শিশুদের বিনোদনের মাধ্যমে উন্নত জীবনবোধ বিকাশের একটি দায়িত্ব নিয়েছে দুরন্ত টিভি। প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে শিশুদের নিয়ে নতুন কিছু করার ভাবনা থেকে ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর যাত্রা শুরু এই বেসরকারি চ্যানেলটির। পাঁচ বছর পেরিয়ে দুরন্ত এবার ছয় বছরে পদার্পণ করতে চলেছে।
দুরন্তর দর্শক ও শিশুশিল্পী ওয়াজিউর রহমান প্রথম বলেন, আমি চার বছরেরও বেশি সময় দুরন্ত টিভির সঙ্গে কাজ করেছি যা আমার জীবনের সেরা সময়, দুরন্ত টেলিভিশন আমাদের জন্য একটি অভয়ারণ্য মুক্ত বিহঙ্গের মতো ‘অভয়ারণ্য’ যে শিশুদেরও প্রয়োজন সেই বোধই অনুপ্রাণিত করেছে দুরন্তকে।
চ্যানেলটির অনুষ্ঠান পর্যলোচনা করে দেখা যায়, সকাল ৭টায় শিশুদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়, এরপর বাংলায় ভাষান্তরিত বিভিন্ন বয়সভিত্তিক কার্টুন, নানান ধরনের পাপেট-শো, লাইফস্টাইল প্রোগ্রাম, শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশে যেসব অবশ্যম্ভাবী যথা চিত্রাঙ্কন, সংগীত চর্চা, নৃত্য, ক্রাফটিং, শারীরিক ব্যায়াম, আত্মরক্ষার কৌশল, ভাষার ব্যবহার, বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি, বিদ্যালয়ে দলগত কাজের মানসিকতা তৈরি, গল্প পাঠ, আবৃত্তি, ভ্রমণ থেকে শুরু করে জাদু প্রদর্শনী, সেইসাথে বিভিন্ন শিক্ষণীয় অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র বেশ মজার ছলে প্রচারিত করা হচ্ছে।
শিশুদের জন্য একটি আনন্দময় জগৎ তৈরির উদ্দেশ্য থেকে দুরন্ত টিভি অনুষ্ঠানমালা নির্ধারণ করে থাকে। সেই আলোকেই নির্মাণ করা হয়েছে দুরন্ত টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান দুরন্ত সময়, গল্প শেষে ঘুমের দেশে, সোনার কাঠি রূপার কাঠি, মা-বাবাই সেরা, খাট্টা মিঠা, দুষ্টু মিষ্টি, বর্ণমালার ঘর, রঙ বেরঙের গল্প, মাস্টারমাইন্ড ফ্যামিলি, জানার আছে অনেক কিছু, বানাই ইফতার মা বাবা আর আমি, ইত্যাদি।
এছাড়া দুরন্তর জনপ্রিয় নাটক টিরিগিরি টক্কা, ব’তে বন্ধু, বাবা থাকে বাসায়, গুড্ডু বুড়া, কাবিল কোহকাফী, অদ্ভুতুড়ে বইঘর, মনের যাদুকর, নয়নতারা বিদ্যালয়, ভূতের বাকশো, বোকা ভূত, লাল কোহিনূরে পারিবারিক বন্ধন, বন্ধুত্ব, শিশুর কল্পনাশক্তি ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। শিশুমনে বিস্ময়, কৌতূহল আর আনন্দ জাগ্রত করে তাদের ইতিবাচক মানসিকতায় একটি মজার পৃথিবী উপহার দেয়াই দুরন্ত টিভির লক্ষ্য।