পবিত্র ঈদুল আজহা
উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হচ্ছে শুক্রবার (০১ জুলাই)। সকাল ৮টা থেকে
অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে। এবার ঈদে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে বলে
জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এবারও ৫০ শতাংশ কাউন্টার আর ৫০ শতাংশ টিকিট মিলবে অনলাইনে।
১ জুলাই থেকে ৫ জুন পর্যন্ত চলবে অগ্রিম টিকিট বিক্রি।
১ জুলাই ৫ জুলাইয়ের,
২ জুলাই ৬ জুলাইয়ের, ৩ জুলাই ৭ জুলাইয়ের, ৪ জুলাই ৮ জুলাইয়ের এবং ৫ জুলাই ৯ জুলাইয়ের
টিকিট বিক্রি হবে।
প্রতিদিন সকাল
৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাউন্টারের এবং সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা
হবে। ‘টিকেট যার ভ্রমণ তার’ নিশ্চিত করতে জাতীয়
পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি দেখিয়ে টিকিট কাটতে হবে।
রেল মন্ত্রণালয়
জানায়, ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে সমগ্র উত্তরাঞ্চলগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট, কমলাপুর
শহরতলী প্লাটফরম থেকে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেনের টিকেট, ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে
চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট, তেজগাঁও স্টেশনে পাওয়া যাবে ময়মনসিংহ,
জামালপুর, দেওয়ানগঞ্জগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকেট।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
স্টেশনে পাওয়া যাবে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট, ফুলবাড়িয়া
স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের টিকেট।
গাজীপুরের জয়দেবপুর
রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকেট
বিক্রি হবে।
এবার ঈদুল আজহা
উপলক্ষে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ঈদে জয়দেবপুর থেকে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ঈদ স্পেশাল
ট্রেন’ জয়দেবপুর থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত চলাচল করবে। তবে রংপুর ও লালমনিরহাটের যাত্রীরা
পার্বতীপুর থেকে কানেকটিং ট্রেনে ফিরতে পারবে। জয়দেবপুর এবং কমলাপুরে এই বিশেষ ট্রেনের
টিকেট বিক্রি করা হবে।
অন্যদিকে, ঈদের
ফেরত টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই। ঈদ শেষে ফিরতি ট্রেনের ক্ষেত্রে ১১ জুলাইয়ের টিকেট
পাওয়া যাবে ৭ জুলাই, ১২ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকেট ৮ জুলাই, ১৩ জুলাইয়ের টিকেট ৯ জুলাই
এবং ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের টিকেট ১১ জুলাই পাওয়া যাবে।
গত ২২ জুন রেল
ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ঈদে রেলের যাত্রা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন রেলপথ
মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।