আয়াতুল্লাহ আকতার:
করোনাভাইরাস কারণে এ বছরও জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আযহার নামাজের প্রধান জামায়াত রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। জাতীয় ঈদগাহে জামায়াত আয়োজনকারী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন করোনা মহামারীতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় ঈদগাহে কুরবানীর ঈদের জামায়াত আয়োজনের দাবি জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিএসসিসি’র প্রধান সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাস বা মহামারীর কারণে গত ঈদের জামায়াতের ন্যায় আসন্ন ঈদুল আযহার জামায়াতের নামাজ জাতীয় ঈদগাহে আয়োজন স্থগিত আছে। যার প্রেক্ষিতে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আযহার নামাজের আয়োজনের কোনো প্রস্তুতি এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী তথা বাংলাদেশের অবস্থানও হযবরল। করোনা পরিস্থিতি মানুষ মহাআতঙ্কে। তারই মধ্যে সরকার জাতীয় ঈদগাহে কেন্দ্রীয়ভাবে ঈদুল আযহার জামায়াত কতটুকু আয়োজন করতে পারবে কি বা পারবেনা তা-একটি আলোচ্য বিষয়। তবে আমার দৃষ্টিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বল্প পরিসরে হলেও বিশ্বের বৃহত্তর ও উদারপন্থী মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামায়াত আয়োজন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে নামাজের একাধিক জামায়াত করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম বলেন, বিপদ-আপদ, বালা-মুছিবত, রোগ-ব্যাধি সৃষ্টির বিধান। মহান আল্লাহর বিধান ব্যাতীত পৃথিবীর কোনো কিছুই হয়না। আল্লাহর দেয়া জ্ঞানের আলোকে মানুষ পৃথিবীতে প্রযুক্তিও বিজ্ঞানের স্ফুতি ঘটিয়েছে। তাই আমি মনে করি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় ঈদগাহে স্বল্প পরিসরে হলেও ঈদুল আযহার জামায়াতের আয়োজন করা যেতে পারে।
ইসলামী শাসন তন্ত্র আন্দোলনের মিডিয়া চীফ শহীদুল ইসলাম বলেন, বিগত দুটি ঈদে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়নি। কোভিড বা করোনাভাইরাসের কারণে সরকার জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামায়াত স্থগিত রেখেছেন। অতীতের যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমি মনে করি সীমিত পরিসরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আসন্ন ঈদুল আযহায় নামাজ জাতীয় ঈদগাহে আয়োজন করা যেতে পারে।