আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে : সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সেতু বিভাগের আওতায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, পরে নির্দেশনা পাওয়া গেল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পদ্মা সেতু প্রকল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে। মূল সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৫ জুন স্বপ্নের এই সেতু উদ্বোধন করবেন।

ওয়ার্কার্স পার্টির লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী জানান, পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে এ বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে আবেদনপত্রের সঙ্গে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডোপ টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এলে বা বিরূপ মন্তব্য থাকলে লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, এ পর্যন্ত (মে ২০২২) বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়ের পরিমাণ সাত হাজার ১৩৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ও মুক্তারপুর সেতুর টোল আদায় ১৮৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

একই দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী জানান, ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক ডেভেলমেন্ট স্টাডি (ডিএইচইউটিএস) প্রতিবেদন (২০১০) অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার দুই সিটির অধিভুক্ত এলাকায় ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ রাস্তা রয়েছে। ঢাকা মহানগরীর চারপাশে বৃত্তাকার ইনার রিং রোড নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় ইসরায়েলি হামলা: এক বাড়িতেই নিহত ৩৬

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এক বাড়িতেই ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, শনিবার (১৬ মার্চ) মধ্য গাজার পশ্চিমাঞ্চলে নুসিরাত শরণার্থী ক্যাস্পের কাছে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নারী ও শিশুসহ এক বাড়িতেই ৩৬ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তঃস্বত্তা নারীও রয়েছেন।

ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এই গণহত্যার জন্য মার্কিন প্রশাসন, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দায়ী।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণ ঠেকাতে বিরল বৈঠক করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠি হুতি ও গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গত সপ্তাহে এ দুটি সংগঠনের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র এএফপিকে বলেছে, বৈঠকে গাজা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কীভাবে সমন্বিত আক্রমণ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে কোথায় এ বৈঠক হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বৈঠকে রাফায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য অভিযান নিয়েও ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর সঙ্গে হুতিদের আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতাহিয়হু জানান, তিনি রাফাহতে অভিযানের জন্য সামরিক বাহিনেকে অনুমোদন দিয়েছেন।

গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। নির্বিচার হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আর ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দারা প্রায় সবাই ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে রোজা। তাতেও হামলা কমেনি।


আরও খবর



শাহজালালে ৪০ স্বর্ণবারসহ নভোএয়ারের গাড়িচালক আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪০টি স্বর্ণবারসহ বেসরকারি এয়ারলাইন্স কোম্পানি নভোএয়ারের গাড়িচালকসহ দুজনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। আজ শনিবার তাদের আটক করা হয়।

আটক দুজন হলেন নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল (৫১) ও রিসিভার কামাল হোসেন (২৯)। হেলালের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বসুরহাট থানার চরকাগা গ্রামে। কামাল হোসেনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাইমচর থানার দক্ষিণ বগুলা গ্রামে।

আজ বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে বিমানবন্দর এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় নভোএয়ারের গাড়িচালক মো.হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর এপিবিএন ও এনএসআই। নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল অন্যান্য দিনের মতো আজকেও ডিউটিতে আসেন। এরপর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেইট দিয়ে বের হন।

জিয়াউল হক বলেন, এরপর এপিবিএন ও এনএসআই সদস্যরা নভোএয়ারের গাড়িচালককে নজরদারিতে রাখেন। এ সময় নভোএয়ারের গাড়িচালক হেলালকে ডমেস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠতে দেখা যায়। পরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা অটোরিকশার গতিরোধ করেন এবং তাদেরকে এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, এরপর জিজ্ঞাসাবাদের পর রিসিভার কামাল হোসেনের সঙ্গে থাকা ব্যাগের ভেতর থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৪০টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। যার ওজন প্রায় ৪ কেজি ৬৪০ গ্রাম। এ স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

বিমানবন্দর এপিবিএনের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে কামাল হোসেন জানিয়েছেন নভোএয়ারের গাড়িচালক হেলাল তাকে এই স্বর্ণ দেন। এই স্বর্ণ নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারলে তার ১০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি আটক হন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



জলদস্যুদের সঙ্গে সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ভেতরে থাকা ২৩ জন নাবিকদের উদ্ধারে সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনার শেষে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাহাজটি হাইজ্যাক করা জলদস্যুদের সঙ্গে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। আমরা সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে চেষ্টা করছি এবং যেখানে জানানো প্রয়োজন, সেখানে জানিয়েছি। তাদের উদ্ধারে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। বিষয়টি মন্ত্রিসভায়ও আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রিপোর্টিং সেন্টার ইন কুয়ালালামপুর, ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার ইন নিউ দিল্লি, সিঙ্গাপুর, ইউএসএ, ইউকে এবং চীনসহ সব এরিয়ার নেভাল শিপে আমরা রিপোর্ট করেছি। অন্যান্য সূত্রের মাধ্যমেও আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য জাহাজটাকে এবং নাবিকদের মুক্ত করা। কিন্তু স্ট্র্যাটেজি কী হবে, এটা পাবলিক বলার বিষয় নয়। ইতোপূর্বে একই কোম্পানির একটি জাহাজ জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তিন মাস পর সেই জাহাজ ও ক্রুদের উদ্ধার করা হয়েছিল।

এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।

জানা গেছে, নাবিকদের ছাড়তে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

জাহাজটি প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীকে পাঠানো সর্বশেষ এক অডিও বার্তায় বলেন, আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে তারা একে একে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও।

দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। পরে বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় এমভি আবদুল্লাহ। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার।


আরও খবর



এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে পিএসজির বড় জয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

কিলিয়ান এমবাপ্পে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে রবিবার (১৭ মার্চ) রাতে হ্যাটট্রিক করেছেন। তার হ্যাটট্রিকে ভর করে মঁপেলিয়ের বিপক্ষে ৬-২ ব্যবধানের বড় জয় পেয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।

এটা ছিল লিগে সবশেষ চার ম্যাচে পিএসজির প্রথম জয়। এই জয়ে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রেস্টের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ করলো পিএসজি। ২৬ ম্যাচ থেকে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে আছে তারা। সমান ম্যাচ থেকে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ব্রেস্ট আছে দ্বিতীয় স্থানে। মঁপেলিয়ের ২৬ ম্যাচ থেকে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে রেলিগেশনের একটু সামনে।

মঁপেলিয়ের মাঠে এদিন ম্যাচের ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। এ সময় ক্রসে এমবাপ্পের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল করেন ভিতিনহা।

২০০তম লিগ ম্যাচ খেলতে নামা এমবাপ্পে ২২ মিনিটের মাথায় গোলের দেখা পান। এ সময় রান্ডাল কোলো মুয়ানির সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান করে কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে বাম পায়ের শটে নিশানাভেদ করেন ফ্রান্সের অধিনায়ক।

৩০ মিনিটের মাথায় অবশ্য মঁপেলিয়ের একটি গোল শোধ দেয়। এ সময় জর্ডান ফেরির ক্রসে হেড নিয়ে জালে জড়ান আর্নাউড নর্ডিন। আর বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে (৪৫+২) পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরায় মঁপেলিয়ের। গোলটি করেন অধিনায়ক তেজি সাভানিয়ের।

বিরতির পর অবশ্য পিএসজির আক্রমণের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে মঁপেলিয়ের। ৫০ মিনিটের মাথায় এমবাপ্পে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নিয়ে জালে জড়ান এবং দলকে এগিয়ে নেন। ৫৩ মিনিটের মাথায় তাদের লি কাং-ইনের গোলে ব্যবধান বেড়ে হয় ৪-২। বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের শটে করা গোলটি ছিল লিগে তার দ্বিতীয়। যেখানে মুয়ানি করেন দ্বিতীয় অ্যাসিস্ট।

৬৩ মিনিটের মাথায় হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এমবাপ্পে। এটা ছিল চলতি মৌসুমে তার দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এই গোলে ২৪ ম্যাচে মাঠে নেমে ২৪ গোল করেন পিএসজি ছেড়ে রিয়ালে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা এমবাপ্পে। এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩৭তম ম্যাচে এটা ছিল তার ৩৮তম গোল। ৮৯ মিনিটে পিএসজির নুনো মেন্ডেস গোল করে ৬-২ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উদ্বেগজনকভাবে বাংলাদেশ দূষণ ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। যা তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক পুরুষ ও নারীদের। বছরে দূষণের কারণে দেশে অকাল মৃত্যু হচ্ছে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস নামে প্রকাশিত এ প্রতিবেদন অনুযায়ী বায়ু দূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণ বেশি অকাল মৃত্যুর কারণ। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ঘর ও বাইরের বায়ু দূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কাঠের জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই রিপোর্টের সহ-প্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।


আরও খবর