শ্রমিক-কর্মচারীদের
কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের মামলার প্রধান আসামি হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)
মুখোমুখি হন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুদক
থেকে বের হয়ে তিনি বলেন, আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি। আমার আর কিছু বলার নেই।
বৃহস্পতিবার
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইনজীবী এবং গ্রামীণ টেলিকমের দুই কর্মকর্তাসহ দুদক কার্যালয়ে
এসেছিলেন ড. ইউনূস। দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা
বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এটা যেহেতু লিগ্যাল ব্যাপার। এ ব্যাপারে যা বলার তা আইনজীবী বলে দিয়েছেন। আমার কোনো মন্তব্য নেই। গ্রামীণ টেলিকমের ১০৬ কর্মচারী শ্রম আদালতে মামলা করেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছে, কেন তাদের নিট মুনাফার ৫ শতাংশ দেওয়া হবে না।
এ নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নেও মামলা হয়েছিল উল্লেখ করে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই মামলা ট্রেড ইউনিয়ন শ্রম আদালতে গোপন করে হাইকোর্টে এসে একটি মামলা করল।
আরও পড়ুন>> দুদক কার্যালয়ে প্রবেশ করেছেন ড. ইউনূস
গত ৩০মে গ্রামীণ
টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের
অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপপরিচালক
গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা
হলেন— গ্রামীণ
টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক
ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা,
মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
এ ছাড়া অ্যাডভোকেট
মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের
সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল
ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে
বলা হয়েছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক
নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকম বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত
১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ
টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন
এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।