আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে ফেনীর পর্যটন স্পটগুলো মুখরিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাজিব মাসুদ, ফেনী

পর্যটকদের উচ্ছ্বাসে প্রাণ ফিরে পেয়েছে ফেনীর বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো। ঈদের দিন বিকাল থেকে নৈসর্গিক সৈন্দর্য্যের লীলা ভূমি খ্যাত সোনাগাজীর কয়েকটি পর্যটন স্পটে হাজার হাজার পর্যটকের পদচরাণায় হয়ে উঠেছে মুখরিত। দক্ষিণা বাতাসে গা এলিয়ে মনের সুখে প্রকৃতির কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। নাচে-গানে, আনন্দ-উল্লাসে প্রকৃতির ভালোবাসায় সিক্ত যেন পর্যটকের দল। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটে আসছেন সব বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরেরা। বেশ জমে উঠেছে পর্যটন স্পটগুলো।

দুপুরের প্রচণ্ড দাপদাহ আর বিকালের নির্মল বাতাসে পর্যটকদের যেন প্রাণ জুড়িয়ে আসে। প্রচণ্ড গরমে কেউ কেউ লেবুর শরবত পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন। কেউ কেউ নদীর পানিতে সাঁতার কাটছেন। আবার কেউ কেউ নৌকা ভাড়া করে নদীর এপার-ওপার পাড়ি দিচ্ছেন। কিশোর, তরুণ ও যুবকরা ফুটবল খেলছেন দলে দলে। কেউবা আবার মনের সুখে গান ধরছেন একা একা। ক্ষণে ক্ষণে আবার কিশোরদের হৈ হুল্লোড় পর্যটকদের মনে ভীতির সঞ্চার করলেও পর্যটকদের নিরাপত্তায় পালা করে নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।

ফলে পর্যটন স্পটগুলোতে কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া পর্যটকরা নির্বিঘ্নে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছে। আর পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ায় ঈদের ছুটিতে সোনাগাজীর পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের তিল ধারণের ঠাই নেই।ঈদের দিন বিকাল থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে পর্যটন স্পটগুলোতে। সোমবার  ঈদের তৃতীয় দিনেও সে ভিড় অব্যাহত ছিল।

পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে সোনাগাজীর মুহুরী প্রজেক্ট একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমাচ্ছেন। এখানে মুহুরী সেচ প্রকল্পের ৪০ জলকপাট, বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মৎস্য ঘের, জোয়ার-ভাটার পানি এবং ফেনী নদীর দু'কূল বেয়ে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতেই ছুটে আসছেন পর্যটকরা। দেশের সর্ববৃহৎ নির্মাণাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল 'বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর'। এখানে গড়ে উঠছে অসংখ্য শিল্প কারখানা। নয়নাভিরাম এই শিল্পাঞ্চল দেখতে ছুটে আসছেন দেশী-বিদেশী পর্যটকদের দল। ছোট ফেনী নদীর উপকণ্ঠে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় নির্মাণ করা হয়েছে মুছাপুর ক্লোজার। অর্থাৎ বন্যা ও জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। গড়ে তোলা হয়েছে কৃত্রিম লেক। রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ঝাউবাগান। জেগে ওঠেছে সবুজ ঘাসের চর। সবুজ ঘাসে বসে গল্পে মাতোয়ারা বন্ধুরা। নদীতে জোয়ার-ভাটার দৃশ্য, লেকে নৌকা-ট্রলার ও  স্পিডবোট নিয়ে পর্যটকদের আনন্দ উল্লাস চোখে পড়ার মতো। ছোট নদীর উপরে সাহেবের ঘাট নির্মাণের ফলে ফেনীর সোনাগাজী ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জবাসীর মাঝে রচিত হয়েছে সেতুবন্ধন। 

একসময়ের এ খরস্রোতা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে ভেসে যাওয়া বহু প্রাণ আজও ফিরে আসেনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই নদীতে ২.৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ সেতুটি নির্মাণের ফলে নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে প্রকৃতির এক লীলা ভূমি। নদীতে চলছে সারিরি সারি নৌকা। সেতুতে ও তার আশাপাশের কাশবনে কেউবা ছবি তুলছে গ্রুপ করে আবার কেউ তুলছে নিজস্বী (সেলফি)। কেউ আবার নানা অঙ্গভঙ্গির আনন্দে মাতোয়ারা। নির্মল বাতাসে প্রশান্তির সিঁড়িতে বসে প্রিয়জনদের সাথে কেউ কেউ গল্পে মেতেছেন ঘন্টার পর ঘন্টা। সবাইকে যেন প্রকৃতির এই সৌন্দর্য হাতছানি দিয়ে ডাকছে। প্রকৃতির ডাকে যে সকল পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছেন তারা যেন আনন্দে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাচ্ছেন। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যায়ও যেন তারা ঘরে ফিরতে নারাজ। রাত ১০টা অবদি চলছে পর্যটকদের প্রাণের উচ্ছ্বাস।

উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের স্বরাজপুর গ্রামের প্রবাসী সাখাওয়াত উল্লাহ আরিফ বন্ধুদের নিয়ে ছুটে গেছেন উপজেলার তিনটি পর্যটন স্পটে। পর্যটকদের ভিড়ে যেমনি তিনি বিমোহিত, তেমনি প্রকৃতির টানে তিনি যেন প্রকৃতির সাথেই মিলিয়ে যান। নির্মল বাতাস আর প্রকৃতির ভালোবাসা তাকে বাড়িতে থাকতেই যেন দিচ্ছেনা। রাত পোহালেই ছুটে যান এসব পর্যটন স্পটে।তিনি বলেন, অপার সম্ভাবনাময় সোনাগাজীতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পর্যটন কেন্দ্র বা বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠলে একদিকে সরকারের যেমন রাজস্ব আয় বাড়বে, অন্যদিকে পর্যটক বা বিনোদন প্রেমিদের নজর কাটবে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি খালেদ হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে পর্যটন কেন্দ্র সমুহে পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে আনন্দ উপদযাপন করতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিশেষ করে নারীদের যৌনহয়রানী রোধে পুলিশের বিশেষ টিম মোতায়েন করা হয়।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, পর্যটন স্পটগুলো ঢেলে সাজাতে ও বিনোদন প্রেমিদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে আরও প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এছাড়া ফেনী শহরের কাজিরবাগস্থ ইকোপার্ক ও রাজাঝি দিঘীস্থ শিশুপার্ক এবং বিজয় সিংহ দিঘী ও ছাগলনাইয়ার বাশেরকেল্লায় ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড় দেখা দিছে।

নিউজ ট্যাগ: সোনাগাজী ফেনী

আরও খবর



তীব্র গরমে ঢাবিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে।

আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছি যে, সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ)-এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রচলিত ১০% অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শতভাগ অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরীক্ষাসমূহ চলমান থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিম্নোক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সাথে চলাফেরার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা; প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল যেমন- খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা, তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন- চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।


আরও খবর



দুই মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকেই দেখা দিয়েছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। এতে ঈদে ঘরমুখো হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিন দুপুরে ছুটি পেয়ে গাজীপুর থেকে লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক ঈদযাত্রায় শামিল হয়েছেন। এত এত যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। পরিবহন সংকটে পড়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ ও ড্রাম্প ট্রাকে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকে।

গাজীপুর ছাড়াও গাবতলী, আশুলিয়া, বাইপাল, সাভার ও নবীনগর এলাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো চন্দ্রা এলাকা পার হয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি বাড়তে থাকলে ভুগতে হবে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের।

অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে স্বল্প দূরত্বের চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও পিকআপ। এসব পরিবহনগুলো দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে ইচ্ছে মতো ভাড়া হাঁকিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আজ দুপুর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

তিনি বলেন, যাত্রী উঠানামা করাতে গাড়িগুলো দাঁড়াচ্ছে, এতে সামান্য সময়ের জন্য যানজটের তৈরি হচ্ছে। গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পর মুহূর্তেই আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে যানজট কমাতে পুলিশ কাজ করছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত এই পথে গাজীপুর অংশে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



দেশের সব আদালতে চালু হচ্ছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উচ্চ আদালতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হত। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়। উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (১ মে) দুপুরে সিলেটে আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তিনি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে সিলেটে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চান তিনি।


আরও খবর



৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আবেদন শুরু, যেভাবে করবেন আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সম্প্রতি। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এদের মধ্য স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬ পদে এবং মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

বুধবার দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু হবে। আবেদন গ্রহণ চলবে আগামী ৯ মে পর্যন্ত। ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দিতে পারবেন আবেদনকারীরা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনকারীকে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবল তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে চূড়ান্ত সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আবেদনকারীর বয়স-

আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২৪এ ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পছন্দক্রম দিতে পারবেন আবেদনকারী।

প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে পারবেন। পছন্দ প্রদানের পর কোনো প্রার্থী যদি তার পছন্দ-বহির্ভূত দেশের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন, তবে তাকে e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামের বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হন, তবে No Click করতে হবে। প্রতিষ্ঠান choice প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে এনটিআরসিএ।

যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তী সময়/ ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব পদে পরবর্তী সময়/ ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করা যাবে না।

কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন, তবে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না।

আবেদন ফি-

সব আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত ১০০০ (এক হাজার) টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।

তবে একবার সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর দেশের কোনো স্কুলে কর্মরতদের (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) সমপদে আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে স্কুল পর্যায়ে যদি কোনো নিবন্ধন সনদধারী (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) প্রাপ্ত প্রার্থীর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কলেজ পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন।

বিপরীতক্রমে কলেজ পর্যায়ে নিবন্ধন সনদধারী এমপিওভুক্ত প্রার্থীর যদি স্কুল পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি স্কুল পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তার নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত স্কুল পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হলে আগের প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

যেভাবে আবেদন করা যাবে

অনলাইনে আবেদন ফি দেওয়া সংক্রান্ত নিয়ম টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে এবং এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আবেদন এবং ফি দেওয়ার নিয়মের বিষয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল নমুনা (ডেমো) টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন

কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সভা শেষে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। এর আগে কখনো এত বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিল না।

তিনি জানান, প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবে ও ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে।

সচিব বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসার যেটা বলবেন, সেভাবে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) দায়িত্ব পালন করবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।


আরও খবর