আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

দুর্গাপূজায় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ধর্মীয় এই উৎসবটি নির্বিঘ্নে উদযাপনে এরইমধ্যে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। প্রতিমা নির্মাণ থেকে শুরু করে বিসর্জন শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি যেকোনও গুজব প্রতিরোধে থাকবে সাইবার মনিটরিং। কেউ যেন কোনও ধরনের অপতৎপরতার সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। কোনও ধরনের শঙ্কা ছাড়াই পূজামণ্ডপগুলোতে এসে ভক্তরা ভক্তি জ্ঞাপন করতে পারবেন। নিরাপত্তা জোরদার থাকবে দেশব্যাপী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনও ধরনের গুজব সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে নজরদারি থাকবে। এছাড়া  নাম না জানা বিভিন্ন অখ্যাত সংবাদমাধ্যমগুলোও নজরদারি করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে করে দেওয়া সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির নেতারাও এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী কাজ করছেন।

প্রতিবছরই দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিমা ভাঙচুর কিংবা পূজামণ্ডপে সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা চালায় একটি চক্র। এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে এ বছর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতারা বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের নিয়ে সমন্বিতভাবে এলাকাভিত্তিক করছেন।

পূজার আগে প্রতিমা তৈরির সময় পূজামণ্ডপগুলোতে পুলিশি নিরাপত্তা, পূজা শুরু হওয়ার আগ থেকে পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাতদিন পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি আনসার মোতায়েন থাকবে। পূজামণ্ডপে প্রবেশের পথে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া এলাকাভিত্তিক পূজামণ্ডপের কমিটিতে থাকা লোকজন দায়িত্ব পালন করবেন। কারা কোন সময় দায়িত্ব পালন করবেন, সে বিষয়ে একটি তালিকা স্থানীয় পুলিশকে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পূজা বিসর্জনের সময় যাত্রাপথে কেউ যেন  কোনও ধরনের অপ্রীতিকর কিংবা কোনও অপতৎপরতা, কিংবা গুজব চালাতে না পারে, সে ব্যাপারেও তৎপর থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপ থাকবে সিসিটিভির আওতায়। পূজামণ্ডপের আশপাশসহ পূজা চলাকালীন সময়ে রাতদিন বিভিন্ন সড়কে থাকবে সাদা পোশাকে নজরদারি।

এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজা চলাকালীন সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা এছাড়া পূজামণ্ডপে আসা দর্শনার্থীদের ইভটিজিং করলে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা। প্রতিটি পূজামণ্ডপে থাকতে হবে সিসিটিভি।  স্বেচ্ছাসেবকদের থাকবে বাধ্যতামূলক আর্মব্যান্ড।

দেশব্যাপী দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সব ধরনের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি অপারেশন্স হায়দার আলী খান  বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিমা নির্মাণ থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত ধাপে ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ যেন কোনও ধরনের গুজব সৃষ্টির সুযোগ না পায়, সেজন্য সাইবার মনিটরিং জোরদার রয়েছে। বিভিন্ন পূজামণ্ডপের সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপত্তার বিষয়গুলো সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। মণ্ডপে ঢোকার জন্য নারী-পুরুষের পৃথক লাইন রাখতে হবে। পুলিশের পাশাপাশি আনসাররাও প্রতিটি মণ্ডপে দায়িত্ব পালন করবেন।

খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, শারদীয় দুর্গা উৎসব নির্বিঘ্নে এবং নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তিন স্তরে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রথম ধাপ হচ্ছেপ্রতিমা নির্মাণের সময় বিভিন্ন পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার, পূজা শুরু থেকে বিজয়া দশমীর আগ পর্যন্ত পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা এবং সবশেষ বিজয়া দশমীর প্রতিমা বিসর্জনের সময় নিরাপত্তা জোরদার। পূজা শুরুর আগের ১৫ দিন, পূজা শুরুর পরবর্তী ৫ দিন এবং বিশেষ করে বিসর্জন বা দশমীর দিন সিকিউরিটি অ্যারেঞ্জমেন্ট থাকবে আলাদা আলাদা। প্রতিটি পূজামণ্ডপের স্থানীয় কমিটির সঙ্গে কথা বলে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, পূজা চলাকালীন সময়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছি। কেউ যেন কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।

সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সুধী সমাজ রাজনৈতিক নেতারা সেই কমিটিতে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থেকে করে দেওয়া এসব কমিটি দেশব্যাপী কাজ করছে। তিনি বলেন, সিলেট জেলার সুনামগঞ্জের শাল্লায় সম্প্রতি সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা এ বছর দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিকল্পনা করেছি। প্রতিমা তৈরির সময় কেউ যেন কোনও হামলা কিংবা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।

কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান  বলেন, গত বছর পূজাকে কেন্দ্র করে যে ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। সাইবার নিরাপত্তা ও টহল জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে কেউ যেন গুজব সৃষ্টি না করতে পারে, সে বিষয়েও কাজ করছি আমরা। ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।

বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ্ত কুমার চক্রবর্তী বলেন, পূজা কমিটিতে যারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দেশব্যাপী দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে যেন উদযাপিত হয়, সে অনুযায়ী র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। র‌্যাব সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। কেউ অপতৎপরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেএমন কোনও তথ্য থাকলে র‌্যাবকে জানানোর আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন বাদীপক্ষ পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পারসেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পারসেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।


আরও খবর



আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৩, আহত ১২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

গত ১১ মার্চ মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। তালেবান কর্মকর্তারা কয়েকটি বিস্ফোরণের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল হলেও দেশটির সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা কয়েক দশক ধরে তালেবান আন্দোলনের শক্ত ঘাঁটি কান্দাহার শহরে বসবাস করছেন।

কান্দাহার প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ইনামুল্লাহ সামানগানি বলেন, একটি আত্মঘাতী হামলায় তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে কান্দাহার শহরের নিউ কাবুল ব্যাংকের শাখার বাইরে অপেক্ষমাণ একদল লোককে লক্ষ্য করে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

তিনি বলেন, মানুষজন সেখানে বেতন নিতে জড়ো হয়েছিলেন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন সিকদার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কাশেম প্রকাশ ওরফে জামাই কাশেম ও মো. ইউসুফ ওরফে বাইট্যা কাশেম।

২০ বছর আগে নগরের বালুছড়া এলাকায় সম্পত্তির জন্য আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা করেন দণ্ডিতরা। রায়ের বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকালে দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আল আমিন।

জানা গেছে, ২০০৪ সালের ৩০ জুন আসামিরা বালুছড়ার বাসায় গিয়ে আপন তিন ভাইবোন সাইফুল ইসলাম, আলমগীর ও মিনু বেগমকে গুলি করে হত্যা করে দণ্ডিতরা। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি এম এ ফয়েজ বলেন, এই মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আবুল কাশেম ও  মো. ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একই মামলার অপর দুই আসামি গিট্টু নাসির ও ফয়েজ মুন্না র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।


আরও খবর



মস্কোয় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত বেড়ে ১১৫, আটক ১১

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কনসার্ট হলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রুশ তদন্ত কমিটি।

হামলার স্থানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকারী বাহিনী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

এই হামলায় ইউক্রেন যুক্ত বলে দাবি করেছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী এফবিএস। তাদের ধারণা, ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়েই রাশিয়ায় ঢুকেছে হামলাকারীরা। তবে এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।

এর আগে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে একটি শপিংমলে ঢুকে এলোপাতাড়ি হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী। অনেকে আহত হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে রুশ তদন্ত কমিটি।

রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, পাঁচজন বন্দুকধারী এই হামলা চালায়। প্রথমে গুলিবর্ষণের পর সেখানে গ্রেনেড বা বোমা নিক্ষেপ করা হয়। তাতে হলটিতে আগুন ধরে যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রোকাস সিটির শপিংমলের কনসার্ট হল, রেস্টুরেন্ট, একুরিয়াম এবং বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় একযোগে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে একদল অস্ত্রধারী। পরে শপিংমলের বিভিন্ন জায়গায় বহু মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।


আরও খবর



নিয়ন্ত্রণে এসেছে গুলশানের ভবনে লাগা আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশানের-১ নম্বরে ভবনে আগুন লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার।

তিনি বলেন, এডব্লিউআর ১৮তলা ভবনের ৯তলায় এসির আউটডোরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে আমাদের ৪টি ইউনিট গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৩টি ইউনিট।

রোজিনা আক্তার বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। আগুনের হতাহতের সংবাদও পাওয়া যায়নি। এর আগে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ভবনটিতে আগুন লাগে।


আরও খবর