তুমব্রুর পর
এবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান সীমান্তে নতুন করে গোলাগুলির
শব্দ শোনা যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৭টার পর মর্টার শেলের মতো ভারী অস্ত্রের গোলার শব্দে
কেঁপে ওঠে পালংখালী এলাকা। থেমে থেমে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন উখিয়া পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী। তিনি বলেন, ঘুমধুম সীমান্তের
পর এবার নতুন করে আমার ইউনিয়নের আঞ্জুমান সীমান্তে মায়ানমারের ওপারে ভারি গুলির শব্দ
শোনা যাচ্ছে। সীমান্তের মানুষজন যেন ভয়ে না থাকে, সেজন্য তাদেরকে বোঝানো হচ্ছে। বিষয়টি
সীমান্ত বাহিনীকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উখিয়া
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব জানান, ‘সকালে উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলির
শব্দ পাওয়ার কথা স্থানীয়রা অবহিত করেছে। এখানে সীমান্তের ৩’শ মিটারের ভেতরে প্রায় ১’শ পরিবার রয়েছে। আমরা তাদের খোঁজ
খবর রাখছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জানা গেছে,
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এক মাসের বেশি সময় ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী
‘আরাকান
আর্মি’র লড়াই
চলছে। ওয়ালিডং ও খ্য মং সেক পাহাড়ে আরাকান আর্মির স্থাপনা ধ্বংস করতে নিরাপত্তা বাহিনীর
সদস্যরা মর্টার শেল নিক্ষেপ করছেন। ফলে সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায়
২৫ হাজার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। এ ঘটনায় সীমান্তের তিনশত পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার
কথা রয়েছে।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ‘আজকেও সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ
পাওয়া গেছে। মাঝে মধ্যে মার্টারশেলের শব্দে এপারের স্থলভূমি কেঁপে উঠে। মনে হচ্ছে মর্টারশেল
এখানে পড়ছে। এমন অবস্থায় সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার
রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল এসে পড়ে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কোনারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেটি বিস্ফোরণে
সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত
হয়েছে আরও পাঁচ জন।
এর আগে শুক্রবার
বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে
আহত হন উইনু থোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যা (২২) নামে এক তরুণ।