আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ঈদের জামাত নিয়ে যে নির্দেশনা দিলো ধর্ম মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চলমান লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। তবে ঈদুল আজহার নামাজ স্বাস্থবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে ঈদগাহ, খোলা জায়গা ও মসজিদে আদায় করা যাবে।

মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ৩০ জুন ও ৫ জুলাই কতিপয় বিধি-নিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিম্নবর্ণিত শর্তসাপেক্ষে ১৪৪২ হিজরি/২০২১ সালের পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামায়াত আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে যথোপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঈদুল আজহার জামায়াত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

২. মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

৩. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদ/ঈদগাহে আসতে হবে। ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৪. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মসজিদ/ঈদগাহে ওজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৫. মসজিদ/ঈদগাহের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে।

৬. ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর দাঁড়াতে হবে।

৮. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হলো।

৯. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

১০. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঈদের জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।

১১. করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ হতে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং আমাদের কৃত অন্যায়-অপরাধের জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।

১২. খতিব, ইমাম, মসজিদ/ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লিখিত নির্দেশনা লংঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।

গত বছর করোনা সংক্রমণের কারণে খোলা জায়গার পরিবর্তে মসজিদে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করা হয়।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




দু’দিন ধরে যোগাযোগ বন্ধ, উৎকণ্ঠায় জিম্মি নাবিকদের পরিবার!

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

সোমালি জলদস্যুরা এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি ছিনতাই করার পর প্রথম দিকে জিম্মি নাবিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ দিলেও গত দুই দিন ধরে সেটি বন্ধ রয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) থেকে রবিবার (১৭ মার্চ) পর্যন্ত জিম্মি নাবিকদের কাছ থেকে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু সাইদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবারের পর থেকে আজ পর্যন্ত জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই নাবিকরা এখন কেমন আছেন, জাহাজে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা এসব বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য পাচ্ছি না।’

জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাদের স্বজনরা। তারা বলছেন, প্রথম দিকে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ দিলেও এখন কেন দিচ্ছে আমরা বুঝছি না। এটি নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। এটি ভারতীয় নৌবাহিনীসহ ইইউর অভিযানের কারণে নয়তো? অন্যদিকে ছিনতায়ের পর ছয়দিন পার হতে চললেও এখনও মুক্তিপণ চেয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি জলদস্যুরা। তাই জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে তৎপরতাও শুরু করতে পারছে না মালিকপক্ষ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম গত শনিবার (১৬ মার্চ) জানান, সোমালিয়ার জলদস্যুরা যখন বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করে সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ অভিযান চালানোর জন্য বাংলাদেশের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু জাহাজটিতে থাকা নাবিক, ক্রু এবং অন্যদের প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা ভেবে বাংলাদেশ সরকার অভিযানের অনুমতি দেয়নি।

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলামের স্ত্রীর ভাই শিবলি মাহমুদ বলেন, মঙ্গলবার সর্বশেষ আমাদের সঙ্গে তৌফিকুল ইসলামের যোগাযোগ হয়। তখন জানিয়েছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে। এরপর গত পাঁচদিন ধরে তার সঙ্গে আমাদের আর যোগাযোগ হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ না হওয়ায় আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি। বিশেষ করে যখন শুনেছি ভারতীয় নৌবাহিনী এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে, হাইজ্যাক হওয়া মালটার একটি জাহাজ উদ্ধারের সময় ৩৫ জন জলদস্যুকে আটকের ঘটনা আমাদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জলদস্যুরা এখন জিম্মি নাবিকদের নির্যাতন করতে পারে।’

একই ধরনের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের থার্ড অফিসার তারিকুল ইসলামের বড় ভাই আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার যে যোগাযোগ হয়েছে এরপর আমাদের সঙ্গে আমার ভাইয়ের আর যোগাযোগ হয়নি। গত দুই দিন তার কাছে থেকে কোনো বার্তা পাইনি। তাই জিম্মি অবস্থায় এখন তারা কেমন আছে সেটি উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছি। খবর শোনার পর থেকে আমার মা অনবরত কাঁদছেন। ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় ঠিক মতো খাওয়া দাওয়াও করছেন না। জিম্মি জাহাজ উদ্ধারের খবর শুনে আমরা আরও বেশি দুশ্চিন্তায় আছি।’

গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুরে জাহাজ থেকে বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এরপরপরই জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় জাহাজটি। এরপর সেখান থেকে জাহাজটিকে চালিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে সোমালিয়ার গারাকাদ বন্দরের কাছে নোঙর করে। এরপর শুক্রবার জাহাজটির নোঙর তুলে ফেলা হয় এবং দুপুর থেকে সেটিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

সন্ধ্যা পর্যন্ত জাহাজের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) পক্ষ থেকে এমভি আব্দুল্লাহর সর্বশেষ অবস্থান জানানো হয়েছে।

বিএমএমওএ’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, গতকাল জাহাজটি যেখানে নোঙর করা ছিল, সেখান থেকে আজ ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তর দিকে সরিয়ে সোমালিয়ার গদবজিরান উপকূলে নেওয়া হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে আমরা তথ্য পেয়েছি বর্তমানে গদবজিরান শহর থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা হয়েছে।’

জিম্মি নাবিকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই জাহাজে থাকা ২০ জন জলদস্যু জাহাজের ক্যাপ্টেনকে বাধ্য করেছে নোঙর পরিবর্তন করে নতুন জায়গায় গিয়ে নোঙর করতে। অবস্থান পরিবর্তনের সময় জাহাজ পরিচালনা করেছেন জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং নাবিকরা। কিন্তু তাদের জাহাজ মুভ করতে হয়েছে জলদস্যুদের কথা অনুযায়ী।

বাংলাদেশ থেকে শনিবার দুপুরে জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা একজন ক্যাপ্টেন বলেন, এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি নতুন জায়গায় গিয়ে নোঙর করার আগে আমরা সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। এরপর পুনরায় যোগাযোগ করার কথা থাকলেও নতুন অবস্থানে যাওয়ার পর থেকে নাবিকদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গত দুই দিন নাবিকদের কাছ থেকে আর কোনো সাড়া পাইনি।’

অন্যদিকে গত ছয়দিনে মুক্তিপণ চেয়ে জলদস্যুরাও যোগাযোগ করেনি। এ সস্পর্কে জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা মুক্তিপণ চেয়ে যোগাযোগ করেনি। তাই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে জলদস্যুরা যোগাযোগ না করলেও আমরা বসে নেই। আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, জলদস্যুরা যোগাযোগ করলে যাতে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে নেওয়া যায়।


আরও খবর



গাজীপুরে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে নাইস ফেব্রিক্স লিমিটেড নামে ওই পোশাক কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কারখানার একটি মেশিনে আগুন লাগে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

নোমান গ্রুপের নাইস ডেনিম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে নোমান গ্রুপের নাইস ফেব্রিক্স লিমিটেডের সেন্টার মেশিনের চিমনিতে আগুন দেখা যায়। আগুন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তাৎক্ষণিকভাবে কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক দল কাজ শুরু করে। এর কিছু সময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি। এতে কোনো হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি।

কারখানার লাইন ইনচার্জ হিরো জানান, কারখানার আগুন টিনশেডের ওপরে ময়লার মধ্যে লেগে যায়। কারখানার নিজস্ব ফায়ার ফাইটার টিম মুহূতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন শেডের ওপরের ময়লায় লাগায় দূর থেকে অনেক বড় ঘটনা মনে হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: গাজীপুর

আরও খবর



লাইভে এসে ফোনালাপের রহস্য ফাঁস করলেন তামিম

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ফোনালাপকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। একদিন পর সেই ফোনালাপের রহস্য ফাঁস করলেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে হুট করেই কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে তামিম এবং মিরাজের ফোনালাপ ফাঁস হয়। সিনিয়র দুই ক্রিকেটারের চাঞ্চল্যকর এই ফোনালাপে মুশফিকুর রহিম এবং মিরাজকে হুমকি-ধামকি দিতে শোনা যায় তামিমকে। ফলে বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। একদিন পরে তামিম নিজেই বিষয়টি সবার সামনে নিয়ে আসেন।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরেই নিজের ফেসবুকে লাইভে আসার ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন তামিম। ঠিক সন্ধ্যা ৭টায় মিরাজকে নিয়ে লাইভে আসেন তিনি। এসময় লাইভে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিমকেও যুক্ত করেন এই ক্রিকেটার। এই ৪ ক্রিকেটার মিলে ফাঁস করেন আসল রহস্য।

মূলত ইচ্ছা করেই নিজেদের ওই ফোন কল ফাঁস করেছেন তামিম এবং মিরাজ। ওই ফোন কলটি ছিল মোবাইলভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান নগদের নতুন একটি ক্যাম্পেইনের অংশ। তামিম-মিরাজের সঙ্গে এই ক্যাম্পেইনে কাজ করছেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকও। লাইভে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তারকা এই ক্রিকেটাররা।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




‘প্রেস্টিজিয়াস ব্র্যান্ড অব এশিয়া’ অ্যাওয়ার্ড জিতল বসুন্ধরা টিস্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের খ্যাতনামা ব্র্যান্ড বসুন্ধরা টিস্যু প্রেস্টিজিয়াস ব্র্যান্ড অব এশিয়া ২০২৩-২৪ অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। দুবাইয়ের হিলটন হোটেলে গ্লোবাল বিজনেস সিম্পোজিয়াম ২০২৪-এ সম্মানসূচক পুরস্কারটি পায় বসুন্ধরা টিস্যু।

এ পুরস্কার বসুন্ধরা টিস্যুর ধারাবাহিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং শিল্পমানের ওপর এর রূপান্তরমূলক প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয়, যা এশিয়ার বাজারে তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করেছে।

গুরুত্বপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প খাতের নেতৃস্থানী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে গুণমান, উদ্ভাবন এবং টিস্যু শিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদানে বসুন্ধরা টিস্যুর দৃঢ়প্রত্যয়েরর কথা তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, উচ্চমানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহে অনড় তীব্র প্রতিযোগিতামূলক স্থানীয় বাজারে ব্র্যান্ডটিকে দারুণ অবস্থানে নিয়ে গেছে। প্রিমিয়াম পণ্যের জন্য পরিচিত বসুন্ধরা টিস্যু এখন গুণমান এবং নির্ভরযোগ্যতার আরেক নাম হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রেস্টিজিয়াস ব্র্যান্ড অব এশিয়া ২০২৩-২০২৪ অ্যাওয়ার্ড এশিয়ার বাজারে বসুন্ধরা টিস্যুর নেতৃত্ব ও অবস্থানের প্রমাণ।

গ্লোবাল বিজনেস সিম্পোজিয়াম ২০২৪ একদিকে যেমন বসুন্ধরা টিস্যুর সাফল্য উদযাপনের উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি দিলো, পাশাপাশি উপস্থাপন করলো ব্র্যান্ডের শ্রেষ্ঠত্বও। এ পুরস্কার টিস্যু শিল্পে প্রধান ব্র্যান্ড হিসেবে বসুন্ধরা টিস্যুর অবস্থানকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অন্যদের সামনে অনুকরণের মানদণ্ড ঠিক করে দিয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বসুন্ধরা টিস্যু

আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




গাজায় শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, বিশ্বমানবতা কোথায় : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সবসময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার থাকে, পাশাপাশি দেখি তাদের দ্বিমুখী আচরণ।

গাজায় যখন শিশু-নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের মানবতাবোধ কোথায় থাকে? গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! এটাই আমার প্রশ্ন।

রোববার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে একই দিন ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির শিক্ষা শিশুকাল থেকে পাওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার। শিশুরা যাতে সুন্দর পরিবেশে মানুষ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি। এ সময় জাতীয় দিবস সম্পর্কে শিশুদের যথাযথ শিক্ষা দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর