আরব সাগরে কয়েকটি
যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। সম্প্রতি লোহিত সাগর ও আরব সাগরে বেশ কয়েকটি হামলার
পর রোববার (৭ জানুয়ারি) এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানাল দেশটি। খবর আরব নিউজের।
পাকিস্তানের
নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, সামুদ্রিক নিরাপত্তার ওপর সম্প্রতি বেশ
কয়েকটি হামলার ঘটনার জেরে আরব সাগরে বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে পাকিস্তান
নৌবাহিনী। বিমানের মাধ্যমে এই সমুদ্রপথে নজরদাড়ি অব্যাহত রেখেছে তাদের নৌবাহিনী।
আরব সাগরে টহলের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে পাকিস্তানি নৌবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা সেখানে টহল দেয়। এ ছাড়া আরব সাগরে সব সময় নিজেদের নিরবচ্ছিন্ন উপস্থিতি নিশ্চিত করতেও টহল অব্যাহত রাখে নৌবাহিনী।
আরও পড়ুন>> গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা পৌঁছেছে ১০৯ জনে
পাকিস্তান নৌবাহিনী
এই অঞ্চলের সমুদ্রপথে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়ে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে
ভালোভাবে সচেতন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদ এবং হামাসের প্রতি সমর্থনের
অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাহাজে হামলা করে
আসছে ইয়েমেনের ইরানপন্থি হুতি বিদ্রোহ গোষ্ঠীর সদস্যরা। হুতিদের হামলার ভয়ে বিভিন্ন
জাহাজ কোম্পানি ভিন্ন পথে গন্তব্যে যাচ্ছে। এরপর হুতিদের হামলা ঠেকাতে কয়েক সপ্তাহ
আগে বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি বহুজাতিক নৌজোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র।
এরপরও গত মাসে
লোহিত সাগরে সৌদি আরব থেকে পাকিস্তানগামী একটি জাহাজে হামলার দাবি করে হুতিরা।
এ ছাড়া ২৪ ডিসেম্বর
আরব সাগরে রাসায়নিকবাহী একটি ট্যাংকার জাহাজে হামলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইরান
থেকে ছোড়া একটি ড্রোন এই ট্যাংকারে হামলা করেছে। যদিও ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই হামলার পর
২৬ ডিসেম্বর আরব সাগরে ৩টি যুদ্ধজাহাজ ও একটি টহল বিমান মোতায়েন করে ভারতীয় নৌবাহিনী।
যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পর আরব সাগরের সোমালিয়া উপকূলে ছিনতাই হওয়া পণ্যবাহী একটি জাহাজ
উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। জাহাজের ২১ জন নাবিকই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে
১৫ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন।