা নিজেকে বড় মনে করে।

দরিদ্র লোক:

একদা মক্কার কাফেররা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলল, আমরা তো আপনার কাছে আসতে ও আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত আছি, তবে সমস্যা হলো আপনার কাছে সর্বদা সাধারণ প্রকৃতির দরিদ্র লোক বসে থাকে। তাদের সঙ্গে বসা আমাদের মর্যাদারপরিপন্থী। তাই আপনি তাদের ও আমাদের আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা করুন। তখন আমরা আপনার কাছে এসে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত আছি।

বাহ্যত এতে কোনো মন্দত্ব ছিল না। তাদের জন্য ভিন্ন সময় নির্দিষ্ট করা হতো, সে সময় তারা দ্বীনের কথাবার্তা শুনতো। হয়ত দ্বীনের কথা শুনলে তাদের সংশোধন হয়ে যাবে। আমরা হলে তো মেনে নিতাম। আল্লাহ তায়ালা তৎক্ষণাত আয়াত অবতীর্ণ করেছেন-

و لا تطرد الذين يدعون ربهم بالغداة و العشي يريدون وجه

তাদেরকে বিতারিত করো না যারা তাদের প্রতিপালককে ডাকে সকাল-সন্ধ্যা তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য

এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করে দিলেন, সত্যের আগ্রহ নিয়ে আসতে চাইলে তাদের সঙ্গে বসতে হবে। আর যদি বসতে না চাও তাহলে আল্লাহ ও তার রাসূল তোমাদের থেকে অমুখাপেক্ষী। তোমাদের জন্য ভিন্ন মজলিসের আয়োজন করা হবে না।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




‘কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কণ্ঠের যেকোনো ধরনের রোগ ও সমস্যার সুচিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)সহ দেশেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. দীন মো. নূরুল হক। তিনি বলেন, কণ্ঠের সমস্যার জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ব কণ্ঠ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারা থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে সি ব্লকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে সি ব্লকের মাল্টিপারপাস হলে একটি সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, ভয়েস বা স্বরযন্ত্রের বা কণ্ঠের যেকোনো ধরনের রোগ ও সমস্যার সুচিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশেই রয়েছে। কণ্ঠের সমস্যার জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভয়েস, কণ্ঠ হলো মহান আল্লাহ প্রদত্ত। কাউকে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে হলেও কথা বলার প্রয়োজন হয়। তাই কণ্ঠের সুরক্ষার জন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনে উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করলে, আবার জন্মগত ত্রুটির কারণেও কণ্ঠের ভয়েস বা স্বর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই ভয়েসের সুরক্ষায় আমাদেরকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কণ্ঠের সুরক্ষার জন্য উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা, ধূমপান, মদপান, অতিরিক্ত গরম ও অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান এবং অতিরিক্ত ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। রাতে ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে আহার সম্পন্ন করা উচিত। শিক্ষকদের ক্লাসে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা উচিত। বাইরে চলাফেরার সময় সবারই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোলজি ডিভিশন প্রধান ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক ডা. এএইচএম জহিরুল হক সাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বুয়েট শিক্ষার্থী রাব্বীকে সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলে সিট ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ইমতিয়াজের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ এ রিট দায়ের করেছেন।বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



শিশুদের নিডো-সেরেলাকে বাড়তি চিনি মেশাচ্ছে নেসলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাকে বাড়তি চিনি পাওয়া গেছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। বাড়তি চিনির এসব পণ্য বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতে সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে- বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, থাইল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতেই এই প্রবণতা বেশি। এসব দেশে নেসলের ব্র্যান্ড নিডো বেশ পরিচিতি। আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, শিশুদের জন্য নিডোর যেসব পণ্য আছে তার সবগুলোতেই বাড়তি চিনি আছে।

যৌথ এ গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের বাজারে নেসলের ৯টি পণ্য চালু আছে। যার প্রতিটিতেই বাড়তি চিনি আছে। গড়ে এসব পণ্য থেকে একটি শিশুকে সাধারণভাবে একবার যে পরিমাণ খাবার খাওয়ানো হয় তাতে বাড়তি চিনির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম।

বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতেও নেসলের শিশুখাদ্য বাড়তি চিনির প্রমাণ মিলেছে। বিপরীতে, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে এসব পণ্যে বাড়তি চিনির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ষষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবির এ আদেশ দেন। আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মিয়া হোসেন বলেন, আজ আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিরা উপস্থিত না থাকায় আদালত অভিযোগ গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তী তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী। বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন। আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ওই বছরের ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী বরাবর ইস্যু করেন। ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়।

পরবর্তীতে বাদী আসামিদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী বাধ্য হয়ে ২০২২ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেন।


আরও খবর



গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’: হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলি অবরোধের কারণে ত্রাণবাহিনী ট্রাকের প্রবেশে বাধা ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলে আরও সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় দুর্ভিক্ষের চরম ঝুঁকি রয়েছে। উত্তর গাজায় এর ঝুঁকি ও উপস্থিতি উভয়ই রয়েছে। সম্ভবত অন্তত কিছু অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ রয়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। যদিও গাজায় দুর্ভিক্ষ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছে ইউএসএআইডি। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়ের গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে মার্কিন মূল্যায়নের ওপর ব্রিফিং করেছেন। এর আগে ইউএসএআইডি প্রধান সামান্থা পাওয়ার বলেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে বলে মূল্যায়ন করাটা বিশ্বাসযোগ্য

জ্যঁ-পিয়েরে পাওয়ারের মন্তব্য সরাসরি সম্বোধন করেননি। কিন্তু তিনি বারবার বলেছেন, গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি আসন্ন। তার এই বক্তব্য পাওয়ারের মূল্যায়নকে লঘু করে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, আমরা গাজায় মানবিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় সাহায্য বহনকারী ট্রাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

তিনি বলেছেন, আমরা জানি গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তাই আমরা অবশ্যই এই ধরনের প্রতিবেদনগুলো নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গাজায় সেই সাহায্য আরও বেশি বেশি করে পাঠাতে আমরা চব্বিশ ঘণ্টা, চব্বিশ ঘণ্টাই কাজ করে যাচ্ছি। গাজায় সাহায্যের প্রবাহ আরও বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকবে

এদিকে গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে। ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার (১০ এপ্রিল) আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।


আরও খবর