পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় সোনিয়া খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে মুখ বেঁধে ছুরিকাহতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার পর চার বছরের ছেলেকে নিয়ে পালিয়েছেন স্বামী। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ঈশ্বরদী শহরের পশ্চিমটেংরী বাবুপাড়া একরাম আলী বুদু ডাক্তারের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ঘটে এ ঘটনা। পরে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
নিহত সোনিয়া পাবনার
ফরিদপুর থানার বিএল বাড়িয়া ইউনিয়নের মৃত ইউনুছ আলীর মেয়ে।
নিহত সোনিয়ার
খালাতো বোন নার্গিস খাতুন জানান, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের প্রবাসী রুবেলের
সঙ্গে কয়েকবছর আগে সোনিয়ার বিয়ে হয়। রুবেল দেশের বাইরে থাকতেন। তিনি প্রবাসে থাকায়
সোনিয়া শ্বশুরবাড়ি না থেকে ঈশ্বরদীতে থাকতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।
তিনি আরও জানান,
কয়েকদিন আগে রুবেল দেশে ফিরে সোনিয়াকে তার নিজ বাড়িতে না পেয়ে ঈশ্বরদীতে স্ত্রী-সন্তানের
কাছে আসেন। বুধবার দুপুরে তারা ঈশ্বরদী শহরের পশ্চিমটেংরীতে নতুন বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন
বলে জেনেছি।
পাবনার ঈশ্বরদী
শহরের পশ্চিমটেংরী বাবুপাড়া মহল্লার বাড়ির মালিক একরাম আলী বুদু বলেন, এক দম্পতি বুধবার
দুপুরে নতুন ভাড়া এসেছিল। রাতে কখন কি ঘটনা তার আমি কিছুই জানি না।
ঈশ্বরদী থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের কিছু চিহ্ন রয়েছে।
এছাড়া পুলিশ আলামত সংগ্রহ করেছে।
ওসি আরও জানান,
ওই গৃহবধূর মুখ বেঁধে ঘরের বারান্দায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সেখানে রক্তের ছাপ
পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছেন। বাড়ির সিসি ক্যামেরার
ফুটেজ দেখে প্রকৃত অপারাধীকে সনাক্তের চেষ্টা চলছে।