আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

দরপত্রের চুক্তি অনুযায়ী সময় পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি অধিকাংশ কাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:

বগুড়া শেরপুর পৌরসভার সাড়ে ৮ কোটি টাকার দরপত্রের চুক্তি অনুযায়ী সময় পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি অধিকাংশ কাজ। প্রথম দফায় কাজের সময় বৃদ্ধি করার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন মঞ্জুর না হলে প্রকল্পই বাতিল হওয়ার আশঙ্কা করছেন বগুড়ার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী। এত দিনে জানা গেল, উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ার কারণেই এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ সরকার ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) অর্থায়নে ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় বগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় চলমান কাজের খোঁজ নিতে গেলে বেরিয়ে আসে এই তথ্য।

অফিস সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের অধীনে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার প্যাকেজে ৫টি পাবলিক টয়লেট, ১০টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, ২ দশমিক ৭০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, কাজ শুরু করলেও 

একটি স্ল্যাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা), একটি সলিড ওয়েস্ট কম্পোস্টিং সিস্টেম, ১৯টি কমিউনাল বিন ও একটি সলিড ওয়েস্ট সর্টিং শেড তৈরি করার কথা। জায়গার অভাবে এখনো কাজ শুরু করতে পারে নাই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান

গত জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর গত সেপ্টেম্বরে প্রথম দফায় বৃদ্ধি করা তিন মাসের মেয়াদও শেষ হয়। শুধু ড্রেনের ৭০ শতাংশ, ১৫টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ায় ড্রেন ও কমিউনিটি ল্যাট্রিন ছাড়া বাকি কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমসিএল অ্যান্ড এমআর জয়েন্ট ভেঞ্চার ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছে।

দরপত্র অনুযায়ী, একটি স্ল্যাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, একটি সলিড ওয়েস্ট কম্পোস্টিং সিস্টেম ও একটি সলিড ওয়েস্ট সর্টিং শেড তৈরি করার কথা। এর জন্য প্রকল্পের প্রাক্কলনের সময় পৌরসভা-সংলগ্ন করতোয়া নদীর পাশে দুই একর জায়গা দেখানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী ২০২০ সালে টেন্ডার আহ্বান করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা জানান, জায়গাটি গভীর হওয়ায় সেখানে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ ছাড়া এলাকাটি আবাসিক হওয়ায় পরিবেশ বিভাগের অনুমতিও পাওয়া যায়নি। বিকল্প হিসেবে পৌর শহরের বাইরে হাওয়াখানা এলাকায় আরেকটি জায়গার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সেটিও উপযুক্ত না হওয়ার কাজ করতে রাজি না জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। তবে সময় সাপেক্ষে গাড়িদহ ইউনিয়নের রণবীর বালা এলাকায় ১৭ একর জায়গা কেনার কথা ভাবছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

শেরপুর পৌরসভার নির্বাহ প্রকৌশলী (সিভিল) এস এম শফিকুল ইসলাম (শামীম) আজকের দর্পণ পত্রিকাকে বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে জায়গা কেনার মতো আমাদের টাকা নেই। তাই হাওয়াখানা এলাকার জায়গা বিক্রি করে রণবীর বালা এলাকায় একটি জায়গা কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমসিএল অ্যান্ড এম আর জয়েন্ট ভেঞ্চারের তত্ত্বাবধায়ক হাজি সেলিম রেজা বলেন, পৌরসভার দেখিয়ে দেওয়া জায়গাগুলো বিভিন্নভাবে দখল হয়ে আছে। সেগুলো মুক্ত করার জন্য তাঁরা কোনো দায়িত্ব নিচ্ছেন না।

দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়ে পৌরসভার সচেতন নাগরিকরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নাগরিকেরা সব আধুনিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পৌর কর্তৃপক্ষের এই ধরনের উদাসীনতা আমাদের হতাশ করেছে।

এ বিষয়ে শেরপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর রিপা পারভিন বলেন ড্রেনের ৭০ শতাংশ, ১০টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন তৈরির ৩৫ শতাংশ, কাজ শেষ হয়েছে। একটি স্ল্যাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা), একটি সলিড ওয়েস্ট কম্পোস্টিং সিস্টেম, ১৯টি কমিউনাল বিন ও একটি সলিড ওয়েস্ট সর্টিং শেড তৈরি করার কথা থাকলেও জায়গা না পাওয়াই কাজ শুরু করা যায় নাই।

এ বিষয়ে বগুড়ার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দরপত্র আহ্বানের আগে আমরা জরিপ করেছিলাম। তখন পৌরসভা আমাদেরকে কিছু জায়গা দেখিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এখন তাঁরা উপযুক্ত জায়গা দিতে না পারলে আমাদের করার কিছু থাকবে না।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন সরকারপ্রধান।

পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আবারও শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় সরকারপ্রধানের সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেই সঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ছাড়াও শিশু সমাবেশে অংশ নেবেন তারা।

অন্যদিকে, জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে (৩/৭-এ সেনপাড়া, পবর্তা, মিরপুর-১০) খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় সবুজবাগ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার ও সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

এছাড়াও আগামীকাল সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে দলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন।


আরও খবর



পাঁচ লাখ শূন্য পদে নিয়োগ দেবে সরকার, ব্যবস্থা নিতে চিঠি

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৩৩৩টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পর এসব পদে নিয়োগ দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনে মোট অনুমোদিত ১৯ লাখ ১৫১টি পদের বিপরীতে কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন। খালি পদ রয়েছে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৩৩৩টি। মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পর্যায়ে ২১ হাজার ৭০৯টি পদের মধ্যে খালি রয়েছে ছয় হাজার ৮২১টি। সংস্থা ও অধিদফতর পর্যায়ে ১৪ লাখ ২২ হাজার ৮২৮টি পদের মধ্যে খালি রয়েছে তিন লাখ ২৫ হাজার ৩৩৬টি। বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক অফিসে ৪০ হাজার ২৭৩টি পদের মধ্যে খালি রয়েছে ১৩ হাজার ৩৫৭টি। বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনে মোট খালি পদ এক লাখ ৫৭ হাজার ৮১৯টি। এখানে মোট পদের সংখ্যা চার লাখ ১৫ হাজার ৩৪১টি।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) দুই লাখ ৪৪ হাজার ৯৬টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৭৯ হাজার ৫১৪ জন। খালি পদ ৬৪ হাজার ৫৮২টি।

দশম থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) দুই লাখ ৯১ হাজার ১১১টি পদের বিপরীতে আছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৪ জন। খালি পদ ৯৭ হাজার ৪৪৭টি।

১৩ম থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) সাত লাখ ৯৫ হাজার ৪০টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ছয় লাখ তিন হাজার ৪৩৩ জন। খালি রয়েছে এক লাখ ৯১ হাজার ৬০৭টি পদ।

১৭তম থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) পাঁচ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬৯টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন চার লাখ ১৫ হাজার ১০৪ জন। খালি রয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৩৬৫টি পদ।

সরকারি বিভিন্ন দফতরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১১ হাজার ৪৩৫টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন পাঁচ হাজার ১০৩ জন। খালি রয়েছে ছয় হাজার ৩৩২টি পদ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি যেসব শূন্যপদ আছে, সেগুলোতে নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম জানান, যেসব মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদ আছে, তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সেগুলো দ্রুত পূরণের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। এ নির্দেশনা যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগে শূন্য পদ আছে, তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে। স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়, স্ব-স্ব বিভাগ, সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো যাতে দ্রুত খালি পদগুলো পূরণ করতে পারে সে নির্দেশনা তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সম্প্রতি জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, সরকারের শূন্য পদ পূরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। শূন্য পদ পূরণে সুনির্দিষ্ট বিধিমোতাবেক পদ পূরণের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ এবং এর অধীন দফতর-সংস্থাগুলোর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মকমিশনের মাধ্যমে নবম (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) ও ১০ থেকে ১২তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) শূন্য পদে জনবল নিয়োগ হয়ে থাকে।


আরও খবর



মস্কোয় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত বেড়ে ৯৩, আটক ১১

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর একটি কনসার্ট হলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) রুশ তদন্ত কমিটি এই জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

সাংবাদিক ইউলিয়া শাপোভালোভা আলজাজিরাকে বলেছেন, এই ঘটনায় আট শিশুসহ অন্তত ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর কাছে ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায় বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে ক্রোকাস সিটি হলে জনপ্রিয় রক ব্যান্ড পিকনিকের পারফরমেন্স দেখতে হাজারো মানুষ জড়ো হন। একপর্যায়ে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী অন্তত পাঁচ ছদ্মবেশী বন্দুকধারী ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। গুলির পাশাপাশি তারা বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে সেখানে বড় ধরনের আগুনের সূত্রপাত হয়।

এ ঘটনাকে ভয়াবহ ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করে মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, ক্রোকাস সিটি সেন্টারে ভয়ানক ট্র্যাজেডি ঘটেছে। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমার সমবেদনা। এ ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সকলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

এদিকে হামলার পরপর রাশিয়ায় বিমানবন্দর ও স্টেশনের পাশাপাশি রাজধানী মস্কোজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনো জনসমক্ষে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এটি সন্ত্রাসী হামলা।

রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে জানিয়েছে, এই হামলার পর ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন সরাসরি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের বরাতে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এসব তথ্য জানিয়েছে।


আরও খবর



নির্ধারিত দামে ভোজ্য তেল মিলবে রোববার থেকে

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১ মার্চ থেকে থেকে সরকার নির্ধারিত ১৬৩ টাকা দামে ভোজ্য তেল বিক্রির কথা থাকলেও তা কার্যকর হতে যাচ্ছে রোববার (৩ মার্চ) থেকে।

শনিবার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল (রোববার) থেকে সরকার নির্ধারিত ১৬৩ টাকা লিটার দামে ভোজ্য তেল পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে মিলগুলোতে তেলের মূল্য তদারকিতে মন্ত্রণালয়ের টিম যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তার নাগালে রাখতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলে যোগ করেন।

এসময় চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেয়াজ আমদানির কথাও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাবিষয়ক টাস্কফোর্সের সভায় সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। নতুন দর অনুযায়ী, বোতলজাত প্রতি লিটারে দর ১৬৩ এবং পাঁচ লিটারের দর ৮০০ টাকা হওয়ার কথা। আর খোলা প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম হওয়ার কথা ১৪৯ টাকা। সেদিন সভায় জানানো হয়েছিল, নতুন দর কার্যকর হবে ১ মার্চ থেকে।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে চার নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব পণ্য হলো চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক কমানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।


আরও খবর



২ হাজার কোটি টাকা পাচার : ঢাকা টাইমসের সম্পাদক কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ঢাকা টাইমস পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আরিফুর রহমান ওরফে দোলন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। আজ (মঙ্গলবার) মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এদিন তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ এপ্রিল মামলার চার্জশিট গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

উল্লেখ্য, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে গত ২২ জুন এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরে আদালত মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।

এর আগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছর ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটিতে কিছু অসঙ্গতি দেখতে পাওয়ায় আদালত স্বঃপ্রণোদিত হয়ে সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।

সেই নির্দেশনা মেনে নতুন করে আরও ৩৬ জনকে আসামি করে মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। রুবেল-বরকত ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, তার এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

সম্পূরক চার্জশিটের নতুন আসামিরা হলেন, নিশান মাহমুদ ওরফে শামীম, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদ্দিক, মো. সাইফুল ইসলাম জীবন, অ্যাডভোকেট অনিমেশ রায়, শামসুল আলম চৌধুরী, দীপক কুমার মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী, সত্যজিৎ মুখার্জি, মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে মজনু, ফকির মো. বেলায়েত হোসেন, গোলাম মো. নাছিম, মো. জামাল আহমেদ ওরফে জামাল, বেলায়েত হোসেন মোল্লা, মো. আফজাল হোসেন খান ওরফে শিপলু, অমিতাব বোস, চৌধুরী মো. হাসান, মো. জাফর ইকবাল ওরফে হারুন মন্ডল, বরকতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার পারভীন, রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরুজ পুনুম, সাহেব সারোয়ার, আমজাদ হোসেন বাবু, স্বপন কুমার পাল,  অ্যাডভোকেট জাহিদ বেপারী, খলিফা জামাল, হাফিজুল হোসেন তপন, রিয়াজ আহমেদ শান্ত,  আনোয়ার হোসেন আবু ফকির, মো. মনিরুজ্জামান মামুন, মাহফুজুর রহমান, সুমন সাহা, মো. আব্দুল জলিল শেখ, মো. রফিক মন্ডল, খন্দকার শাহীন আহমেদ ওরফে পান শাহীন, আফজাল হোসেন খান ও সাংবাদিক মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলন।

উল্লেখ্য, ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।


আরও খবর