আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত আ. লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

দুই গ্রুপের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল (৫০) মারা গেছেন।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার সময় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

রামেক হাসপাতাল আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথায় গুরুতর জখম হয়েছিল বাবুলের। এ জন্য প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছিল। ঘটনার পর রামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে তার জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপরই তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তবে মাথার যেখানে জখম ছিল সেখানে ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত তাকে আর সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়নি। আজ (বুধবার) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এর আগে গত ২২ জুন রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ান স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মী। এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে বাবুলের অবস্থা ছিল আশংকাজনক। জমির দলিল রেজিস্ট্রির সময় দিনের পর দিন বাড়তি টাকা আদায় করে আসছে বাঘা উপজেলা দলিল লেখক সমিতি। উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ সমর্থন দিয়ে থাকে এই সমিতিকে। আর অন্য একটি অংশ অবস্থান নেয় দলিল লেখক সমিতির এই দৌরাত্ম্যের বিপক্ষে। দলিল লেখক সমিতিকে সমর্থন দেওয়া বা না দেওয়ার দ্বন্দ্বেই গত শনিবার (২২ জুন) সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।

রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের দিন আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বুধবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন বলে খবর পাই। নিহত বাবুলের মরদেহটি এখনও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই আছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া মারামারির ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছিল, সেই মামলাটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: রাজশাহী

আরও খবর



সিন্ডিকেটের ফাঁদে কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারও সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে চামড়ার দাম। সরকার নির্ধারিত ন্যায্য দাম পাননি কেউ। হাতেগোনা কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা সামান্য লাভের মুখ দেখলেও কোরবানির চামড়ায় দায় সারা দরে কিনতে সব আয়োজন করেছেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা।

ফলে গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ঢাকায় ৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৭ টাকা বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (১৯ জুন) সরেজমিনে চামড়া কেনাবেচার স্থানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত লবণযুক্ত চামড়ার দামের অর্ধেক দামেও চামড়া বিক্রি করতে না পেরে লোকসানে হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর এ রকম সিন্ডিকেটের ফাঁদে রংপুরে একদিকে কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার আমদানি। অন্যদিকে ন্যায্য দাম না পেয়ে চামড়া মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

এদিকে, সরকারের বেঁধে দেওয়া চামড়া দাম নির্ধারণ শুধুই কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকায় সিন্ডিকেট বলয় এবারও ভাঙতে পারেননি সাধারণ ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা।

রংপুর নগরীর চামড়া কেনাবেচার সবচেয়ে বৃহৎ এলাকা চামড়াপট্টিতে দেখা গেছে, পুরো চামড়ার বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে নেন আড়তদারসহ বড় বড় ব্যবসায়ীরা। তারা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে তাদের বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে চামড়া বিক্রি হয়নি।

এদিকে সাধারণ মানুষ এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চামড়ার জন্য প্রসিদ্ধ রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর টার্মিনাল রোডের চামড়াপট্টি এলাকার ব্যবসায়ীরাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে এবারও সস্তায় চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। গরুর চামড়ায় দাম মিললেও ছাগলের চামড়া ফ্রি-তে দিতে হয়েছে। চামড়ার দাম কম দিতে নানা অজুহাতের ফাঁদ গল্প শুনতে হয়েছে তাদের।

নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, এবার প্রতি পিস গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫ থেকে ১০ টাকায়। মৌসুমি চামড়া বিক্রেতারা জানিয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া কিনে আনার পর আড়তদারদের কাছে চামড়ার ন্যায্য দাম পাওয়া যায়নি। এতে করে হতাশ তারা।

রাশেদুন্নবী জুয়েল নামের একজন জানান, তাদের গরুর দাম ছিল ১ লাখ বিশ হাজার টাকা। কিন্তু সেই গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ৪০০ টাকায়। প্রায় চার ঘণ্টা ছিলাম। কোনো ক্রেতাই এর থেকে দাম বেশি বলেনি। উপায় না থাকায় কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। এতে করে আমার ক্ষতি না হলেও সাধারণ গরীব-মিসকিনেরতো ঠিকই ক্ষতি হচ্ছে। কারণ কোরবানির পশুর চামড়ার টাকায় তো তাদের হক রয়েছে।

চামড়া নিয়ে আসা মৌসুমি ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জানান, প্রতি বর্গফুট মাঝারি গরুর চামড়া সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ৮০০ এবং বড় গরুর চামড়া এক হাজার থেকে বারোশ দাম হওয়ার কথা। তিনি ওই হিসেবে গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। গাড়ি ভাড়া আনুষঙ্গিক খরচসহ সাড়ে ৬০০ টাকা পড়েছে প্রতি পিস চামড়া কিনতে। কিন্তু আড়তদাররা ৫০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে রাজি না হওয়ায় তাকে মোটা অঙ্কের লোকসান মেনে নিতে হয়েছে।

একই কথা জানিয়েছেন নগরীর সিও বাজার এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী সোলায়মান আলী। তিনিও গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনে এনে সস্তা দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। তবে আড়তদারদের দাবি, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা টাকা তুলতে না পারা, পুঁজি সংকটসহ লবণের দাম বৃদ্ধি ও বিভিন্ন কারণে সরকার নির্ধারিত দামে তারা চামড়া কিনতে পারেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর ১৫-২০ জন ফড়িয়া ও অর্ধশত মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং হাতেগোনা ৬-১০ জন ব্যবসায়ী চামড়া কিনলেও এ বছর বেশির ভাগকেই চামড়া কেনাবেচায় দেখা যায়নি। সবমিলিয়ে চার-পাঁচজন ছাড়া চামড়া কেনার মতো বড় কোনো ব্যবসায়ী ও আড়তদার ছিল না এ এলাকায়। অথচ এক সময় চামড়াপট্টি এলাকায় শতাধিকের বেশি চামড়ার গুদাম ছিল।

রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন বলেন, সিন্ডিকেট করে কী লাভ? এমনিতেই চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। ট্যানারি ছাড়া স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণের বিকল্প কোনো উপায় নেই। এখন আমদানিও কম। লবণের দাম তো বেড়েই চলেছে। এত কিছুর মাঝেও ট্যানারি মালিকেরা সরকারের কাছ থেকে ঋণ পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর ধরে ঋণ সুবিধার বাইরে রয়েছি। আমাদের ঋণ দেওয়া হয় না। অথচ বড় বড় ট্যানারি মালিকেরা চামড়া ব্যবসার নামে ঋণ নিয়ে তা অন্যখাতে বিনিয়োগ করছে।

তিনি আরও বলেন, চামড়া কিনে কোথায় বিক্রি করা হবে, এ নিয়েই চিন্তিত বড় ব্যবসায়ীরা। এখন চামড়ার দাম নেই। তার মধ্যে আর্থিকভাবে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।


আরও খবর



সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ৫ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সীমান্তবর্তী ছয় উপজেলাসহ মোট সাত উপজেলায় পানিবন্দি অবস্থায় আছেন প্রায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন মানুষ।

সিলেটের বন্যাকবলিত উপজেলাগুলো হলো- জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, শুক্রবার (৩১ মে) সকাল ৬টায় সিলেটের কানাইঘাট সুরমা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে ২০৯ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য দুটি পয়েন্ট গোয়াইনঘাটের জাফলং ডাউকি পয়েন্ট ও সারি গোয়াইন পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১৩ সেন্টিমিটার এবং শেওলা পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ ছাড়া সারি গোয়াইন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

জেলা প্রশাসনের সূত্রমতে, সিলেট জেলায় ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি উপজেলার ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাকবলিত এলাকার ৪ হাজার ৮০২ জন লোক আশ্রয় নিয়েছে। প্লাবিত উপজেলাগুলোর মধ্যে কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, শুকনো খাবার ও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিলেট জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দুর্গত মানুষের খোঁজ নিতে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান উপজেলাগুলোতে পরিদর্শন করেছেন। সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন জানান, বন্যাকবলিত উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলা ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক হয়েছে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।


আরও খবর



চরফ্যাশন গাছ চাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত বাগানের গাছ কাটতে গিয়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে মোহাম্মদ আলী গাজী (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে শশীভূষণ থানার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মঙ্গল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধ ওই গ্রামের মৃত মো. মালেক মাঝির ছেলে।

নিহতের স্বজন মোহাম্মদ হোসেন জানান, সকালে তিনি ঘূর্ণিঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ কাটতে নিজ বসত বাড়ির বাগানে যান। ওই সময় কাটা গাছের নিচে চাপা পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশনের হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

শশীভূষণ থানার ওসি মু. এনামুল হক জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



২০২৩-২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৩৭ হাজার ৮১৭ কোটি ৪০ লাখ ৫৭ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২৪ সংসদে তোলেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। আগামী ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের কার্যক্রম নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরি করা অর্থের বেশি বরাদ্দ ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য এই সম্পূরক বিল আনা হয়।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ বেড়েছে ৩৭ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। ৪০টির বাজেট অপরিবর্তিত রয়েছে বা হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত বাজেট হয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা।

সম্পূরক বাজেটে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৬৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা পেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সম্পূরক বাজেটে ২০টি দাবির বিপরীতে ৬৬টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন চারজন সংসদ সদস্য। এর মধ্যে দুটি মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনা হয়। সেগুলো হলো অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করেন।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে উদ্বোধনের আগেই দেবে গেল ৩০ লক্ষ টাকার ব্রিজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা খেয়া ঘাটে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০০ মিটার কাঠের ব্রিজ উদ্বোধনের আগেই দেবে গেলো।

উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায়, গত ২০২২/২০২৩ অর্থ্যবছরে কাগজ কলমে ব্রিজের কাজ শেষ হলেও ব্রিজের কাজ এখনো শেষ হয়নি। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা ২০২২ সালের আগষ্ট মাস আর শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের মে মাসে। ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য আর ৬ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩০ লাখ টাকা। তবে ব্রিজ নির্মাণ না করেই কাজ সম্পন্ন দেখিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর। বরাদ্দকৃত টাকা বিষয়টি স্থানীয় জনগণে নজরে আসলে উপজলা প্রকৌশলী অভিদপ্তরে খোঁজখবর করলে কাঠের ব্রিজের কাজ শুরু করেন। কাঠের ব্রিজ নির্ধারিত সময়ে কাজ না করে অসময় ব্রিজের কাজ শুরু করেন ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। ২০২২-২০২৩ এর এডিপির বরাদ্দে কাজটি পায় রানা এন্টারপ্রাইজ নামক গাইবান্ধার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে কাজটি ক্রয় করে স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনথিয়া কন্ডাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

বর্তমানে কাঠের ব্রিজের কাজ প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ সস্পন্ন হয়েছে। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাত ১০টার দিকে সেন্টারিংয়ের সিসি পিলারের নিচের মাঠি সরে গিয়ে মাঝখানে ২ ফুট দেবে যায়। ফলে বেলকা এলাকার খেয়া ঘাটে নদীর উপর নির্মাণকৃত কাঠের ব্রিজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে স্থানীয় জনগণ। তবে নদীতে একটু স্রোত বারলেই ব্রিজটি ভেঙ্গে পরে যাবে।  ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ কোন কাজেই আসবে না। এতে একদিকে যেমন সরকারের ৩০ লক্ষ টাকা অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে কয়েকহাজার মানুষের দুর্ভোগ আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ফলে নির্মাণকৃত ব্রিজ কোনও কাজেই আসছে না।

ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর গাফিলতিতে ব্রিজ নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই দেবে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বেলকা এলাকার বাসিন্দা সুরুজ্জামান বলেন, এর আগে এখানে কোনো ব্রিজ ছিলো না নৌকা দিয়ে পারাপার করা লাগতো। এতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এবার একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে জেনে আনন্দিত হয়েছিলাম। এখন দেখছি নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই হেলে দেবে পড়েছে কাঠের ব্রিজ।

স্থানীয় জাহিদুল মিয়া বলেন, আমরা ব্রিজের কষ্টে আছি। ব্রিজ না থাকায় এলাকায় কেউ ছেলে মেয়ে বিয়ে দিতে চান না। যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে জমির দামও কমে গেছে। এবার যদি কাঠের ব্রিজ হচ্ছে তাহলে হয়তো একটু উন্নয়নে মূখ দেখবো এখন দেখি ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের গাফিলতিতে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই সেতুটি দেবে গেছে। সেতু দেবে যাওয়ায় আরও দুর্ভোগ বাড়ল।

বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ বলেন, দুর্ভোগ লাঘবে কাজটি শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কোনো কথাই শোনেন না। এই মুহূর্তে ব্রিজটি দেবে যাওয়ায় স্থানীয়সহ আশপাশের এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ আবার বেড়ে গেল। তিনি আরও জানান, এটা দুঃখজনক। সরকারি অর্থের অপচয় করার জন্য বাস্তবায়নকারীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাগির খাঁন বলেন, এই কাজটি রানা এন্টারপ্রাইজ নামক জেলা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি আমাকে করতে বলে তাই কাজটি আমি বাস্তবায়ন করি। তবে কাজটি গত জুনের আগেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ জানান, তিনি এই উপজেলায় যোগদানের পুর্বে এই কাঠের ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবিষয়ে তেমন কিছু জানিনা। তবে ব্রিজটি পিলার দেবে গিয়েছে এর উপর দিয়ে চলাচল এখন ঝুঁকি সম্পন্ন তাই চলাচল বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিবেন।

তিনি আরও বলেন, কাঠের ব্রিজ নির্মাণের কাজ ঠিক ছিলো না। নির্মাণের নিয়ম অনুসারেই কাজ ব্যাপক অনিয়ম করেছে। সঠিক ভাবে ব্রিজে পিলার বসানো হয় নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিকুল ইসলাম জানান, কাঠের ব্রিজ দেবে যাওয়ার বিষয়টি খুবেই দুঃখজনক। তবে একটি তদন্ত কমিটির  মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরগঞ্জ

আরও খবর