আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

দুর্ধর্ষ কিলার পাপ্পুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় মেহেদি হাসান পাপ্পু নামের এক দুর্ধর্ষ কিলারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে তার গ্রেফতারের বিষয়টি জানায় পুলিশ। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ২০০১ সালে তল্লা এলাকার রুবেল হত্যায় মেহেদি হাসান পাপ্পুকে যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত। এছাড়া তিনি ও তার সহযোগীরা ২০০৪ সালে তল্লা সুপারি বাগান এলাকায় চারতলা একটি বাড়িতে মুরাদ নামের এক যুবককে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন। ২০০৯ সালে নগর খানপুর এলাকায় খোকা ও সোহাগ নামের দুই যুবককে জবাই করে দাউদকান্দি এলাকায় ফেলে যান।


আরও খবর



ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ভবনটিকে তিনবার নোটিশ দেয়া হয়: মহাপরিচালক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় তিনবার নোটিশ দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে বেইলি রোডের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মাইন উদ্দিন বলেন, এই ভবনকে পূর্বে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ভবনের মালিককে তিনবার নোটিশ পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, এই ভবনে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এ কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে মাইন উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা নিচতলার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও এনএসআই।

এদিকে আজ সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দ্বগ্ধ চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও শঙ্কামুক্ত নন।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন ভর্তি আছেন। তাদের প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আহতদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার সরকার বহন করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বেইলি রোডের আগুনে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



বেইলি রোডে আগুনে নিহত বেড়ে ৩৩ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জন মারা গেছেন।

এরমধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে ২২ জনের মরদেহ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রয়েছে ১১ জনের মরদেহ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন রাত দেড়টার দিকে বলেন, নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে বলা হয়েছে, সেখানে ১১ জনের মরদেহ রয়েছে।

তবে ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, আগুনের ঘটনায় তিনজনের মরদেহ এবং অবচেতন অবস্থায় ৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো ৪২ জনের মধ্যে চার শিশু ও ২১ নারী রয়েছেন। বাকিরা পুরুষ। পাশাপাশি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বেইলি রোডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, ৪২ জনকে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি চিকিৎসক নিশ্চিত করবেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁরির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১১ জনের মরদেহ এসেছে। অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ জনের মরদেহ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাচ্চিভাই রেস্টুরেন্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার কিছু সময় পরই একটি গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরিত হওয়া আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ২ ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত দেড়টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলছিল। আগুনে হতাহতদের বেশিরভাগই রেস্টুরেন্টেটির ক্রেতা ও স্টাফ।


আরও খবর



অর্থনৈতিক সব সূচক বাড়ছে, হতাশার কিছু নেই : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক সবগুলো সূচক বাড়ছে। কাজেই এখানে অনিশ্চয়তা ও হতাশার কিছু নেই।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ডিসিদের জন্য কোনো পরামর্শ ছিল কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি একটি বিষয় তাদের বলেছি। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা আজ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমাদের যে সূচকগুলো আছে উন্নয়নের, সেগুলো বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের রেমিট্যান্স ২১৬ মিলিয়ন ডলার। আমাদের সবগুলো সূচকই-তো বাড়ছে। কাজেই আমদের এখানে অনিশ্চয়তার কিছু নেই, হতাশারও কিছু নেই। এগুলো নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এটা চলছেই, যে কিছু হয়নি। যেমন বিএনপির যিনি মহাসচিব, তিনি তার জায়গা থেকে বলেছেন যে তিনি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না। ওরা তো এসব কথাই বলে।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির যিনি প্রধানমন্ত্রী (সাবেক) ছিলেন বেগম জিয়া, তিনি বলেছেন এ ব্রিজ (পদ্মা সেতু) ভেঙে পড়বে। এসব কথাবার্তা সিরিয়াস কোনো কিউরিসিজম না। এটা কীভাবে বলেন, উনি সিরিয়াসলি বলেছেন, এ ব্রিজ আওয়ামী লীগ বানিয়েছে, এটা ভেঙে পড়তে পারে। কাজেই আপনারা উঠবেন না পদ্মা সেতুতে। এগুলো থেকে সত্যিকার যেটা আসল চিত্র, সেটি তুলে ধরার জন্য ডিসিদের আহ্বান করা হয়েছ।

মানুষের মূল নজর মূল্যস্ফীতিতে, সে ব্যাপারে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না? জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, খালি ইনফ্লেশনটাই কনসার্ন হয়ে গেলো! আর কিছু না? এক কোটি লোককে কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা সস্তা দামে খাদ্যপণ্য পাচ্ছে।

আয়কর আদায়ে ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, হ্যাঁ দিয়েছি। তারা সহায়তা করবেন। তারা যেটা করছেন সেটা করবেন। আরও ভালো করে করবেন, মন দিয়ে করবেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আজ শেখ হাসিনার যে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, সেটি ধরে বাংলাদেশ এগুচ্ছে। বাংলাদেশের যে অব্যাহত উন্নতি মানুষের মধ্যে যে আশার সঞ্চার হয়েছে সেটি আপনি রাস্তায় ঘুরলেই দেখতে পাবেন। মেট্রোরেলে চড়লেই বুঝতে পারবেন মানুষ কতটা খুশি হয়েছে, আশ্বস্ত হয়েছে। নারীরা কীভাবে একা চলতে পারেন মেট্রোতে, তারা সন্তুষ্ট।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




শিশুর সামনে যে কাজগুলো কখনোই করবেন না

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার আশায় আজকাল বাবামায়েরা শিশুদের নিয়ে মজার মজার ভিডিও তৈরি করেন। মজাচ্ছলে এমন ভিডিও বানালেও এগুলো দীর্ঘ মেয়াদে শিশুর ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

যেমন, অনেকে শিশুকে বড়দের মতো আচরণ করতে শেখায়। বকাঝকা করা, রাগ দেখানো, কাউকে নিয়ে ঠাট্টাতামাশা করা ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ অনুকরণ করতে উৎসাহিত করেন। শিশুকে এভাবে বড়দের মতো আচরণ করতে দেখে দর্শকেরাও মজা পান।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাবামায়ের এমন আচরণ এখন ক্রমবর্ধমান উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কিছু কিছু জিনিস বাবামায়ের কখনই শিশুদের সামনে বলা বা করা উচিত নয়। বাবামা হওয়া নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল কাজ। তাই শিশুর সুস্থ মানসিক বিকাশে বাবামাকে খুব সতর্ক হতে হবে। বাবামার জানা উচিত, কীভাবে শিশুরা তাঁদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অনুকরণ করে। এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা হয়।

শিশুদের সামনে কখনোই বলা বা করা উচিত নয় এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:

১. চেহারা নিয়ে মন্তব্য

শিশুদের কিন্তু আত্মসম্মান বোধ আছে। মুখের সামনে ওদের চেহারা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। অন্যদের সামনে সন্তানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিব্রত করা সবচেয়ে উদ্ভট কাজ। আপনি যদি চান, আপনার সন্তানেরা স্মার্ট, স্বাস্থ্যবান হোক, নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুক, তাহলে তাকে পুষ্টিকর খাবার দিন, নিয়মিত শরীরচর্চা করান। কিন্তু নামডাক কামানোর ধান্দা করা মোটেও সঠিক কাজ নয়।

২. অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা

বাবাময়েরা মাঝে মাঝে শিশুদের সামনে যেসব কথা বলেন বা গসিপ করেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। আপনি যখন অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন বা তাদের সামনে অন্যদের নিয়ে নেতিবাচক গসিপ করেন, তখন শিশুর সামনে ভালো দৃষ্টান্ত তুলে ধরছেন না।

কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আপনার শিশু এসব শোনা কথা প্রকাশ করে দিলে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে? অন্যের সামনে আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে?

৩. শিক্ষা সম্পর্কিত অর্জন নিয়ে নেতিবাচকভাবে সমালোচনা করা

স্কুলের পরীক্ষায় খারাপ করেছে বলে তাকে কখনোই তোমাকে নিয়ে আমি খুব হতাশ! এ ধরনের কথা বলবেন না। শিশুকে এমন কথা বলা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এতে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনার শিশুর পড়াশোনায় মাঝেমধ্যে গোলমাল হতেই পারে। এবার পরীক্ষায় হয়তো খারাপ করেছে। দেখবেন, হয়তো সে কিছু বিষয়ে ভালোও করেছে। চেষ্টার জন্য তার প্রশংসা করুন। সামনে আরও ভালো করার জন্য উৎসাহিত করুন।

৪. সব সময় ব্যঙ্গ করা

শিশুরা কটাক্ষ বোঝে না। কিন্তু আমরা যখন রাগে চিৎকার করি তখন তারা ঠিকই বুঝতে পারে না। শিশুরা মানুষের আচরণ বুঝতে পারে। কিন্তু আচরণের কোনো বিষয়ের ভুল অর্থ করলে সেটি তাদের বাড়তি মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।

৫. শিশুর সামনে তর্ক বা ঝগড়া করা

দম্পতির মধ্যে নানা বিষয়ে মতানৈক্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সামনে তর্ক করা মোটেই ইতিবাচক অভিভাবকত্বের একটি আদর্শ উদাহরণ নয়। মতবিরোধের সময় আক্রমণাত্মক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। শিশুদের কাছ থেকে আড়ালে গিয়ে দুজনে মিলে পারস্পরিক মতপার্থক্যগুলোর সমাধান করুন।

৬. গ্যাজেটে বেশি সময় ব্যয় করা

যদি বুঝতে পারেন যে সন্তান গ্যাজেটের (ট্যাবলেট/স্মার্টফোন/ল্যাপটপ) সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করছে, তাহলে খেয়াল করুন আপনিও গ্যাজেটের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সেটি তারা খেয়াল করছে কি না। শিশু মনোবৈজ্ঞানিকেরা সব সময়, ফোন বা ট্যাবলেট একপাশে রেখে বই পড়ার, বাইরে খেলাধুলা করার এবং তাদের সঙ্গে মজার অভিজ্ঞতা উপভোগ ও শেয়ার করার পরামর্শ দেন।

৮. অন্যদের সামনে তাকে নিয়ে মজা করা এবং উত্ত্যক্ত করা

সন্তানকে অন্যের সামনে উত্ত্যক্ত করাটা অনেকের কাছে মজার বিষয় মনে হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এতে সে মনে আঘাত পেতে পারে। এতে আপনার শিশু নেতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠবে এবং জীবনের অনেক বাস্তবতা নিয়ে ভীতি বা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। শিশুদের কখনো প্রকাশ্যে ঠাট্টা করবেন না বা শিশুদের লজ্জা দেবেন না। এটি তাদের আগামী জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৯. মেজাজ হারানো

রাগ মানুষের স্বাভাবিক আবেগ। আর সন্তান লালনপালনের চাপ থেকে রাগবিরক্তি আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষ করে আপনি যখন আপনার শিশুর সামনে রাগ প্রকাশ করেন, সেটি তার জন্য নেতিবাচক হতে পারে। প্রতিবার আপনি মেজাজ হারাবেন, আর তার মনে ভীতি তৈরি করবেন; তখন সে আপনার কাছে যেতে ভয় পাবে।

১০. সুবিধাবঞ্চিতদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা

বাবামা সন্তানদের রোল মডেল। আপনি কীভাবে আচরণ করেন, সেটি তারা খুব গভীরভাবে খেয়াল করে, এটি সরাসরি তাদের প্রভাবিত করে। কারও সম্পর্কে খারাপ কথা আপনার সন্তানের মনে খারাপ ছাপ ফেলে। আপনি অন্য লোকেদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেন তারা একইভাবে আচরণ করতে শুরু করবে। এটি তাদের মনে গভীর ছাপ ফেলতে পারে। এর জন্য তারা উপহাসের শিকার হতে পারে। ইতিবাচক প্যারেন্টিং হলো সদয়, শান্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে শিশুকে শিক্ষিত করে তোলা।

১১. সঙ্গীর নামে কুকথা বলা

শিশুদের সামনে সঙ্গীর নামে কুকথা বলা বা কটূক্তি করা কখনই ঠিক নয়। কারণ তারা এটি বুঝতে পারে না। তারা অজান্তেই আপনাকে অনুকরণ করতে শুরু করবে এবং এটি মজার ব্যাপার মনে করে একই আচরণ করতে শুরু করবে। একপর্যায়ে কটূক্তি করা তার অভ্যাসে পরিণত হবে।

১২. তুলনা

শিক্ষা, খেলাধুলা বা অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপগুলোতে আমরা প্রায়ই শিশুদের অন্য শিশুর সঙ্গে তুলনা করি। বাবামায়েরা ভুলে যান যে, তাদের উচ্চ প্রত্যাশা সন্তানদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বাবামায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হলে শিশুর জন্য সেটি হতাশার কারণ হতে পারে। প্রতিটি শিশু ভিন্ন এবং বিভিন্ন ক্ষমতার অধিকারী হয়। এমনকি তাদের ছোট অর্জনেও প্রশংসা করার চেষ্টা করুন।

১৩. ধূমপান বা মদ্যপান

শিশুদের সামনে ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ তারা অল্প বয়সে গোপনে এ ধরনের অভ্যাস পরীক্ষা করার চেষ্টা করবে। আপনি যখন ধূমপান করেন, এটি কেবল আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, আপনার শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, কানের সংক্রমণ ইত্যাদি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।

১৪. উৎকোচ দেওয়া

এই কাজ করলে তোমাকে এই উপহার দেব, পরীক্ষায় ভালো করলে তোমার ওই আশা পূরণ করবএমন কাজ অনেক বাবামায়েই করেন। এভাবে উৎকোচ দেওয়ার চর্চা শিশুকে সম্মানবোধ এবং দায়িত্ববোধ শেখাতে ব্যর্থ হয়। কার্যকর প্যারেন্টিং হলো, শিশুর দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়া এবং তার অর্জনের প্রশংসা করার পাশাপাশি পুরস্কৃত করা।

মনে রাখতে হবে, আপনার শিশুর মন অত্যন্ত কোমল এবং তারা নির্ভেজাল হৃদয়ের অধিকারী। অন্যায় এবং অধিকার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই; তাদের সেই জ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ধনকুবের পুত্রের বিয়েতে নেচে মাতালেন তিন খান

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে আনান্ত আম্বানি ও তার হবু স্ত্রী রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে হলিউড -বলিউড সহ বিশ্বের নামী সব ব্যক্তিত্বদের আগমনে গুজরাটের জামনগরে বর্তমানে যেন চাঁদের হাট বসেছে।

সেখানেই জমিয়ে নাচলেন বলিউডের তিন খান। শাহরুখ, সালমান ও আমিরের নাচের বিরল এই দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে এখন ভাইরাল।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী , অস্কার প্রাপ্ত নাটু নাটু গানে হাসি মুখে একে অপরের সঙ্গে নাচে পা মেলালেন। আবার একে অপরের সিগনেচার পোজ নকলও করলেন তারা।

নাটু নাটু ছাড়াও সালমান, আমির এবং শাহরুখকে ছাইয়া ছাইয়া, মুজসে শাদি করোগি থেকে টাওয়াল ডান্স, জিনে কে হ্যায় চার দিন আর রং দে বাসন্তি-এর মাস্তি কি পাঠশালা-গানের স্টেপে নাচতে দেখা যায়।

শাহরুখ, সালমান এবং আমির ছাড়াও বলিউডের আরও বেশ কয়েকজন তারকাকেও দেখা গিয়েছে এই অনুষ্ঠানে। তাদের মধ্যে ছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, কিয়ারা আদভানি, সাইফ আলি খান, কারিনা কাপুর খান, বরুণ ধাওয়ান, অনিল কাপুর, সারা আলি খান, ইব্রাহিম আলি খান, অনন্যা পান্ডে এবং আদিত্য রায় কাপুর। রানী মুখার্জি, দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং, রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাটকে দেখা যায় অনুষ্ঠানে।

১-৩ মার্চ গুজরাটেরর জামনগরে রিলায়েন্স গ্রিনস-এ অনন্ত ও রাধিকার প্রাক-বিবাহের একাধিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রয়েছে নাচ-গানের আয়োজন। বহু প্রতীক্ষিত এই প্রাক-বিবাহ আসরের প্রথম সন্ধ্যায় মূল আকর্ষণ ছিল পপতারকা রিহানার পারফরম্যান্স। তবে দ্বিতীয় সন্ধ্যায় মঞ্চ মাতিয়েছেন বলিউড তারকারা। হবু দম্পতি অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের চার হাত এক হবে আগামী ১২ জুলাই।


আরও খবর