বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় ধাপের অবরোধের প্রথম দিনে পাবনার ঈশ্বরদীতে রেলগেট এলাকায় মুহুর্মুুহু বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রেলগেট এলাকায় পরপর ৬টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ১টি ট্রাক ভাঙচুর ও রেললাইনের ওপর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, অবরোধের সমর্থনে বিএনপির ২০-২৫ জন যুবক রেলগেটে এসে পরপর ৬টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এরপর রেল লাইনের ওপর আগুন জ্বালিয়ে অবরোধের সমর্থনে শ্লোগান দেয়। রেলগেটের কাছে একটি ট্রাকের হামলা চালিয়ে সামনে গ্লাস ভাঙচুর করে। বিকট শব্দে পর পর ককটেল বিস্ফোরিত হলে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মুহূর্তেই রেলগেট থেকে শুরু করে বাজার এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়কের সকল দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় প্রাণভয়ে সাধারণ মানুষ ছোটাছুটি শুরু করে।
এদিকে, খবর পেয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শত শত নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে রেলগেটে পশ্চিমপাশে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুর ব্যক্তিগত কার্যালয় ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব মেহেদি হাসানের কার্যালয় ভাঙচুর করে।
এর পরপরই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবরোধের বিরুদ্ধে শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন>> চরফ্যাশনে গভীর রাতে বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
পরপরই বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন, জেলা ও স্থানীয় পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী থানার ওসি অরবিন্দ সরকারসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, ধ্বংসাত্মক রাজনীতির অংশ হিসেবে অগ্নিসন্ত্রাসীরা চোরের মতো ককটেল ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বিস্ফোরণের পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।