বিহার ও উত্তরপ্রদেশে গঙ্গা নদীতে কয়েক
ডজন লাশ ভেসে আসার পর এবার নদীটির ধারে অন্তত দুটি স্থানে বালিতে পোঁতা একাধিক মৃতদেহ
পাওয়া গেছে।
উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনৌ থেকে ৪০ কিলোমিটার
দূরে উন্নাও জেলার দুটি স্থানে এ মৃতদেহগুলো পাওয়া যায় বলে ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে
একদল কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে যে দুটি স্থানে মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে, সেসব স্থানে
আরও গভীর গর্ত খুঁড়ে লাশগুলোকে সমাহিত করেছেন।
পোড়ানোর কাঠের অভাবে এ মৃতদেহগুলো বালিতে
পুঁতে ফেলা হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
মোবাইল ফোনে তোলা ছবি ও ভিডিওতে দুই স্থানেই
একাধিক পোতাঁ লাশ ও স্থানীয়দের ভিড় দেখা গেছে; বেশিরভাগ মৃতদেহের গায়ে জড়ানো ছিল গেরুয়া
কাপড়।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার এক
বিবৃতিতে বলেছেন, কেউ কেউ মৃতদেহ না পুড়িয়ে নদীর ধারে বালিতে কবর দেয়। খবর পেয়ে আমি
ঘটনাস্থলে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছি। আমি তাদেরকে এ বিষয়ে তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা নিতেও
বলেছি।
যে মৃতদেহগুলো মিলেছে, সেগুলো কোভিড রোগীর
কিনা তা নিশ্চিত নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
চলতি সপ্তাহে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায়
ভেসে আসা ৭০ এরও বেশি মৃতদেহের দেখা মিলেছে। মঙ্গলবারও উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে নদীতে
ভেসে আসা লাশ পাওয়া গেছে।
পোড়ানোর কাঠের অভাব, লাশগুলোকে ভাসিয়ে
দেওয়ার একটি কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সরকারি তালিকায় স্থান না দেওয়া কোভিড-১৯ এ মৃতদের লাশ এভাবে ভাসিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও অনুমান করছেন তারা।