গণটিকা কার্যক্রমের
দ্বিতীয় দিন চলছে আজ রবিবার। এদিন সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
ফলে ভোগান্তিও বেড়েছে প্রথম দিনের তুলনায়। মূলত টিকার সংখ্যা সীমিত হওয়ায় অনেকেই টিকা
কার্ড পাচ্ছেন না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। তুলনামূলক ভিড় বেড়েছে
রাজধানীতে।
রবিবার (৮ আগস্ট)
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। সকাল ৯টায় টিকা কার্যক্রম
শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ৭টা থেকেই লোকজনকে আসতে দেখা যায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও
বাড়তে থাকে ভিড়।
অনেক কেন্দ্রে
দেখা গেছে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, কাউন্সিলর
ও তার অনুসারীরা কেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের
চিত্র কোথাও পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষরা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে হাজির হন।
দায়িত্বরতরা জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার, বয়স, নামসহ কয়েকটি তথ্য টিকা কার্ডে উল্লেখ
করে একটি কার্ড দিয়ে দিচ্ছেন। সেটা দেখালে টিকা দেয়া হচ্ছে।
টিকাদান কার্যক্রমের
সার্বিক দায়িত্ব পালনকারী সূর্যের হাসি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মকর্তা রনি আহমেদ জানান,
প্রথম দিন তাদের সাড়ে তিনশর মতো টিকা দেয়া হয়েছে। তবে মানুষের চাপ সামলানো যাচ্ছে না।
এ জন্য যারা এসেছেন তাদের রেজিস্ট্রেশন করে রাখা হয়েছে। আজ তাদের টিকা দেয়া হবে।
গণটিকা কর্মসূচির
প্রথম দিন ২৭ লাখের বেশি মানুষকে দেয়া হয়েছে প্রথম ডোজ। এর মধ্যে ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৮
জন পুরুষ এবং ১২ লাখ ৬৮ হাজার ২৩৬ জন নারী। টিকা নেয়াদের মধ্যে চীনের সিনোফার্মের টিকা
নিয়েছেন ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫১ জন নারী ও পুরুষ। অন্যদিকে মডার্নার টিকা নিয়েছেন ২ লাখ
৮৩ হাজার ৭২১ জন।
এদিন চাহিদা অনুযায়ী
টিকার বরাদ্দ না থাকায় অনেক মানুষকে ফেরত যেতে হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৯ জন প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে ৫৮ লাখ ১৭ হাজার ৩৩ জন সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন। আর মডার্না নিয়েছেন ২ লাখ ৮৫ হাজার ৬১৮ জন। শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত একযোগে সারাদেশে গণটিকার ক্যাম্পেইন শুরু হয়।