ঈশ্বরদী রেলওয়ে সুপার মার্কেট উচ্ছেদের
মাইকিংয়ের পর এবার অর্ধশতাধিক দোকানে লাল ক্রস চিহ্ন দিয়ে দোকান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ
দিয়েছে পাকশী রেলওয়ে ভূমি সম্পদ কার্যালয়। দোকানে লাল ক্রস চিহ্ন দেওয়ার পর ব্যবসায়ীদের
মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে পাকশী
রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ এবং ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানের
নেতৃত্বে বিভাগীয় কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৩০ সদস্যের একটি দল
রেলওয়ে মার্কেটে গিয়ে ঈদের পর দোকান সরিয়ে নিতে দোকানিদের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে এসব
দোকানে লাল রঙের ক্রস চিহ্ন দিয়ে উচ্ছেদের জন্য চিহ্নিত করেন।
ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ জানান, রেলের
কাছে থেকে লিজ নিয়ে ৫০ বছর ধরে এখানে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ ব্যবসা করে আসছেন। এ মার্কেটের
সবাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এটি গরিবের মার্কেটে হিসেবে পরিচিত। এখানকার দেড় শতাধিক দোকানে
কম দামে পোশাক বিক্রি হয়। এ মার্কেটের দোকানপাট ঈদের আগে উচ্ছেদের জন্য কয়েকদিন আগে
হঠাৎ করে মাইকিং করা হয়েছিল। রেল কর্তৃপক্ষ ঈদের পর এখানকার ৫০টি দোকান উচ্ছেদ করবে
বলে আজ এসে জানিয়ে গেলো এবং দোকানে লাল ক্রস চিহ্ন দিয়ে গেছে।
মার্কেটের ব্যবসায়রা বলেন, আমরা এতগুলো
ব্যবসায়ী এখন কোথায় যাবো? এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে আমাদের পথে বসতে হবে। রেলের কাছে
আমরা পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।
ব্যবসায়ী আকরাম রায়হান বাবু বলেন, এখানকার
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এ শহরে রেলের বহু জায়গা পতিত পড়ে আছে।
রেল কর্তৃপক্ষ মানবিক দিক বিবেচনা করে এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করতে পারে।
রেলওয়ের ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান
বলেন, এতদিন রেলের এ জায়গার প্রয়োজন ছিল না। এখন ভারত থেকে আসা ওয়াগন দ্রুত আনলোড করার
জন্য এ জায়গাটি প্রয়োজন। তাই নিয়মানুযায়ী দোকানদারদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের পর দোকান
সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
পাকশী বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ
সূফি নূর মোহাম্মদ বলেন, ভারতীয় মালবাহী ট্রেনের ওয়াগন ঈশ্বরদী মালগুদাম শেডে লোড-আনলোড
হয়। এখানে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আরও বেশি জায়গা প্রয়োজন। এজন্য এ মার্কেট উচ্ছেদের
জন্য নোটিশ দিয়েছি। সামনে ঈদ হওয়ায় মানবিক কারণে এ মার্কেট এখন উচ্ছেদ করা হলো না।
ঈদের পর দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।