ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলা
এবং মারামারি ও ভাঙচুরে হুকুমের আসামি চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির স্বামীর রকিব সরকারকেও
জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে গাজীপুর সিএমএম
আদালত-৪-এ হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক নিয়াজ মাখদুম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টা ৩৫
মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা
মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব সরকার। এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রকিবকে
ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মাহি।
শনিবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে
মাহিয়া মাহি সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশে আসেন। পরে বেলা ১২টার
দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদস্যরা
বিমানবন্দর এলাকা থেকে মাহিকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে গাজীপুরের বাসন থানা নেয়া হয়।
সেখান থেকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
কারাগারে যাওয়ার সাড়ে ৩ ঘণ্টা পরেই জামিন
পান নায়িকা। বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন জামিন
আদেশ দেন।
প্রেগনেন্সি ও সেলিব্রেটি বিবেচনায় আদালত
এ আদেশ দেন বলে জানান মাহির আইনজীবী আনোয়ার শাহাদাত সরকার।
এর আগে ওমরাহ পালন করতে যাওয়া মাহি সৌদি
আরবের মক্কা শহর থেকে শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে ফেসবুক লাইভে আসেন। লাইভে স্বামী রকিব
সরকারের গাড়ির শোরুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন।
মাহি দাবি করেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি
কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর
একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেই শোরুমে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা তার শোরুমের
গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা শোরুমের বিভিন্ন আসবাব, দরজা-জানালার কাঁচ, টেবিল-চেয়ার
ভাঙচুর করেছে। শোরুমের সাইনবোর্ডও খুলে ফেলেছে। দুর্বৃত্তরা তার অফিসকক্ষ তছনছ করে
টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে গেছে।
ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকারের
নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন মাহি।