আসন্ন ঈদুল আজহায় পশু কেনাবেচার জন্য রাজধানীতে ১৬টি স্থানে পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৮টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ৮টি জায়গায় পশুর হাট বসবে। ঈদের তিন দিন আগে থেকে এসব হাটে পশু কেনাবেচা শুরু হবে। এ ছাড়া গাবতলী ও সারুলিয়ার স্থায়ী হাটও থাকবে। নির্ধারিত জায়গার বাইরে কোনো পশুর হাট বসলে আইনগত পদক্ষেপ নেবে দুই সিটি করপোরেশন। ইতোমধ্যে নির্ধারিত স্থানে হাট বসানোর দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ডিএনসিসি নির্ধারিত স্থানগুলো হলো: ভাটারা (সাঈদনগর) সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮নং সেক্টর সংলগ্ন বউবাজার এলাকার খালি জায়গা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাবনগরস্থিত ব্লক-বি থেকে এইচ পর্যন্ত খালি জায়গা (সাবেক বাড্ডা ইউনিয়ন), মিরপুর সেকশন-০৬, ওয়ার্ড-০৬ (ইস্টার্ন হাউজিং)-এর খালি জায়গা, মোহাম্মদপুর বছিলাস্থিত ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত কাঁচকুড়া বেপারীপাড়ার রহমাননগর আবাসিক প্রকল্পের খালি জায়গা। এ ছাড়া গাবতলীয় স্থায়ী হাটও রয়েছে।
অন্যদিকে ডিএসসিসি নির্ধারিত স্থানগুলো হলো: ঢাকা-১০ আসনের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, ঢাকা-৪ আসনে পোস্তগোলা শশ্মানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা, ঢাকা-৯ আসনে মেরাদিয়া বাজার ও আশপাশের খালি জায়গা, ঢাকা-৮ আসনে লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ঢাকা-৫ আসনে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ঢাকা-৬ আসনে ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মক্ত এলাকা, ঢাকা-৭ আসনে লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা এবং ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউন এলাকা।
গত বছর স্থায়ীসহ ডিএসসিসিতে মোট হাটের সংখ্যা ছিল ১১টি। সেই হিসেবে এবার দুটি হাট কমানো হয়েছে। সেগুলো হলো- উত্তর শাহজাজানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাব ও আশপাশের খালি জায়গা এবং শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকা। এবার এই দুটি স্থানে হাট বসছে না। নির্ধারিত আটটি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করেছে ডিএসসিসি। প্রথম দফায় আগামী ২৫ মে পর্যন্ত দরপত্র কেনা ও জমা দেওয়া যাবে।
ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. রাসেল সাবরিন বলেন, যানজট বিবেচনায় মেয়রের নির্দেশে প্রতি বছর হাটের সংখ্যা কমানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এ বছর ঈদুল আজহায় সিটি করপোরেশনের প্রতিটি নির্বাচনী আসনকেন্দ্রিক একটি করে অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ক্রেতাদেরও সুবিধা হবে, যানজটও এড়ানো যাবে। সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
গত বছর পশুর হাট থেকে ২১ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার ৫৫৫ টাকা রাজস্ব পায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এবার বাজেটে পশুর হাট থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যস্থির করা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন চার ধাপে অস্থায়ী পশুর হাটের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করবে। এর মধ্যে প্রথম দরপত্র আহ্বান করা হবে ১৫ মে এবং চূড়ান্ত দরপত্র ১৮ জুন। দরপত্রের অংশগ্রহণে ইজারা মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ পরিচ্ছন্ন ফি জমা দিতে হবে।