আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের

এক লাখ মামলার জালে সরকার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকারের মাথার ওপর বছরের পর বছর ঝুলছে প্রায় এক লাখ (৯৪ হাজার ১৫০) মামলা। এসব মামলায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী বিষয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকার স্বার্থ জড়িত। রাষ্ট্রপক্ষের সক্রিয় উদ্যোগের অভাবে মামলাগুলো সহজেই নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এতে সুযোগ নিচ্ছে অনেক স্বার্থান্বেষী মহল। শুধু তাই নয়, অর্থসংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তারাও বিরোধী পক্ষকে সহযোগিতা করছেন-এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

এসব চক্র ভেঙে মামলা পরিচালনার যাবতীয় কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসাবে ইতোমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটির প্রথম বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সব মামলার তথ্য একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি তৈরির প্রাথমিক কাজ চলছে। এতে প্রত্যেকটি মামলার প্রথমে থেকে সর্বশেষ সব তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করা হবে। সংশ্লিষ্ট মামলা নিয়ে আইন কর্মকর্তারা আপডেট থাকবেন। ফলে কেউ তথ্য গোপন করে আদালতকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।

সূত্র জানায়, সরকারের সব মন্ত্রণালয়-বিভাগ এবং ৬৪টি জেলার মামলা সম্পর্কিত সব তথ্য এখন মন্ত্রিপরিষদের হাতে। এর আগে সরকারি মামলা নিয়ে এত বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ৮ সচিবের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৯৪ হাজার ১৫০টি অনিষ্পন্ন মামলার তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার মামলাকে অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ মামলা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি মানদণ্ড ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তালিকায় রয়েছে-আইন, অধ্যাদেশ, রাষ্ট্রপতির আদেশ, বিধি, প্রবিধি এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পরিপত্র ও নীতিমালাকে চ্যালেঞ্জ। আরও আছে-ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থানগত গুরুত্ব বিবেচনার সরকারি সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা। জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প, কেপিআই সংক্রান্ত মামলা। গণমাধ্যমে বহুল আলোচিত মামলাগুলোকেও অতি গুরুত্বপূর্ণ তালিকার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে ক্রয়, ইজারা, লিজ, নিলাম, ক্ষতিপূরণ, বকেয়া ও আর্থিক দাবি সংক্রান্ত মামলাগুলো সাধারণ তালিকায় থাকছে। তবে এগুলোর মধ্যে বিপুল আর্থিক মূল্য আছে-এমন মামলাকে গুরুত্বপূর্ণ তালিকায় রাখা হচ্ছে। এছাড়া চাকরি সংক্রান্ত ব্যক্তিগত প্রতিকার, উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর বিষয়ক মামলাগুলোকেও সাধারণ তালিকায় রাখা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৬ হাজার ৭৩টি মামলার বেড়াজালে আছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। অন্যদিকে মাত্র ২টি মামলা নিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ। আর এক হাজারের বেশি মামলা আছে এমন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংখ্যা ১৬টি। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের মামলা ১১ হাজার ৪০৫টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১১ হাজার ৩৮৬টি, জননিরাপত্তা বিভাগের ৫ হাজার ৩৮টি, অর্থ বিভাগের পাঁচ হাজার ১০টি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৪ হাজার ৬০৩টি। এর বাইরেও হাজারের বেশি মামলা থাকা দপ্তরগুলোর মধ্যে রয়েছে, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এতদিন সরকার সংশ্লিষ্ট মামলা ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় কোনো উদ্যোগ ছিল না। মন্ত্রণালয়গুলো নিজস্ব উদ্যোগে মামলা পরিচালনা করে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মামলা সংক্রান্ত জ্ঞানের অভাব, অবহেলা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলার বিপক্ষ পার্টির কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কেউ কেউ সরকারকে মামলায় হারিয়ে দেওয়ার মতো কাজ করছেন বলে অভিযোগ আছে। তাই মামলা সংক্রান্ত অব্যবস্থাপনা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইন অনুবিভাগ। অন্যদিকে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ফোকাল পয়েন্ট অফিসার ঠিক করে দেওয়া হবে। যিনি ওই মন্ত্রণালয়ের মামলা সংক্রান্ত সব কাজে সহযোগিতা করবেন। অন্যদিকে সলিসিটর উইংয়ে একেকজন অফিসারকে কয়েকটি করে জেলার দায়িত্ব দেওয়া হবে। যাতে মাঠ প্রশাসন থেকে আসা মামলার বিষয়গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। অভিযোগ আছে সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তথ্য সলিসিটর উইং থেকে উধাও হয়ে যায়।

আরও জানা গেছে, মামলার তথ্য পাওয়ার প্রক্রিয়াটিও অনেক কঠিন ছিল। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে আইন অনুবিভাগকে অগুরুত্বপূর্ণ করে রাখা হয়েছে। এই জায়গায় কাজ করা বেশির ভাগ অফিসারই ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন না। অনেকে মামলা সংক্রান্ত কাজের প্রক্রিয়াও বোঝেন না। এ কারণে তথ্য পেতে সমস্যা হয়েছে। অবশেষে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইন অনুবিভাগ তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক হাজার ৯৯৭টি মামলাকে চিহ্নিত করে বিশেষ উদ্যোগের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গত বছর আগস্টে এ সংক্রান্ত উদ্যোগ প্রথম নেওয়া হয়েছিল। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে তখন আর এগোয়নি।

জানা গেছে, পুরোনো অনেক মামলায় নতুন দায়িত্ব নেওয়া অফিসারদের বিব্রত হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি পক্ষের সঠিক উদ্যোগের অভাবে মন্ত্রণালয়ের সচিবদের আদালত অবমাননার মুখে পড়তে হয়। এগুলোর মূল কারণ মামলা সংক্রান্ত তথ্য ঠিকভাবে আদালতে না যাওয়া। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই উদ্যোগটিতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে মামলার হালনাগাদ তথ্য জানা থাকলে এসব ঘটনা ঘটবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকে কমিটির বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত থাকলেও অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন না। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে কোনো প্রতিনিধি পাঠানো হয়নি। সরকারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলা নিষ্পত্তির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে এই অফিসের প্রতিনিধি না থাকায় বৈঠকে সংশ্লিষ্টরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারের প্রতিনিধি। তিনি বা তার অফিসের কোনো প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত থাকলে মামলা সংক্রান্ত কার্যক্রম নিষ্পত্তি বেগবান হতো।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলায় সরকার পক্ষে যারা আইনজীবী থাকেন তারা সামান্য সম্মানী পান। অন্যদিকে সরকারের বিপক্ষ পার্টি বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেন। ফলে অনেক মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী, অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিসের কেউ কেউ ম্যানেজ হয়ে যান। ফলে জনস্বার্থ রক্ষা পায় না। তাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ উদ্যোগটি সফল হলে এ ধরনের চাতুরতা ধরা পড়বে। অন্যদিকে সরকার পক্ষের আইনজীবীদের সম্মানী বাড়ানোর বিষয়েও মত দেন বৈঠকে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা।

নিউজ ট্যাগ: মামলার রায়

আরও খবর



মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)র প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ড্রাইভার্স টেকনিক্যাল কোম্পানী লিমিটেড এর ৩৬ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিআরটিসি। আরো উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সদস্যগণ, ToT এর প্রশিক্ষণার্থীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

স্বাগত বক্তব্যে মোঃ মশিউজ্জামান, ইউনিট প্রধান, বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, গাজীপুর বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দূরদর্শী চিন্তার ফসল আমাদের বর্তমান স্মার্ট বিআরটিসি। ToT  প্রশিক্ষণার্থীদের  এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। প্রকৌশলী ফাতেমা বেগম (জিএম, আইসিডব্লিউএস ও প্রশিক্ষণ) বলেন, বিআরটিসি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এ ToT  প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম  হয়েছে। উন্মুক্ত আলোচনায় একজন নারী ToT  প্রশিক্ষণার্থী বলেন, বিআরটিসি থেকে প্রশিক্ষণ  নিতে পেরে আমরা গর্বিত।

পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার, পিএসসি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীগণ যোগ্যতা ও নৈপুণ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষতার সাথে কার্য সম্পাদন করতে পারবে। পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও অপারেশন) ড. অনুপম সাহা বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীরা আরও দক্ষ হয়ে উঠবে এবং বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিআরটিসি বলেন, বিভিন্ন কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন বিষয়ে শিক্ষণ দেওয়াই হলো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। যার মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীগণ কার্য সম্পাদন বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং দক্ষ চালক তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।


আরও খবর



আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি দেখা দিয়েছে দেশের কয়েক জেলায়। আজ সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকাতেও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের ফলে সারা দেশে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ৫ থেকে ৬ দিন দমকা হাওয়া, ঝোড়ো বাতাস ও বজ্র ঝড়সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবারও আসতে পারে তাপপ্রবাহ।


আরও খবর



২৩ নাবিকসহ দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ জন ক্রু সদস্য নিয়ে দেশের পথে রওনা হয়েছে। জাহাজটি আজ মঙ্গলবার ভোরে সংযুক্ত আরব আমিরাত বন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

জাহাজের কয়েকজন ক্রু জানান, আমদানির জন্য চুনাপাথর বোঝাই শেষ হওয়ার পর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সময় দিবাগত রাত ২টার দিকে মিনা সাকার বন্দর ছেড়ে যায়। ওই বন্দর থেকে প্রায় ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর জাহাজে বোঝাই করা হয়েছে।

মিনা সাকার থেকে জাহাজের যাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছাতে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

মুক্তির পর জাহাজটি ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে চুনাপাথরের আমদানির জন্য শনিবার মিনা সাকার বন্দরে যায়।

গত ১২ মার্চ দুপুরে এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। জাহাজের মালিকপক্ষের তৎপরতায় পরে সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

এক মাসের বেশি সময় পর ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে রাতেই সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



চুয়েটের ২ শিক্ষার্থীক চাপা দেয়া সেই বাসচালক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকায়।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে কাপ্তাই সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। একই ঘটনায় আহত হয়ে জাকারিয়া নামের আরেক চুয়েট শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ওই দিন রাত ৮টার দিকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।


আরও খবর



তীব্র তাপের মধ্যেও উন্নয়নের নামে বৃক্ষশূন্য করা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখী প্রখর রোদের তেজে তীব্র গা-জ্বলা খরতাপে পুড়ছে জনপদ। ঠাকুরগাঁওয়ে আজকে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ভয়ংকর  দাবদাহে মানুষ যখন এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে।

গেল বছরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী, আমজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই রাস্তাগুলোর মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন গাছ লাগালেও বাকি রাস্তাগুলোতে গাছ লাগানোর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এর মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে আবারও একই উপজেলার ধনতলা ও পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার ৪ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। তাপদহের এই দুঃসময়ে গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ভাষ্য, নিয়ম অনুযায়ী আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা রয়েছে ২ ভাগের কম বনভূমি রয়েছে। এসব গাছপালা কেটে ফেলা হলে শূন্যের কোঠায় পৌছাবে বনভূমি। সবকিছু জানার পরেও গেল মাসে ৮ ইউনিয়নে রাস্তায় থাকা অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে দুটো ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গাছ কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা শ্রমিকরা রাস্তার গাছ কাটছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৪ হাজার গাছ কাটবেন তারা। এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।

বন বিভাগের আহবান করা দরপত্র অনুযায়ী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া হইতে তিলকরা সরাকন্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ী হতে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ী হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিন্ডি হইতে খোঁচাবাড়ী হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা ও দলুয়া হয়ে পান্তা ভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশের বিশাল আকৃতির গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে কাটার জন্য।

মশালডাঙ্গী গ্রামের সমারু মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরা মাঠে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেয়। এ তীব্র তাপদাহের মধ্যে এখন রাস্তার দু'পাশের বিশালাকৃতির গাছগুলো কাটা হলে মরুভুমিতে পরিনত হবে এলাকাটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এই মুহূর্তে গাছগুলো না কেটে কিছুদিন পরে কাটলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকলেও রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলায় দুপুরে তাপের প্রখরতা ছিল ৩৭ ডিগ্রী, শনিবার ৩৪ ডিগ্রী ও আজ রবিবার ৩৯ ডিগ্রী ছুইছুই। গরমের তীব্রতায় মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইশতেশকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। এ অবস্থায় গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।

শিক্ষক আমানুল্লাহ জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলো এই এই মুহূর্তে যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনী পশু-পাখিদের জন্যও প্রয়োজন। অনেক পাখি এখন গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে ডিম দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময়ে পাখিগুলোর জন্য হলেও কিছুদিন পরে গাছগুলো কাটা উচিত।

পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, দরপত্র হয়েছে গাছ কাটবে ঠিকাদার। এতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর দাবি গরমের দিনগুলো পার করে গাছ কাটা হউক। এটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনে লিখিত আকারে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জানান, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি। তাপদাহ কমে গেলে দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদার কাটবেন।


আরও খবর