আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

দুই যুগ ধরে স্বাস্থ্য ভালো নেই হোসেন্দি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

দুই যুগের বেশী সময় ধরে জরাজীর্ণ টিনসেডে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা চলছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দি ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। দুই কক্ষবিশিষ্ট টিনসেড ঘরটির চাল বর্তমানে মরিচা পরে বড় বড় ছিদ হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছিদ্র দিয়ে পানি পরে ওষুধসহ আসবাবপত্র ভিজে যাচ্ছে।

এছাড়াও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দরজা- জানালার অবস্থাও জরাজীর্ণ। যে কোনো সময় এটিতে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেনোও নিরুপায় হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন গজারিয়ার হোসেন্দি ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

এদিকে সেবা নিতে আসা রোগাীরা থাকে আতঙ্কে। ফলে অনেকে সেবা প্রার্থীরা ভয়ে নিজ ইউনিয়নে উপ-স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে সেবা না নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। আজ বৃহস্পতিবার (৪মে) সরেজমিন গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায় গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী বাজারের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির।

সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ পিয়ড থেকে টিনসেড ঘরে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। ইউনিয়নের সব বয়সের নারী পুরুষকে জ্বর, সর্দি, কাশি, চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ছাড়া শিশু, গর্ভবতী নারী, কিশোর কিশোরীরদের জন্য রয়েছে বিশেষ সেবা। প্রতিদিন ৯০-১০০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নেন।

ইউনিয়নের রঘুরচর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিন বলেন, এটি এমন একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেটি গত ৮৮ বছরেও  টিনের চাল গুলো পরিবর্তন হয়নি।

হোসেন্দী বাজারে স্থানীয় স্টিল আলমারি ব্যবসায়ী সুমন খান জানান, এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল। অসহায় মহিলা ও গরিব লোকজন এ স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সেবা নিয়ে থাকেন।

হোসেন্দী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা: মো: শহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের অফিসে জনবলের সংকট রয়েছে। অফিস সহকারি এবং আমি ব্যতিত আর কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। অনেক কষ্টসাধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৯০-১০০ জন রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুবাশ্বির বিনতে আলম জানান, হোসেন্দী উপ-স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি ঝুকিপূর্ণ টিনসেড ঘরটির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।

এলাকাবাসীরা জানান, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা হয়। এখন পর্যন্ত  টিনসেড ঘর ছাড়া নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি। এই ইউনিয়নে রোগীরা নদী পথে নৌকাযোগে দুরবর্তী গ্রাম থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন সাধারণ শ্রেণি পেশার মানুষ। কিন্তু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘরটি এতোটাই জরাজীর্ণ অল্প বৃষ্টি হলেই টিন চুয়ে পানি পড়ে। তাছাড়া দরজা-জানালা গুলোও নড়বড়ে। চালের টিনে মরিচিকার আক্রমণে লৌহচূর্ণ হয়ে খসে পরছে নিয়মিত। রোগীদের বসার জায়গা নেই। সব মিলিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীর্ণ ঘরে বসেই স্থানীয় বাসিন্দাদের চিকিৎসা দিচ্ছি।

এ বিষয়ে মুন্সীঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: মঞ্জুরুল আলম জানান, অনেক আগে থেকেই জরাজীর্ণ। তবুও স্বাস্থ্য সেবা দিতে হচ্ছে। কিন্তু নতুন ভবন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



বেইলি রোড ট্রাজেডি: স্ত্রী-সন্তানসহ কাস্টমস কর্মকর্তার মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু স্ত্রী-সন্তানসহ কাস্টমস কর্মকর্তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হলো। এখনও দুজনের লাশ মর্গে রয়েছে।

শনিবার (২ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করে ঢাকা জেলা প্রশাসন।

তারা হলেন- শুল্ক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী মেহেরুন নেসা জাহান ও তাদের সন্তান ফাইরুজ কাশেম জামিরা।

রাজস্ব কর্মকর্তার শ্বশুর মুক্তার আলম হিলালী বলেন, আমার মেয়ে-জামাই ও তার সাড়ে তিন বছরের মেয়ের মরদেহ জেলা প্রশাসন হস্তান্তর করেছে। তাদের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়া থানা এলাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছি।

তিনি বলেন, তারা কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ আবাসিক এলাকায় বসবাস করত। কক্সবাজারের রামুতে এবং পরে উখিয়ায় জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যান নারায়ণগঞ্জ কাস্টমস অফিসের রেভিনিউ কালেকট্টর শাহজালাল উদ্দিন। সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। হাসপাতালের মর্গে তাদের মরদেহ শনাক্ত করেন রাজস্ব কর্মকর্তার শ্বশুর মুক্তার আলম হিলালী।


আরও খবর



৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আগামী মাসে ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনা করছে আর্জেন্টিনা। মূলত রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই।

গত মঙ্গলবার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে আমেরিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরাম অব আমেরিকাসের ল্যাটাম ফোরামে দেওয়া এক ভাষণে এ ঘোষণা দেন জাভিয়ের মিলেই।

চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের বাইরেও জনসাধারণের বিভিন্ন কাজ জব্দ করণসহ প্রাদেশিক সরকারের কিছু তহবিল বন্ধ করে দেওয়া এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ২ লাখেরও বেশি সামাজিক কল্যাণ পরিকল্পনা বাতিল করেছেন বলে জানান তিনি। মিলেই তার বক্তৃতায় দেশে ২৭৬ শতাংশ বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির কারণে মজুরি এবং পেনশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান।

বর্তমানে আর্জেন্টিনায় প্রায় ৩৫ লাখ সরকারি কর্মচারী আছে। এর মধ্যে ৭০ হাজার ছাঁটাই করা হলে তা হবে খুবই সামান্য। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এরই মধ্যে কর্মচারীদের সংগঠন ধর্মঘটে গিয়েছিল। ফলে মিলেই সরকার যদি আরও কর্মচারী ছাঁটাই করতে চান, তাহলে ধারণা করা হচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলো থেকে আরও বাধার মুখোমুখি হবেন।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ডানপন্থী উদারবাদী রাজনীতিবিদ মিলেই। নির্বাচিত হওয়ার পরপরই মিলেই আর্জেন্টিনায় নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনার ঘোষণা দেন তিনি।

নির্বাচনের আগে মিলেই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতিকল্পে বেশ কিছু পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি অর্থনৈতিক শক থেরাপির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে-কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া, মুদ্রা হিসেবে পেসোকে বাতিল বা সংস্কার করা এবং সরকারি ব্যয় কমানো। তার এসব প্রতিশ্রুতি অর্থনৈতিক কারণে সংক্ষুব্ধ থাকা ভোটারদের অনুরণিত করেছিল, যা তার জয়ের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।


আরও খবর



ড. ইউনূসসহ চার কর্মকর্তার বিষয়ে রুল শুনানি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও অধিদপ্তরের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ও আদেশ স্থগিত প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। এ বিষয়টি আগামী রোববার (১০ মার্চ) পর্যন্ত মুলতবি করে ওইদিন পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।

তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের গত ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন (ক্রিমিনাল রিভিশন) করেন মামলার বাদী।

মামলার বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শকের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা ওই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ১ জানুয়ারি রায় দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল সেদিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় গত ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। অন্য তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

এ অবস্থায় তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামলার বাদী। আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন, যার ওপর আজ শুনানি হয়।

বিভিন্ন নজির তুলে ধরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে বলেন, রায়ে দুটি দিক থাকে একটি সাজা ও অন্যটি দণ্ড। আপিল ট্রাইব্যুনাল দুটিই স্থগিত করে দিয়েছেন। কনভিকশন (দোষী সাব্যস্তকরণ) স্থগিত হয় না। অনেক সময় দণ্ড স্থগিত হয়। তবে কারণ উল্লেখ করতে হয়। এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। আপিল ট্রাইব্যুনাল পুরো রায় স্থগিত করতে পারেন না। এটি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।


আরও খবর



আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান আজও অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৯টা ৯ মিনিটে ১৮৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে শহরটি।

ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ২১২, ১৮১ ও ১৬৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর



৩.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করছে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের সাথে উন্মুক্ত সীমান্তের এক হাজার ৬১০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণে আগামী ১০ বছরে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে ভারত। সীমান্তে চোরাচালান এবং অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে ভারত সীমান্ত বেড়া নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় করবে বলে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে নয়াদিল্লি বলেছিল, তারা মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করবে। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যার কাঠামো বজায় রাখার স্বার্থে সীমান্ত এলাকার নাগরিকদের এক দশকের পুরোনো ভিসা-মুক্ত চলাচল নীতির অবসান ঘটাবে।

সূত্র বলেছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের সরকারি একটি কমিটি বেড়া নির্মাণ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে সেটি। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসব তথ্য দিয়েছে ওই সূত্রটি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পররাষ্ট্র এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাছে এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ই-মেইল করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সীমান্তে ভারতের বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনা সম্পর্কে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক ও শত শত সৈন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে গেছেন; যেখানে উভয় দেশের লোকজনের জাতিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণে ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লি উদ্বেগে রয়েছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কিছু সদস্য উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পেছনে মিয়ানমারের অস্থিতিশীলতা ও উন্মুক্ত সীমান্তকে দায়ী করেছেন। প্রায় এক বছর ধরে মণিপুরের দুটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটির সাথে মিয়ানমারের চিন উপজাতিদের সম্পর্ক রয়েছে।

ভারতীয় ওই সূত্র বলেছে, ভারতের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের ওই কমিটি সীমান্ত বেড়ার পাশাপাশি সীমান্তের সাথে সামরিক ঘাঁটির সংযোগকারী সড়ক নির্মাণের বিষয়েও সম্মত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সামরিক ঘাঁটির সাথে সংযোগকারী ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।

সূত্র বলেছে, মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত বেড়া ও সংলগ্ন সড়কের জন্য প্রতি কিলোমিটারে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি রুপি ব্যয় হবে। যা ২০২০ সালে বাংলাদেশের সাথে সীমান্তে নির্মিত বেড়ার প্রতি কিলোমিটারের সাড়ে ৫ কোটি রুপি ব্যয়ের দ্বিগুণেরও বেশি। মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে হওয়ায় বেড়া ও সড়ক নির্মাণ ব্যয় বেশি হবে।


আরও খবর