আমি তো পলাতক আসামির সঙ্গে টক-শো করতে পারি না। প্রথম কথা হলো, পি কে হালদার পলাতক, আর দ্বিতীয় হলো তার বিষয়ে এই আদালতে একটা সুয়োমোটো মামলা বিচারাধীন
প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) যেকোনো পলাতক আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমসহ সব মাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভিতে ২৮ ডিসেম্বর পি কে হালদারের প্রচারিত সাক্ষাৎকার এবং মধ্যরাতে প্রচারিত টকশোর ভিডিও ক্লিপ তলব করেছেন উচ্চ আদালত।
আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার বরাবরে জমা দিতে একাত্তর টিভি কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, ‘সোমবার রাতে একজন পলাতক আসামির সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। এ ছাড়া তাদের রাতের টক-শোতেও ওই আসামিকে লাইভে এনেছে। আমাকেও সংযুক্ত করেছিল। আমি তার কথা শুনে লাইভ থেকে বেরিয়ে এসেছি। কারণ আমি তো পলাতক আসামির সঙ্গে টক-শো করতে পারি না। প্রথম কথা হলো, পি কে হালদার পলাতক, আর দ্বিতীয় হলো তার বিষয়ে এই আদালতে একটা সুয়োমোটো মামলা বিচারাধীন। এ অবস্থায় তার প্রচারিত সাক্ষাৎকারে কী আছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এই আদালত সেই ভিডিও সাক্ষাৎকার তলব করে দেখতে পারেন। এরপর প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে পারেন।’
এরপর আদালত লিখিত আকারে আবেদন করতে বলেন। সে অনুসারে বুধবার লিখিত আবেদন করে দুদক। আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।