মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে এবার আমরণ অনশনে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
গত ১১ জুলাই থেকে শিক্ষকরা আন্দোলন করে
আসছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গত রোববার (৩০ জুলাই) শিক্ষকরা বলেছিলেন ১ আগস্টের
মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেলে আমরণ অনশনে যাবেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ মো. কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণ এবং ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে। এ আন্দোলন করতে গিয়ে ইতিমধ্যে দুই দফা পুলিশি কঠোরতার মুখে পড়েছেন শিক্ষকরা। বিশেষ করে আন্দোলনের সপ্তম দিনে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে। ওই দিন শতাধিক লোক আহত হন। এতে আহত একজন মারা গেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী স্বঘোষিত ও সদ্য গজিয়ে ওঠা কয়েকটি সংগঠনের শিক্ষক নেতাসহ একটি বৈঠক করেছেন। তাদের বেশির ভাগ সরকারি আশীর্বাদপুষ্ট। বৈঠকে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছেন তারা। এছাড়া বৈঠকের আগে ও পরে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করেও পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু শিক্ষকরা এখন পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে গেছেন। মর্মাহত শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে আন্দোলনে আছেন। দিন দিন অংশগ্রহণ বাড়ছে।