আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দূষণের কবলে হালদা নদী, ঝুঁকিতে মৎস্য প্রজনন

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চরমভাবে দূষণের শিকার হচ্ছে এশিয়ার একমাত্র মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। প্রতিবছর কার্প জাতীয় রুই, কাতল, মৃগেল, কালি বাউশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ ডিম ছাড়ে এ নদীতে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে, দূষণ অব্যাহত থাকলে শিগগিরই প্রাণ হারাবে হালদা নদী, হ্রাস পাবে মৎস্য প্রজনন।

২০২০ সালে রুই জাতীয় মাছের মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত এ নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে হালদার জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষায় খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় ও মানিকছড়ি উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি, রাউজান, হাটহাজারী উপজেলা এবং পাঁচলাইশ থানার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদী এবং নদী তীরবর্তী ৯৩ হাজার ৬১২টি দাগের ২৩ হাজার ৪২২ একর সীমানার হেরিটেজ এলাকায় ১২টি শর্ত আরোপ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন সচেতনতা ও বিভিন্ন সময় অভিযান চালালেও অনেক জায়গায় মানা হচ্ছে না এসব শর্ত। নদীর পাড়ে অবস্থিত বিভিন্ন বাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তদারকির অভাবে দূষিত হচ্ছে এই প্রাকৃতিক সম্পদ।

সরেজমিন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি নারায়ণহাটে নদীর পাড়ে দেখা মেলে ময়লার ভাগাড়ের। বাজারের ময়লা আবর্জনার স্তূপ করে রাখার ফলে বৃষ্টি হলে তা পানির সঙ্গে গড়িয়ে মিশে যাচ্ছে নদীতে। এর ফলে প্রতিনিয়ত দূষণের কবলে পড়ছে এই মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল নবী বলেন, স্থানীয় বাজারের মানুষ, মুরগির দোকানের উৎকৃষ্টসহ ময়লাগুলো ফেলে থাকে। আমার দোকান এই ময়লার স্তুপের পাশে হওয়াতে দোকানে অবস্থান করা অসহনীয় হয়ে পড়েছে। অনেকবার নিষেধ করা সত্ত্বেও কেউ মানছে না তা। গিয়াস উদ্দিন নামে এক পথচারী জানান, প্রতিদিন সকালে বাজার পরিষ্কার করার পর বর্জ্যগুলো এখানে এনে ফেলে যায়। বাজারের বিষাক্ত বর্জ্য পানির সাথে মিশে আশে-পাশের পরিবেশ ও পানি দূষিত হয়ে উৎকট দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। উৎকট দুর্গন্ধের কারণে এ সময় শীতলক্ষ্যার তীরে দাঁড়িয়ে থাকাই দুরূহ হয়ে পড়েছে। নাকে রুমাল চেপে ধরে খেয়া পারাপার হতে হচ্ছে।

নারাণহাট বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি মাস্টার আবু তাহের চৌধুরীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা এ বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম তারা কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে আমাদের কিছু করার নেই। নারায়ণহাট বাজারের ইজারাদার মাস্টার মাহবুবুল আলাম বলেন, আমরা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি এটার জন্য আলাদা জায়গা ব্যবস্থা করছি সেখানে থেকে সরিয়ে অন্যত্রায় ফেলার ব্যবস্থা করব।

নারায়নহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদ চৌধুরী জানান, আমি উপজেলার সমন্বয় সভায় প্রথম মিটিংয়ে এটি উপস্থাপন করেছি এবং ইউএনও সাহেবকে জানিয়েছি আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করছি আশা করছি দ্রুত সময়ে আলাদা একটি ময়লার ডাম্পিং এর ব্যবস্থা করবো।

এ বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিনুল হাসান বলেন, আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়েছি। উনি আমাদের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত সময়ে এটি পরিষ্কার করে ময়লা ফেলার একটি ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করবে।

নিউজ ট্যাগ: হালদা নদী

আরও খবর



‘এশা মার্ডার’-এর টিজার প্রকাশ, নতুন গল্পের সঙ্গে বাঁধন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নতুন গল্পের সঙ্গে নতুন লুকে হাজির হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। তাবে এবার তাকে দেখা যাবে পুলিশ অফিসার চরিত্রে। সিনেমাটির নাম এশা মার্ডার : কর্মফল। এটি পরিচালনা করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মিশন এক্সট্রিম, ব্ল্যাক ওয়ারখ্যাত নির্মাতা সানী সানোয়ারের নতুন সিনেমায়!

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় এলো সিনেমাটির টিজার। প্রায় এক মিনিটের টিজারটি শেয়ার করে সানী সানোয়ার ক্যাপশনে লিখেছেন, বাঁধন কি পারবে এশা খুন-এর রহস্য ভেদ করতে?

এক মিনিটের টিজারেই পুলিশ অফিসারের চরিত্রে মাত করেছেন বাঁধন। টিজারে দেখা যায়, অর্চনা গোপ, জেসমিন টিউলিপ এবং এশা জান্নাত নামের তিনজন মেয়ে একই জেলায় খুনসহ ধর্ষণের শিকার হন। যার তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পুলিশ অফিসার বাঁধনের ওপর!

চৌকস পুলিশ অফিসারের সমস্ত কিছুই দুর্দান্তভাবে যে অনুসরণ করেছেন বাঁধন, তার আভাস তিনি রেখেছেন এশা মার্ডার-এর টিজারে!

আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তির কথা শোনা গেলেও টিজারের শেষে জানানো হয়, ঈদুল ফিতরে নয়, এশা মার্ডার : কর্মফল আসতে চলেছে ঈদুল আজহায়! বাঁধন ছাড়াও সানী সানোয়ার পরিচালিত এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন পূজা ক্রুজ, মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ, এজাজ আহমেদ, মাজনুন মিজান, আনিসুল হক বরুণ, সুষমা সরকার, দীপু ঈমাম।


আরও খবর



ঢাবির কোয়ার্টার থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহবাগ থানার ফুলার রোডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক কোয়ার্টারে আদ্রিতা বিনতে মোশারফ (২১) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে দক্ষিণ ফুলার রোডের ১৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাজিরুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ভোরে ফুলার রোডের আবাসিক কোয়ার্টারের ওই বাসায় গিয়ে দেখি বিছানায় শায়িত অবস্থায় রয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। তখন তার পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষের চিকিৎসক জানান তিনি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও জানান, কি কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে পরিবার তেমন কিছুই জানাতে পারেনি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম থানার মজলিশপুর গ্রামে। আদ্রিতার বাবা অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক। বাবা মায়ের সঙ্গেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




যুবকের চড় খেয়ে লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিলেন তরুণী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চড় খেয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি মানামী লঞ্চ থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন এক তরুণী।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে বরিশাল নৌবন্দরে এ ঘটনা ঘটেছে। নৌপুলিশ ও ঘাটে উপস্থিত থাকা লোকজন ওই তরুণীকে নদী থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এমভি মানামী লঞ্চের মাস্টার আসাদুজ্জামান জানান, এক যুবক আর এক তরুণী লঞ্চের নিচতলার সম্মুখভাগে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। তারা দুজনে ঝগড়াও করেছে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তরুণ ওই তরুণীকে একটা চড় দেয়। এর পরই তরুণী নদীতে ঝাঁপ দেন। তবে এক লোক সঙ্গে সঙ্গেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তিনি বলেন, নদীতে ঝাঁপ দেওয়া তরুণী আমাদের লঞ্চের যাত্রী ছিল না। তা ছাড়া ঝাঁপিয়ে পড়া তরুণীর দ্রুত চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে এ ঘটনা তা আমরা জানি না।

তবে সেখানে উপস্থিত মারুফ নামে একজন বলেন, প্রথমে দুজনের উচ্চবাচ্য কথা শুনি। এর পর চড়-থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটলে মেয়েটি নদীতে ঝাঁপ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর নৌ থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, লঞ্চ পন্টুন ত্যাগ করার কিছুক্ষণ আগের ঘটনা। তরুণী নদীতে ঝাঁপ দিলে নৌপুলিশের সদস্য ও ঘাটে উপস্থিত থাকা লোকজন তাৎক্ষণিক নদীতে পড়া তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই তরুণী কি কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা পরিবারের পক্ষ থেকে বলেনি।


আরও খবর



রাজধানীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে মিরপুরের ভাসানটেক ১৩ নম্বর কালবার্ট রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন মেহরুন্নেছা (৬৫), সূর্য বানু (৩০), লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৯) ও মো. লিটন (৫২)। এরমধ্যে মেহরুন্নেসার ৪৭ শতাংশ, সূর্য বানু ৮২ শতাংশ, লামিয়া ৫৫ শতাংশ, মো. লিটন ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ এবং সুজনের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

জানা গেছে, পরিবার নিয়ে ওই বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন ফার্নিচার ব্যবসায়ী লিটন মিয়া। শুক্রবার ভোরে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়। এতে নারী-শিশুসহ ওই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধদের জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




লোকচক্ষুর আড়ালে আন্তদেশীয় তৎপরতায় কুকি চিন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ। মাত্র দুই বছর আগে আত্মপ্রকাশ করা সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি কায়েম করেছে ত্রাসের রাজত্ব। দেশের পার্বত্য অঞ্চলে হঠাৎ মাথাচাড়া দেয়া এই পাহাড়ি সংগঠন এখন যেন এক ত্রাসের নাম।নিজেদের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিতই আপলোড করে থাকে চোরাগোপ্তা হামলার ছবি-ভিডিও।

শুধু বাংলাদেশের পাহাড়ই নয়; কুকি জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত ভারতের মণিপুর রাজ্য। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ছাড়াও তারা জড়িয়ে পড়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। মিয়ানমারের চিন প্রদেশেও সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে আসছে, স্থানীয় কুকি-চিন জনগোষ্ঠী।

দুর্গম সীমান্ত আর তিন দেশের জটিল একটি ভৌগলিক সীমায় অবস্থানের সুযোগে, এক দেশে অভিযানের মুখে পড়লে সহজেই আশ্রয় নিচ্ছে অন্য দেশে। যাতে আঞ্চলিক ঝুঁকির মুখে পড়ছে গোটা অঞ্চল। বিশ্লেষকদের আশংকা অদূর ভবিষ্যতে আন্ত:দেশীয় সংগঠনে পরিণত হতে পারে, কেএনএফ। দেশে দেশে খুলতে পারে সশস্ত্র শাখা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর অব. এমদাদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ত্রিদেশীয় একটি সম্মেলন এখানে আছে। চীনের একটি স্টেটের অংশ এসে মিশছে ওইদিকের মিজোরাম এবং বান্দরবান দিয়ে। ওখানে নোম্যানস ল্যান্ডের মত একটি এলাকা আছে, যেখানে তারা চাইলেই যোগাযোগ করতে পারে। এটা যদি এখন থেকেই দমন করা না হয় তবে আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

কেএনএফের পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক মদদ রয়েছে কি না, প্রশ্ন উঠছে সে বিষয়টি নিয়েও। ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে বসবাসরত কুকি-চিনরা খ্রিস্ট ধর্ম মেনে চলায়; এ সব অঞ্চল নিয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো কোন দাবার চাল চালছে কি না তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। এজন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম নজরদারিতে রাখার কথাও বলছেন তারা।

এমদাদুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে বেশ কিছু এনজিও যারা সবসময় এদেরকে মদদ দেয়, উৎসাহ দেয়। এ বিষয়গুলো নজরদারিতে রাখা অবশ্য উচিত।

কেএনএফের তৎপরতা রুখতে সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য বিনিময় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

নিউজ ট্যাগ: কুকি চিন

আরও খবর