আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল কক্সবাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে ৪ দশমিক ১০ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে এই ভূকম্পণ অনুভূত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, মিয়ামারের অভ্যন্তরে ২০ দশমিক ৯০ অক্ষাংশ এবং ৯২ দশমিক ৩৩ দ্রাঘিমাংশে ভূকম্পনটির উৎপত্তি হয়েছে। যেটি ঢাকা থেকে ৩৭৭ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এর ফলে কক্সবাজারে ৪ দশমিক ১০ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের কারণে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



রাবির জিয়া হলের স্বর্ণপদক পুরস্কার পেলেন টেকফ্লিক্সের সিইও নাসিম রানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের স্বর্ণপদক পুরস্কার পেয়েছেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৭ -০৮ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী ও রাজশাহীর স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান টেকফ্লিক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী অফিসার নাসিম রানা মাসুদ। এসময় হলটির আরো ১৭ জন সাবেক কৃতি শিক্ষার্থী ও তিনজন গুণী শিক্ষককে ক্রেস্টের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেল ৫টায় জিয়াউর রহমান হলের মুক্তমঞ্চে কৃতি শিক্ষার্থী ও গুণীজন শিক্ষকদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার ও রাজশাহী-৪ (বাঘমারা) আসনের সংসদ সদস্য ও অত্র হলের সাবেক শিক্ষার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম।

স্বর্ণপদক পুরস্কার পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নাসিম রানা মাসুদ বলেন, একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বর্ণপদক পেয়ে আমি সম্মানিত। এই চমৎকার অনুষ্ঠানের জন্য. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ জিয়াউর রহমান হল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ধন্যবাদ। আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ উপাচার্য ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ- উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সুলতান-উল ইসলামসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দদের প্রতি। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রাজশাহী ৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের প্রতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানকে মহিমান্বিত করার জন্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে সংসদ সদস্য। তারা সকলেই আমাদের গর্ব। আমি আশা করি তাদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় অনেকদূর এগিয়ে যাবে। যারা হলে থেকে পড়াশোনা করেননি, তারা জীবনে অনেককিছু মিস করেছেন। আমাদের আগামী ভবিষ্যত আমাদের থেকেও এগিয়ে যাবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে, এটাই আমাদের অর্জন।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ জিয়াউর হলের আবাসিক শিক্ষক, হল প্রাধ্যক্ষবৃন্দ ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, হলের উন্মুক্ত মঞ্চ উদ্বোধন এবং হলের প্রাক্তনীদের ক্যাম্পাসে এসে থাকার জন্য হলের অফিস ব্লকে ওয়াশরুমসহ পাঁচ আসনের একটি অতিথি কক্ষের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।


আরও খবর



কর্মী হিসেবে অফিসে আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

জীবনের তাগিদে অনেকেরই চাকরি করতে হয়। এ কারণে অফিস বা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। কর্মক্ষেত্রে থাকা সব মানুষগুলো এক ধরনের হয় না। এরপরও সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। কাজের ক্ষেত্রে মতামতে অমিল, দক্ষতায় সাম না হওয়া এবং কারও বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য অনেক সময় বিভেদের সৃষ্টি হয়। এই বিভেদ অনেকে প্রকাশ করেন, আবার কেউ কেউ প্রকাশ করেন না। কিন্তু বিভেদ প্রকাশ হোক বা হোক, মনে বিভেদ থাকলে এ থেকে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়। ফলে এক বা দুজনের কারণে পুরো টিমে এর প্রভাব পড়ে। এমনকী ব্যক্তিজীবনেও এর প্রভাব পড়ে।

কর্মক্ষেত্রে সবসময় টিম বা অফিসের ইতিবাচক হয়, এমন চিন্তাভাবনা এবং এ উদ্দেশ্যে সবার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যেকোনো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে অগ্রসর হতে হবে। কারও সঙ্গে মতামতের মিল না হলে ভেবে দেখতে হবে, দুজনের মধ্যে কার সিদ্ধান্ত অফিসের জন্য সেরা সুফল বয়ে আনবে। কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের কেমন আচরণ ও ব্যবহার হওয়া উচিতএ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্যারিয়ারবিষয়ক পরামর্শ প্রকাশ করা ওয়েবসাইট কেটি রবার্টস।

সততা: ব্যক্তিগত কিংবা অফিশিয়াল জীবনে সততা সবার ঊর্ধ্বে। কর্মক্ষেত্রে সবসময় খোলামেলাভাবে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে গোপনীয়, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বা ক্লায়েন্টের তথ্য অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। কেউ অসৎ আচরণ বা অন্যায় করলে সেটি সহ্য বা সমর্থন করা যাবে না। এমনটা হলে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে হবে।

পরস্পর সম্মান: সবসময় অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রাখতে হবে, এমনকি চাপের সময়ও। নিজে কোনো কারণে কোনো কাজের জন্য চাপে বা জটিলতায় থাকা স্বাভাবিক, তাই বলে সহকর্মীদের কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, আঘাত বা অসম্মান করবেন না। হোক সে আপনার সিনিয়র বা জুনিয়র। সবসময় মৌখিক এবং লিখিতভাবে উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করবেন। নিজের ভুল হলে বা কখনো ভুল বোঝাবুঝি হলে ক্ষমাপ্রার্থী হতে হবে এবং অন্যের ব্যক্তিগত মতামতকেও সম্মান করতে হবে।

মিটিং: কর্মক্ষেত্রে অফিসের উন্নয়ন বা নতুন কোনো পদক্ষেপের জন্য মিটিং, আলোচনা সভার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে আগে থেকেই সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এসব মিটিংয়ে সর্বদা সময়মত পৌঁছান। মিটিংয়ে আপনার কী করতে হবে, তা আগে জেনে-বুঝে নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন। মিটিংয়ে থাকা সবার কথাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে শুনুন এবং নিজের কোনো মতামত থাকলে তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।

যোগাযোগ: সহকর্মীদের সঙ্গে সর্বদা স্পষ্টভাবে কথা বলুন এবং কিছুটা সময় লাগলেও এমন ভাষায় উপস্থাপন করুন, যাতে সবাই তা বুঝতে পারে। সবার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন। সহকর্মীদের সঙ্গে অফিশিয়াল ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়। অফিসের বাইরে সহকর্মীদের সঙ্গে অফিস সংক্রান্ত গসিপে জড়ানোও ঠিক নয়। সরাসরি বা মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সর্বোচ্চ শালীনতা বজায় রাখতে হবে এবং লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষা নির্বাচনে সতর্ক থাকুন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট: অফিসে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আপনাকে দেয়া কাজটি যথাসময়ে করার চেষ্টা করুন। কখনো বিলম্ব করা ঠিক নয়। প্রয়োজনে কয়েক মিনিট আগে অফিসে পৌঁছান। কোনো কারণ দু-একদিন অফিসে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে, তবে সেটি যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়ে যায়। অফিসে গিয়ে কফি পান ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সব গুছিয়ে ঠিক সময়ে অফিসের কাজ শুরু করুন। কাজের মাঝে চা বিরতি ও দুপুরের খাবার এবং বিরতির সময়সূচি মেনে চলুন। কাজ শেষ হলে যথা সময়ে চলে যান।

অফিসের লক্ষ্য: প্রতিটি অফিসেরই নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য থাকে। সেসব বাস্তবায়নে একেকজন কর্মীর ওপর একেক ধরনের দায়িত্ব দেয়া থাকে। আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনি নিজে গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করুন।

দায়িত্ববান হওয়া: নিজের কাজের জন্য নিজেকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যেটি প্রয়োজন সেটি করুন এবং নিজের কাজ অন্যের জন্য রেখে দেবেন না। কোনো কারণে নিজের কিছু ভুল হলে বা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারলে, এটি বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করার অভ্যাস করুন। এ নিয়ে অন্য সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান তৈরি করুন। এতে পরবর্তীতে কাজটি শেষ করা আপনার জন্য সহজ হবে।

টিমওয়ার্ক: কর্মক্ষেত্রে সবাইকে নির্দিষ্ট টিমের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এতে প্রায়ই এমন কিছু পরিস্থিতি হয়, যে কাজগুলো আপনার পছন্দের নয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বাদ রেখে সবার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দলগতভাবে কাজ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: কর্মক্ষেত্র

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শৃঙ্খলায় আনা হয়েছে : মেয়র তাপস

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ৬৯ নম্বরস্থ বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে দেখেছি যে, প্রায় দুর্ঘটনা ঘটত এবং কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটেছে। আমাদের নিয়মিত গাড়ি চালক ছিল না। যানবাহনগুলো সবই প্রায় পুরনো ও লক্কর-ঝক্কর ছিল। ফলে সংগ্রহ ও সরবরাহ ব্যবস্থা খুবই নাজুক অবস্থায় ছিল। ময়লা-আবর্জনা উন্মুক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতো। কিন্তু সেখান থেকে আমরা অনেকটা উত্তরণ ঘটিয়েছি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ২৫টি ডাম্প ট্র্যাক কিনেছি। নতুন প্রায় ১০০ জন নিয়মিত ভারী গাড়িচালক নিয়োগ দিয়েছি। আগে যাকে তাকে দিয়েই গাড়ি চালানো হতো। সেটা এখন নেই বললেই চলে। আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সংস্কার করেছি। এখন আর রাস্তায় উন্মুক্তভাবে বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায় না। এভাবেই আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করছি, শৃঙ্খলায় নিয়ে আসছি।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ধাপে ধাপে উন্নতি করা হচ্ছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, একটি শহর যত বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে সেই শহরের নান্দনিকতা ও সৌন্দর্য ততই বৃদ্ধি পাবে। আগে ঢাকা শহরে নালা-নর্দমা, হাঁটার পথসহ যত্রতত্র বর্জ্য পড়ে থাকত। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই একটি করে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এসব কাজ করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা হলো জায়গার সংকুলান। আমরা এ পর্যন্ত ৬৪টি ওয়ার্ডে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করতে পেরেছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটি নিয়ে চল্লিশতম বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো। আগে আমাদের মাত্র ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ছিলো। অল্প সময়ের মধ্যে ৪০টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমে আমরা আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আর মাত্র ১১টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করলেই পুরো ঢাকা শহর আমাদের এই কার্যক্রমে আওতায় চলে আসবে। সুতরাং আগে আমরা দেখতাম যে, ১০০ ভাগ বর্জ্য রাস্তার উপরে উপচে পড়ত। নোংরা ময়লা মাড়িয়ে মানুষ মসজিদে যেতে পারত না। সেই পরিস্থিতি থেকে আমরা ধাপে ধাপে উন্নতি করছি। বর্তমানে প্রায় ৮০ ভাগ বর্জ্য আমরা সংগ্রহ করতে পারছি। ইনশাল্লাহ, অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা বাকি ২০ ভাগও শেষ করতে পারব এবং উপচে পড়া বর্জ্যের জঞ্জাল থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করতে পারব।

এ সময় এডিস মশার প্রকোপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গতবার যে সকল এলাকায় দশ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেছে সেসকল এলাকায় আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি। সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা থানা, আবাসন, প্রাথমিক-উচ্চ ও মহাবিদ্যালয়ে যৌথভাবে অভিযান করেছি। এর মাধ্যমে সচেতনতা যেমন বেড়েছে তেমনি জনগণের সম্পৃক্ততাও বেড়েছে। কিন্তু তারা যদি দায়িত্বশীল হয়ে কোথাও পানি জমতে না দেয়, বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখে তাহলেই আমরা এডিস মশার প্রকোপ হতে ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে পারব। আমরা ১০০ ভাগ সফল হতে পারব। না, হলে আমাদের এই প্রতিবন্ধকতা রয়েই যাবে।

পরে ঢাদসিক মেয়র কোনাপাড়া থেকে গলাকাটা সেতু সংলগ্ন খাল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এম জে আরিফ বেগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুঁইয়া, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৬৯ নং ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন আহমেদ, ৬৪ নং ওয়ার্ডের মো. মাসুদর রহমান মোল্লা, ৬৬ নং ওয়ার্ডের আব্দুল মতিন সাউদ ও সংরক্ষিত আসনের মাহফুজা আক্তার হিমেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বাজারে আগুন, রোজার আগে সব নিত্যপণ্যের দামই চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান। আর এরই মধ্যে রোজার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ভোক্তারা। তবে এবার রোজা ঘিরে প্রয়োজনীয় প্রায় সব নিত্যপণ্য গত বছরের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। গত এক বছরের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে ছোলা, খেজুর, মসুর ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, বেসন, মাছ ও মাংসের দাম কেজিতে ৪ থেকে ১৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মসলাজাতীয় পণ্য পেঁয়াজের দাম; এই পণ্যটি কেজিতে ১৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তবে গত এক বছরের ব্যবধানে সয়াবিন তেল ও ব্রয়লার মুরগির দাম ৭ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এবার রোজায় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার শুল্ক কমানোসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে সেই সুবিধাগুলো ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁচ্ছাচ্ছে না। তবে সরকার পাইকারি থেকে খুচরা বাজার পর্যায়ে তদারকিতে জোর দিলে সামনে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যেতে পারে।

রোজার আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এসব পণ্যের শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়। শুল্ক কমানোর এক মাস পার হয়ে গেলেও বাজারে এই চার পণ্যের মধ্যে দুটি পণ্যের দাম উল্টো বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।

শুল্ক কমানোর পরও বাজারে খেজুর ও চিনির দাম নতুন করে বেড়েছে। খেজুর মানভেদে কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা এবং চিনি কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভোজ্য তেল সয়াবিন আমদানিতে শুল্ক কমানোর পর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ থেকে কমিয়ে ১৬৩ টাকা করা হয়। যা গত ১ মার্চ থেকে কার্যকর হলেও বাজারে নতুন দরের তেল পাওয়া যাচ্ছে দুই-তিন দিন ধরে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবছরই শুল্ক কমানোর সুবিধা আমদানিকারকা পেলেও ভোক্তাদের কাছে সেই সুবিধা পৌঁছায় না। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়।

ভোক্তারা বলছেন, প্রতিবছরই নানা অজুহাত দিয়ে রোজার আগে আগেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এবারও তাই হচ্ছে। এদিকে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলার সংকট এবং ঋণপত্র খোলা (এলসি) নিয়ে জটিলতার কারণে এবার পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) রাজধানী বাড্ডার কাঁচাবাজারে কথা হয় ক্রেতা ফিরোজা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিবছর রোজার এক সপ্তাহ আগেই পুরো মাসের জন্য বাজার করা হয়। এবার বাজারে ইফতারের আইটেমসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেশি। যার কারণে প্রয়োজনমতো কিছুই কেনা যাচ্ছে না। আগে যেখানে দুই-তিন কেজি ছোলা কিনতাম এবার এক কেজি নিয়েছি। চিনি, ডাল, বেসন এগুলোও প্রয়োজনের চেয়ে কম কিনেছি এবার।’

তিনি বলেন, সরকার স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য টিসিবির মাধ্যমে কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে। কিন্তু আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কিছু করার উচিত ছিল। কারণ আমাদের মতো নির্ধারিত আয়ের মধ্যবিত্তদের জন্য এই বাজারে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে গেছে। খাদ্যের তালিকটা কাটছাঁট করেও এখন চলা যাচ্ছে না।

একই বাজারের মুদি দোকানদার মো. আরমান বলেন, বাজারে পণ্যের দাম বেশি থাকায় ক্রেতারা এবার রোজার বাজার কমিয়ে কিনছেন। যারা আগে একসঙ্গে দুই-তিন কেজি করে ছোলা, চিনি ও ডাল কিনতেন তারাও এখন এক কেজির বেশি নিচ্ছেন না। যার কারণে বেচাকেনা কম এবার।’

কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ডলারের সঙ্গে টাকার যে পরিবর্তন হয়েছে, এতে টাকার আমদানি ব্যয় বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমদানি ব্যয় বাড়লে তার প্রভাব কিছুটা বাজারে পড়ে। এখন সবাই চেষ্টা করে তার যে ব্যয় বৃদ্ধি হলো, সেটি অন্যের ঘাড়ে কিভাবে চাপিয়ে দেওয়া যায়। ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীরা এখন তাদের লাভের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে ভোক্তার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে এবার বাজারে একটা নেতিবাচক প্রভাব আমরা দেখতেছি। সরকার অনেক উদ্যোগ নিয়েছে, তার সুফল এখন পর্যন্ত ভোক্তা পর্যায়ে তেমনভাবে পৌঁছায়নি।’

ক্রেতাদের হুমড়ি খেয়ে পণ্য না কেনার পরামর্শ দিয়ে গোলাম রহমান বলেন, রমজানকে সামনে রেখে ক্রেতারা যদি হুমড়ি খেয়ে পণ্য না কিনে একটু সংযমী হয়ে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কেনেন, তাহলে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে না। আমরা আশা করছি, সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তার প্রভাবে বাজারে পণ্যের দাম কমবে। কারণ এবার বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।’

২০২৩ সালের মার্চ মাসের বাজারদর এবং বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ছোলার দাম গত এক বছরের ব্যবধানে ১১ থেকে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়ে খুচরায় কেজি মানভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১৫৭ থেকে ১৭৫ শতাংশ দাম বেড়ে মানভেদে ৯০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এক বছরের ব্যবধানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়েনি।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ থেকে ১০ শতাংশ কমে ১৬৩ থেকে ১৭৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি কেজিতে ২২ থেকে ২৫ শতাংশ দাম বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট দানার মসুর ডাল কেজিতে ৭ থেকে ৮ শতাংশ দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। সাধারণ মানের খেজুর প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দাম বেড়ে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা ভালোমানের খেজুর আজোয়া ও মরিয়ম মানভেদে কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন সুপারশপে উন্নত মানের খেজুর তিন হাজার টাকা পর্যন্তও বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আমদানিকারক ও পাইকারি শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতির কারণে এখন দাম বাড়তি। প্রতিবছরই বড় এই ঘাটতি আমদানির মাধ্যমে পূরণ করতে হয়। যখনই এসব পণ্যের আমদানি ব্যাহত হয়, তখনই দেশের বাজারে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়ে দাম বেড়ে যায়। এবারও তাই হচ্ছে। বাজারে দাম কমাতে হলে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে এবং সরবরাহ বাড়াতে হলে আমদানির বিকল্প নেই। সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু এখনো আমদানি শুরু হয়নি। যার কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম তেমনভাবে কমছে না।’

চিনির বাড়তি দামের বিষয়ে মেঘনা গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) তসলিম শাহরিয়ার বলেন, বর্তমানে বিশ্ববাজারেই বাড়তি চিনির দাম। এখন একমাত্র ব্রাজিল থেকেই আমাদের চিনি আমদানি করতে হচ্ছে। একটি জাহাজ আসতেই দেড় থেকে দুই মাস সময় লেগে যাচ্ছে। এতে জাহাজ ভাড়া কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নসহ বিভিন্ন কারণে এখন আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। চিনি আমদানিতে নামমাত্র শুল্ক কর কমানোর কারণে দেশের বাজারে চিনির দাম কমানো যাচ্ছে না।’

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএম এন্টারপ্রাইজের হাজী মো. মাঈন উদ্দিন মিয়া বলেন, সরকার নামমাত্র ডিউটি কমিয়েছে। আগে এক কনটেইনার ২৫ টন খেজুরে তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা ডিউটি ছিল। মাঝারি মানের খেজুর এক কনটেইনারে ডিউটি আসে ৬৪ লাখ টাকা। সেখান থেকে বর্তমানে সরকার মাত্র ১০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে। এটাকে কমানো বলে না।’

এদিকে চাল আমদানিতে শুল্ক কমেছে প্রতি কেজিতে সাড়ে ২৩ টাকা। তবে আমদানি মূল্যের চেয়ে বাজারে চালের দাম কম থাকায় আমদানি করতে সাহস পাচ্ছে না আমদানিকারকরা। এই কারণেই চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে।

রাজধানীর চালের পাইকারি সবচেয়ে বড় বাজার বাবুবাজার চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের পরপরই চালের বাজারে অস্থিরতা শুরু হলেও সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নিয়মিত বাজার অভিযানের কারণে এখন বাজার স্থির রয়েছে। পাইকারিতে কেজিতে দুই-তিন টাকা পর্যন্ত দামও কমেছে। বাজারে পর্যাপ্ত চালের মজুদ থাকায় রমজানে নতুন করে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।’ আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার, কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশে চালের বাড়তি দামের কারণে এখন আমদানি হচ্ছে না বলেও তিনি জানান।

রমজানের আগে নতুন করে বাজারে বাড়ছে মাংসের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি কেজি মানভেদে ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে শবেবরাতের দিন রাজধানীর বাজারে হঠাৎ দাম বেড়ে গরুর মাংস ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের মেসার্স মা আয়েশা ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, মুরগির বাজার এখন আগুন। এক সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে। সামনে মুরগির বাজার যে কী হয়, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অবৈধ মজুদদার ও বাজার কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আসন্ন রমজানে ঢাকা সিটিতে কেউ যাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ে কারসাজি করতে না পারে, সে জন্য নজরদারি করা হচ্ছে উল্লেখ করে সিআইডিপ্রধান বলেন, আমরা ১২টি টিম গঠন করে দিয়েছি। তারা মাঠে কাজ করছে, নজরদারি চালাচ্ছে। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে, তাদের ওপর বিশেষ নজরদারি থাকছে।’


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




২৭ বছর ধরে ফাঁকা বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৭ বছর ধরে ফাঁকা পড়ে আছে বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবন। বিরোধীদলীয় নেতাদের কেউ বাড়ি বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি, কেউ বা আবার বরাদ্দ চেয়েও পাননি। বাড়িটি পরিত্যক্ত পড়ে থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবনে প্রবেশে কোনো বাধা নেই। যে কেউ যখন তখন প্রবেশ করতে পারেন। রাজধানীর মিন্টো রোডে আড়াই একর জমির ওপর বাড়িটির পেছনের অংশে বেশ কয়েকটি আধাপাকা টিনশেড ঘর। সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন পানির লাইনের মিস্ত্রী।

এ ছাড়াও সেখানে বসবাস করছেন কয়েকটি সরকারি দপ্তরের মালি, গাড়িচালক ও পাহারাদারদের পরিবার। আরও দুটি টিনশেড ঘরে ১০-১২ জন ব্যাচেলর থাকেন।

মূল ভবনটি বসবাস অনুপেযাগী। দরজা-জানালা ভাঙা। বেশিরভাগ আসবাবপত্র নষ্ট। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। বাড়িটি দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এটি একটি দেশের বিরোধী দলের নেতার সরকারি বাসভবন।

১৯৯১ সালে প্রথম বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে বাড়িটিতে ওঠেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে ২০০১ সালে বরাদ্দ পেয়েও তিনি ওঠেননি। আর ১৯৯৬ সালে বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি খালেদা জিয়া।

তবে ২০১৪ সালে রওশন এরশাদ বাড়িটি বরাদ্দ চেয়েও পাননি। ২০১৮ সালে  হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি। সবশেষ জিএম কাদের বরাদ্দ পেলেও বাড়িটিতে ওঠা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, অব্যবহৃত একটা বাড়ি আছে। আমরা গেলে হয়ত সেটা ব্যবহার করব। দেশের স্বার্থে যদি কিছু হয় আমরা সেটার চেষ্টা করব। আমরা চেষ্টা করব ওখান থেকে অফিস মেইনটেইন করার। আবাসিক ছাড়াও ওই বাড়িতে কিছু সুযোগ-সুবিধা আছে। ওই বাড়িতে আমাদের কাজের কিছু সুবিধা হবে বলে মনে করছি।

তবে গণপূর্ত বিভাগ বলছে, বাড়িটি সংস্কার করতে ঠিকাদার খোঁজা হচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব হাসান বলেন, বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাড়িটির সংস্কার কাজের জন্য ঠিকাদার দেখা হচ্ছে। কাজ শেষ হতে তিন থেকে চার মাস লাগতে পারে।

বাড়িটিকে ২০০৯ হেরিটেজ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। যে কারণে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাড়িটি ভেঙ্গে নতুন করে বানানো যাচ্ছে না।


আরও খবর