আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

এগারো মাসেও রেজাল্ট হয়নি ববি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. জাহিদ হোসেন, ববি প্রতিনিধি

Image

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ৩য় বর্ষের রেজাল্ট তৈরি হয়নি ১১ মাসেও ৷ ফলে ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা আটকে আছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। একদিকে চাকরির চিন্তা, অন্যদিকে পরিবারের চাপে অস্থির হয়ে পড়েছেন স্নাতক শেষ করতে না পারা এমন অনেক শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত বছরের জুলাই মাসে। এখন মে মাসের প্রায় শেষের দিকে অর্থাৎ ১১ মাস হয়ে গেছে কিন্তু রেজাল্ট তৈরিই হয় নি।

এ প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে এই বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলা হয়। সকলেই সমস্যার কথা বলেছে, কিন্তু কেউ ভয়ে নামপ্রকাশ করতে চায় নি।

এসব শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের সাথে পড়ুয়া সকলেরই স্নাতক শেষ কিন্তু তারা আদৌ চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কবে দিবে সেটাই জানে না। এখনো রেজাল্ট তৈরি হয় নি। বিভাগে রেজাল্টের কথা জিজ্ঞেস করলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের গাফলতির কথা বলে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর বলে সেকেন্ড এক্সামিনারের কথা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন এক শিক্ষার্থী বলেন, বাসা থেকে অসুস্থ বাবা-মা যখন ফোন করে বলে বাবা কবে শেষ হবে তোর অনার্স। তোর সাথে বাকিদের অনার্স তো শেষ। তোর কামাই খেয়ে কী মরতে পারবো না!  তখন কোনো জবাব দিতে পারি না! পৃথিবীর নিকৃষ্ট সন্তান মনে হয় নিজেকে। সবকিছু দেখে মনে হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আমাদেরকে দয়া মায়া করে ভর্তি নিছে। তাই তারা আমাদের সাথে যা ইচ্ছে তাই করছে। সেদিনও এক বন্ধু এই চরম হতাশা থেকে গলায় ফাঁস দিতে গেছে। যদি এমন অঘটন ঘটেই যায় তাহলে এর দায়ভার কে নিবে? আচ্ছা আমাদের এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করার মতো কী কেউ নাই?

বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, সেকেন্ড এক্সামিনার খাতা নিয়ে জাপানে চলে যায়। তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নানা কথা বলেন। পরে আমরা যেখানে খাতা জমা দিয়েছিলাম (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণক দপ্তর) সেখানে যোগাযোগ করলে তিন মাসের পর তারা অন্য একজনকে খাতা দেখতে দেয়৷ আমরা ঐ খাতার রেজাল্ট পেয়েছি। আশাকরি দুই এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা রেজাল্ট পাবলিশ করতে পারব।

এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর স.ম. ইমানুল হাকিম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না। আমায় এসএমএস করে বিষয়টি জানালে আমি কোয়ারি করে দেখতাম। তিনি বলেন, আমি যোগদান করেছি ছয় মাস হলো। আমার যোগদানেরও আগের বিষয় এটা। ছয় মাসেও বিষয়টি আপনার নজরে আসেনি বললে তিনি বলেন, আমাকে এসএমএস করে দিলে বিষয়টি আমি কোয়ারি করে দেখতাম।

জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সুব্রত কুমার দাস বলেন, ১১ মাস হয়ে গেছে কিন্তু এখনো রেজাল্ট হয়নি এটা সম্পর্কে আমি অবগত না। আমাকে ঐ বিভাগের সাথে কথা বলতে হবে। তবে রেজাল্ট তৈরিতে ১১ মাস সময়টা কোনো স্বাভাবিক সময়ের মধ্যে পরে না।


আরও খবর



খালি পেটে কাঁচা ছোলার যত উপকারিতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কাঁচা ছোলা ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। কাঁচা ছোলা কিছু স্বাস্থ্যগুণের কথা জেনে নেওয়া যাক-

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে: ভেজানো ছোলায় রয়েছে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার। যা আমাদের হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয় এবং শরীরে শর্করার শোষণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই রোজ ভেজানো ছোলা খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রাও কমায় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।

ওজন কমায়: পুষ্টিগুণে ভরপুর ভেজানো ছোলা। প্রোটিন, ফাইবারে পরিপূর্ণ এবং এতে ক্যালোরিও খুব কম। ছোলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম থাকে। ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ঝুঁকি থাকে না।

চুল ভালো রাখে: স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে চাইলে রোজকার ডায়েটে ভেজানো ছোলা রাখুন। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, জিঙ্ক এবং ম্যাঙ্গানিজ। এই সব উপাদানই চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে চুলের অকালপক্কতা রোধ হয়।

রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে: ছোলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ। যা উচ্চ রক্তচাপ এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। এ ছাড়া, ছোলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলন, স্তন এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়: আয়রন সমৃদ্ধ কাঁচা ছোলা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে। যাঁরা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য খুব উপকারী কাঁচা ছোলা। এ ছাড়া, গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েরাও খেতে পারেন।

বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না: বলিরেখা, ফাইন লাইনস কমাতে রোজ কাঁচা ছোলা খান। এতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, যা বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে।

নিউজ ট্যাগ: কাঁচা ছোলা

আরও খবর
আজকের রাশিফল: বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিদেশি পর্যবেক্ষক না এলেও নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কি করল না এতে কিছুই আসে যায় না। এটি নিয়ে বিএনপিকেও আর দেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।

ভারতে যখন নির্বাচন হয়, তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কিনা এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আর সেখানে (ভারতে) এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয়, সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? যায় না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশেই নির্বাচন আসলে কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করল না এগুলো নিয়ে নানান মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, না আসলেও কোনো অসুবিধা নাই। কেউ পর্যবেক্ষণ করল কি করল না এতে কিছুই আসে যায় না।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ইইউ ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউর পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। সুতরাং আমাদের নির্বাচন আমরাই করব, আমাদের নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।


আরও খবর



সেতুর দাবিতে চার যুগ পার, ভোগান্তিতে অর্ধলক্ষ মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সাপমারা খালের বাশেঁর সাঁকো। সেতু না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াত, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানা ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হয়  অর্ধলক্ষ মানুষকে। এসব মানুষ জীবনযাপনের মৌলিক সূচকে পিছিয়ে আছেন।

স্থানীরা জানান, দীর্ঘ চারযুগ ধরে দুপারের মানুষের দাবি সাঁকোটি সেতু করার। নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা সেতুর স্বপ্ন দেখায়, নির্বাচনের পর খবর থাকেনা। তাই অনেকেই এটাকে নির্বাচনী ওয়াদার সাঁকোও বলে। স্থানীয়রা স্ব-উদ্যোগে এটি মেরামত করলেও অধিক মানুষের যাতায়াত ও জোয়ারের পানির তোড়ে সাঁকোটি  নড়বড়ে হয়ে ভেঙে যায়। ফলে এলাকার নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য সাঁকোটি পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাঁকোর দাড়িয়ে থাকা বাঁশগুলোও ফেটে গেছে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে বাশেঁর সাকোঁ পার হতে হয়।সাপমারা খালের উপর সেতু নির্মাণ হলে ওই দুইটি ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াতের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও এগিয়ে যাবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগীদের জন্যও সহজ হবে যাতায়াত। স্থানীয় কৃষিপণ্য ও ধোপাজান মহালের বালু-পাথর সড়কপথে দেশের নানা প্রান্তে সহজে পরিবহন সম্ভব হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যেতে পারবেন তারা

জানা যায়, রায়পুর ও জুঁইদন্ডী দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম এই সাঁকোটি। জোয়ারের পানির আঘাতে সাঁকোটির অবস্থা নাজুক। এই সাঁকো দিয়ে দুই ইউনিয়নের নারী, শিশু ও বৃদ্ধ ছাড়াও  রায়পুরের বহু শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য জুঁইদন্ডী জে কে এস উচ্চ বিদ্যালয় ও আনোয়ারুল উলূম মাদ্রাসায় যায়। তাছাড়া দুই ইউনিয়নের লোকজন এই সাঁকো দিয়ে আনোয়ারা সদর ও চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করে।

সরেঙ্গার বাসিন্ধা বৃদ্ধ মাহাবুব আলী(৬০) ক্ষোভের সাথে বলেন, ছবি বওত তুইল্ল, আর ন তুইল্ল, আঁরা সেতু ন পায়, এহন আঁরা বাঁশ ভাঙি পরি মরিলি তই ছবি তুইল্ল, সরকার পদ্মা সেতু আর টানেল গরিত পাইল্লি আঁরার মাত্র ৩০ মিটার সেতু কা গরির ন পারের

আনোয়ারা উপজেলা প্রকৌশলী তছলিমা জাহান বলেন, ভাঙা সাঁকোটি জরুরী মেরামতের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেব। খালের ওপর ৬৫ মিটার পাকা সেতুর জন্য নতুন করে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। মাননীয় ভুমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি মহোদয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সেতু নির্মাণে বরাদ্ধের জন্য ডিও লেটারও দিয়েছে। এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন এলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করব।


আরও খবর



মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৮২০

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে নিহদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২০ জনে। এছাড়া আহত হয়েছে কমপক্ষে ৬৭২ জন।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে সরকারী টিভি চ্যানেল আল আওলা এ তথ্য জানিয়েছে। ধংসস্তুপ থেকে উদ্ধারকাজ চলছে, বিধায় আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির শঙ্কা কর্তৃপক্ষের।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) মরক্কোর স্থানীয় সময় রাত ১১টার একটু পর আটলাস পর্বতমালার কাছে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

মূলত ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরাতন মারাখেস শহর ও পাহাড়ি অঞ্চলগুলো। বিশেষ করে আল-হাউজ, মারাকেচ, কোয়ারজাজাতে, আজিলাল, চিচাওয়া ও টারোডেন্ট এলাকায় প্রাণহানির সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই ভূমিকম্পটি দেশের এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে জানিয়েছেন মরক্কোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ জিওফিজিক্সের প্রধান। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মরক্কোর আল-হাউজ অঞ্চল বলে জানান তিনি।

এদিকে ভূমিকম্পের প্রভাবে ধসে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি-ঘর। আর ধসে পড়া বাড়ির নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধার এবং বাঁচাতে এখন হাতে করে ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আল আওলা জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর আশপাশের সড়ক ভেঙে যাওয়ায় বা ধ্বংসস্তূপ পড়ে আটকে যাওয়ার কারণে যেতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা।

ভূমিকম্পের পর থেকে রাত পেরিয়ে দেশটিতে মাত্র সকাল হয়েছে। আর এখনই শুরু হবে আসল উদ্ধার অভিযান। ধারণা করা হচ্ছে পরবর্তীতে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।


আরও খবর
ক্রিমিয়ায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ইউক্রেনে এক বছরে ক্লাস্টার বোমায় হতাহত ৯১২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর এক বছরে ক্লাস্টার বোমার আঘাতে হতাহতের সংখ্যা ৯ শতাধিক। ২০২২ সালে রুশ আক্রমণের পর এক বছরে এই হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্লাস্টার মিউনিশন কোয়ালিশন (সিএমসি) নামের একটি সংস্থা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত সিএমসির বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকেই ব্যাপকভাবে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে রাশিয়া। পুরোনো ও নতুন উদ্ভাবিত অস্ত্র দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনও এ ধরনের বোমা ব্যবহার করছে, তবে তা রাশিয়ার চেয়ে পরিমাণে অনেক কম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েক বছর ক্লাস্টার বোমায় হতাহতের কোনো তথ্য না থাকলেও ইউক্রেনে গত বছর প্রায় ৯১৬ জন হতাহতের কথা নথিভুক্ত করেছে। হতাহতদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক।

ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশ্বজুড়ে ক্লাস্টার বোমায় হতাহতের সংখ্যা হয়েছে ১ হাজার ১৭২ জন। ২০১০ সালে সিএমসি প্রতিবেদন প্রকাশ শুরুর পর থেকে এটিই এক বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপের পর বাতাসে উন্মুক্ত হয় এবং বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছোট ছোট বোমা ছড়িয়ে দেয়। বোমাগুলো একই সময়ে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, যেমন- ট্যাংক ও সামরিক সরঞ্জাম; কিন্তু এগুলো দীর্ঘদিন সক্রিয় অবস্থায় বিদ্যমান থাকে। ফলে যুদ্ধ বা সংঘাত শেষ হলেও বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি থাকে।

আন্তর্জাতিক আইনে ক্লাস্টার বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়। তবে এটি নিষিদ্ধ করার একটি কনভেনশনে ১২০টিরও বেশি দেশ যোগ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউক্রেন এতে স্বাক্ষর করেনি।


আরও খবর
ক্রিমিয়ায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩