আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ঈদযাত্রায় প্রতিদিন পরিবহন সংকটে পড়বে ১৪ লাখ মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদুল ফিতরের আগের চারদিনে প্রতিদিন গড়ে ঢাকা ছাড়বে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। কিন্তু সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথ মিলিয়ে ঢাকা থেকে প্রতিদিন যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা সর্বোচ্চ ১৬ লাখ। ফলে আসন্ন ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ১৪ লাখ মানুষ পরিবহন সংকটে পড়বে বলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক জরিপে উঠে এসেছে। জরিপটি করেছেন দুর্ঘটনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান। তিনি  বলেন, পরিবহন সংকটে পড়া মানুষকে ট্রেনের ছাদ, লঞ্চে ওভারলোড, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানের মতো ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবস্থায় যাতায়াত করতে হবে।

অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, ২০১৮-১৯ সালের ঈদুল ফিতরে ১ কোটি ১৫ লাখ মানুষ ঢাকা থেকে বের হয়েছিল। করোনার সময় হওয়া ঈদগুলোয় ঢাকা থেকে ৬০ লাখের মতো মানুষ বের হয়েছে। গত চার ঈদে যেহেতু মানুষ ঢাকা ছেড়েছে তুলনামূলক কম, সেহেতু এবার আমরা ধারণা করছি ১ কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ ঢাকা ছাড়বে। ঈদের আগের চারদিনেই মূলত সিংহভাগ মানুষ ঢাকা ছাড়ে। এ হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা থেকে বের হবে। কিন্তু যে পরিমাণ পরিবহন ব্যবস্থাপনা আছে, লঞ্চ, ট্রেন ও বাস এবং বিমান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলসব মিলিয়ে প্রতিদিন ১৬ লাখ মানুষের ঢাকা থেকে বের হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। ১৪ লাখ মানুষের একটা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এ ১৪ লাখ মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঢাকা ছাড়তে হবে। এটা একটা গড় হিসাব। ঈদের আগের চারদিনের মধ্যে যেকোনো দিন এ সংখ্যাটি কম বা বেশি হতে পারে। যেদিন যাত্রীর সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে, সেদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই আরো ভয়ানক হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন তিনি।

অধ্যাপক হাদিউজ্জামান আরো বলেন, ২০২১ সালে ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৪ দিন সড়কের দুর্ঘটনার সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। গতবার যাত্রী ছিল ৬০ লাখ। এবার কিন্তু যাত্রীর সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের ঈদযাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এ ঝুঁকি এড়ানোর একটি উপায় হলো গণপরিবহনগুলোয় সক্ষমতার চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি না করা। অতি মুনাফার লোভে কেউ যেন ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী পরিবহন করতে না পারে, সেজন্য প্রশাসনকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। ২০ রমজানের পর থেকেই যাদের সুযোগ আছে, পরিবারের সদস্যদের আগেভাগে পাঠিয়ে দেয়া হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে। ঈদ কিংবা উৎসবের সময় মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে হলে বিকেন্দ্রীকরণের কোনো বিকল্প নেই বলে মত দেন তিনি।

এদিকে আসন্ন ঈদযাত্রায় অসহনীয় যানজট, পথে পথে যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ঈদযাত্রায় অসহনীয় যানজট, পথে পথে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা’ বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এবারের ঈদযাত্রায় রাজধানীবাসী যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে। তাই এ মুহূর্ত থেকে রাজধানীর সব পথের ফুটপাত ও রাস্তা হকার ও অবৈধ পার্কিংমুক্ত করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হতে হবে। যানজট নিয়ন্ত্রণে রাস্তার মোড় পরিষ্কার ও ছোট যানবাহন বিশেষ করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, কিছু অসাধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও পরিবহন নেতাদের চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন টোল পয়েন্টের কারণে জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট হয়। ঈদযাত্রায় সড়কে চাঁদাবাজি ও যানজটমুক্ত করার দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বক্তব্য রাখেন। এ সময় যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ঈদুল ফিতর

আরও খবর
আজ বিশ্ব পানি দিবস

শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪

আজ আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস

বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪




রমজান সামনে রেখে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে বরিশালে আরেক দফায় বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। মাছ-মাংসের দামও আকাশচুম্বী। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতাদের।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। যা কিছুদিন আগেও ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। একইভাবে ৮০ টাকা কেজি দরের মসুর ডাল ১১০ টাকা, ৭৮ টাকার খেসারি ডাল ১১০ টাকা, ৭৫ টাকার ছোলা বুট ১০০ টাকা, ১৯০ টাকার রসুন ২০০ টাকা, ১৬০ টাকার আদা ২২০ টাকা, ১৩৫ টাকার এলসি চিনি ১৪৫ টাকা, মুগ ডাল ১৬০ টাকা, চিড়া ৭০ টাকা, আখের গুড় প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকায়।

নগরীর আলেকান্দার মুদি দোকানি জহুর কাজী বলেন, রমজান উপলক্ষে সব মালের দাম বাড়তি। পাইকরি বাজার থেকে তারা যে দামে পণ্য কেনেন তার চেয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।

নগরীর সাগরদী বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইসলাম ব্রাদার্সের মো. সাদী জানান, রমজানকে সামনে রেখে ডালজাতীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। ভারতীয় পিঁয়াজ না আসায় দেশীয় পিঁয়াজের বাজারও চড়া। তিনি বলেন, ডলার সংকটের কারণে বড় আমদানিকারকরা নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছেন না। যে পণ্য মজুদ আছে তার চেয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেশি। এ কারণে বাজার দর বাড়তি। রমজানের আগে কোনো পণ্যের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে ধারণা করছেন তারা।

নিত্যপণ্যের পাশাপাশি মাছ-মাংসের দামও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি আড়াই শ টাকা এবং গরুর মাংস সাড়ে ৭শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি চিংড়ি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০, বেলে মাছ ৬০০ থেকে ৮০০, দেশীয় রুই-কাতলা ৪০০, নদীর পাঙ্গাস ৮০০ থেকে ৮৫০, কোরাল ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। নগরীর পোর্ট রোড বাজারে ১ কেজি সাইজের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকায়। রপ্তানিযোগ্য এলসি সাইজ প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে। রমজানে মাছের দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন নগরীর পোর্ট রোড বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হালিম।

রমজান মাস শুরু না হতেই বগুড়ায় খেজুরের দাম বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। রমজান শুরু হলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। এদিকে আমদানিকারক ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক ও করহার বৃদ্ধি, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে এ বছর খেজুরের দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে খেজুরের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়ায় খেজুরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে তিউনেশিয়ার খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। মাশরুপ খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। গত বছর দাবাস খেজুর বিক্রি হয়েছিল ৩৫০ টাকা কেজি। কিন্তু এ বছর দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। এ ছাড়াও ফরিদা খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা, রেজিস ৩৫০ টাকা, জাহেদি ২৪০ টাকা, খালাস ৩৬০ টাকা, ব্লাকবড়ি ৬৫০ টাকা ও ইরাকি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ইরাকি খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ছিল ১০০ টাকা। দুবাইয়ের ইরাকি জাহেদি জাতের খেজুর ১০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা। দাবাস ও লুলু জাতের খেজুর ১০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ২ হাজার ৪০০ টাকা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




হবিগঞ্জে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে লাখাই উপজেলায় গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যরাতে উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের গোয়াকারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়া (৪৫) সদর উপজেলার ধল গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে।

লাখাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত অনুমানিক ১২টার দিকে ওই স্থানে কয়েকজন ডাকাত মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করছিল। এ সময় গ্রামবাসী ধাওয়া দিয়ে হিরাজ মিয়াকে গণপিটুনি দেয়। আর জনতার ধাওয়া খেয়ে বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হিরাজ মিয়াকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

নিহত ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



সাংবাদিক রানার মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদ ও আইন অপব্যবহারকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী শহরের চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিক রানাকে মুক্তি দিতে হবে। নয় তো আরও কঠোর আন্দোলন শুরু হবে। সেই সাথে ইউএনও এবং এ্যাসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করতে হবে। সেই মামলায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, জেলের ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের কলম আটকানো যাবে না। ইতিপূর্বে জিডিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানী করা হয়েছে। এখন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার দেখিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কলম চলবে। মামলা ও জেলের ভয় করিনা। মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন বক্তারা।

এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, দেশ রূপান্তরের ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা ফিরোজ আমিন সরকার রাসেল, ইত্তেফাকের তানভীর হাসান তানু, দীপ্ত টেলিভিশনের মঈনুদ্দিন তালুকদার হিমেল, দৈনিক বাংলার সোহেল রানা, দৈনিক কালেরকণ্ঠের হারুন অর রশিদ, আজকের পত্রিকার আল মামুন জীবন, অধিকারের মাজেদুল ইসলাম হ্নদয়, ইলিয়াস আলী, আনোয়ার হোসেন আকাশসহ অন্যান্য সংবাদকর্মীরা।


আরও খবর



অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্য আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের ভাদসা এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যক আটক করেছে র‌্যাব।

আটককৃতরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার পন্ডিতপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে  রাব্বি হোসেন (২১), বামনপাড়া গ্রামের পরিমল চন্দ্রের ছেলে শ্রী প্রিয় সৌরভ (২০) ও পাবর্তীপুর গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে রিসাদ হোসেন (২১)।

রোববার (৩ মার্চ) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট র‌্যাব-৫ সিপিসি-৩ কোম্পানি অধিনায়ক মেজর শেখ সাদিক।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমসাময়িক সময়ে জয়পুরহাট এ কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিশোর গ্যাংদের আচরণে এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমন কোন অপরাধ নেই যার সঙ্গে এরা জড়িত হচ্ছে না। এরই প্রেক্ষিতে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র‍্যাব।

র‍্যাব আরও জানায়, এরই প্রেক্ষিতে শনিবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যদের অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, পরবর্তীতে অটককৃত আসামিদের জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



বিসিবিতে যুক্ত হচ্ছেন দুই নারী আম্পায়ার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। গত দুই বছরে বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছে তারা। সেই ধারায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই নারীকে আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিবি।

সেই দুই আম্পায়ারের একজন সাথিরা জাকির জেসি অন্যজন মিশু চৌধুরী। বিসিবির চুক্তিতে এতদিন পুরুষ আম্পায়ার থাকলেও ছিল না কোনো নারী আম্পায়ার।

শনিবার বোর্ড সভায় দুই জন নারী আম্পায়ারকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।

তিনি বলেন, 'গতকাল বোর্ড সভায় চূড়ান্ত হয়েছে দুই জনের নিয়োগের বিষয়। এক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের নিয়োগের সবকিছু কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারা এখন ট্রেনি হিসেবেই চুক্তিতেই ঢুকবে। যে কারণে টাকার অঙ্কটা একটু কম থাকবে। আসন্ন ডিপিএল দিয়েই তারা আম্পায়ারিং করবে। একজন থার্ড আম্পায়ার বা একজন অনফিল্ড আম্পায়ার এভাবেই শুরু হবে ধীরে ধীরে। আমাদের সবমিলিয়ে ২৬ জন আম্পায়ার চুক্তিতে রয়েছেন।'

২০১১ সালে আম্পায়ারিং পরীক্ষায় পাস করেন মিশু, তখন তিনি মূলত ক্রিকেটার। পরের বছর স্কুল ক্রিকেট আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক। বাংলাদেশে নারী আম্পায়ারদের খুব একটা কদর ছিল না। তাই এই ক্যারিয়ারে দীর্ঘ বিরতিতে যেতে হয় তাকে। যদিও বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ঠিকই সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেলেন তিনি।

অন্যদিকে ২০০৯ সালে আম্পায়ারিং কোর্স করেন জেসি। ২০২২ সালে এসে তিনি মাঠে নামেন আম্পায়ার হিসেবে। গতবছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫১ বছর পূর্তির দিনে সাবেক ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে প্রদর্শনী ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪