একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে কর ফাঁকি ও জাকাতের টাকা আত্মসাতের দুই মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা তিনি আদালতে ছিলেন। পরে মামলা দুটির শুনানি পিছিয়ে বিচারক নতুন তারিখ ধার্য করলে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার রাজধানীর পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে আনা হয় হয় সাঈদীকে। পরে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানি পিছিয়ে ৬ জানুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
কর ফাঁকি মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি রফিক উদ্দিন বলেন, এই মামলায় আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কারাগার থেকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী। মামলা দুটির শুনানি শেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আবার আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সরকারি কৌঁসুলি জানান, সাঈদীর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানি পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছে আদালত।
এই মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়। মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলায় অভিযোগ গঠন করে আদালত। এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি।
কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট কর সার্কেল ৫১ কর অঞ্চলের তৎকালীন উপ–কর কমিশনার মাসুমা খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেন।
এদিকে জাকাতের অর্থ আত্মসাতের মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১–এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা এ আদেশ দেন।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রবিউল ইসলাম জানান, আসামিপক্ষ থেকে এই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিপক্ষের আবেদনের বিরোধিতা করে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করেন।