তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “লন্ডনে বসে দীর্ঘ একমাস ধরে দুর্গাপূজায় হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যারা একাজ করেছে তারা প্রকৃত মুসলমান নয়।”
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউজে উপস্থিত হয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে খুঁজে বের করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, “ষড়যন্ত্রকারীরা সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে এবার দুর্গাপূজায় হনুমানের মূর্তির কাছে কোরআন শরিফ রেখে আসে। যে রেখেছে, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সে কারও ফরমায়েশে সেখানে রেখে এসেছে। কারা এর পেছনে আছে, সেটি খুব সহসাই বের হবে। খুবই স্পষ্ট যে, কারা এগুলো ঘটিয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি কারা করে এই দেশে? সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে বিএনপি-জামায়াত, ধর্মান্ধ-উগ্রবাদীরা। বাংলাদেশের কোনো সম্প্রদায়ের লোক অপরের ধর্মগ্রন্থ অবমাননা করার মানসিকতা পোষণ করে না।”
তিনি আরও বলেন, “যারা এটি করেছে এবং তাকে যারা প্ররোচনা দিয়েছে, তারা আমাদের পবিত্র ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করেছে। একই সঙ্গে হিন্দু ধর্মকেও অবমাননা করেছে। এই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছে। তাদেরকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার এই ঘটনার পর ১০২টি মামলা করেছে, ৭শ’র মতো দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। কঠোর হস্তে সরকার এটি দমন করেছে।”
এসময় সরকারের ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।