আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
আতঙ্কে নৌকার সমর্থকরা

একের পর এক হামলা, অশান্ত হয়ে ওঠছে পিরোজপুর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-ইন্দুরকানী) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তীকালে একের পর এক স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের সন্ত্রাসী বাহিনীর সশস্ত্র হামলার শিকার হচ্ছেন সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের কর্মীরা। প্রায় প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে কুপিয়ে অথবা পিটিয়ে আহত করছে আউয়ালের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী। নৌকা কর্মী-সমর্থকদের ওপর একের পর এক হামলায় চরম আতঙ্কে রয়েছে নৌকার সমর্থকরা। যে কোনো সময় বড় ধরনের ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১১টায় পৌরসভার সামনে হামলার শিকার হয় নৌকা সমর্থক সাব্বির আহম্মেদ। প্রকাশ্য দিবালোকে আউয়ালের ক্যাডাররা সাব্বির আহম্মেদকে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার পাড়ের হাট বন্দরে হামলার শিকার হন নৌকার এজেন্ট ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম হাওলাদার। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার পায়ের হাড় ভেঙে দেয়া হয়। হামলার পূর্বে তাকে ঈগল প্রতীকের পক্ষে না থেকে নৌকার পক্ষে কাজ করায় কয়েকবার হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, নৌকা বিজয়ী হওয়ার পর ঈগল প্রতীকের প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের সমর্থকরা পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই হামলা চালায়। তিনি বর্তমানে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় নৌকা প্রতীকের এজেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি ফয়সাল আকনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম আউয়ালের ঈগল প্রতীকের সমর্থক (ক্যাডার) সাইদুল ফরাজি, মিজান, সাইদুল ফকির ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী জামালসহ আরো ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়।

তারা ফয়সালকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। তার শরীর অগণিত কোপে ক্ষতবিক্ষত হয়। পেটের নাড়ি-ভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, মাথার হাড় কেটে বিভক্ত হয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পৌনে ৩ ঘণ্টা ব্যাপী অপারেশন হয়। তিনি আইসিউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার পরিবার থেকে জানানো হয়, ফয়সাল মৃত্যুর সাথে লড়ছেন।

এ ঘটনায় র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ৩ জন আসামি গ্রেফতার করে। পরে অন্য তিন আসামি আদালতে জামিন নিতে এলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের ক্যাডার।

এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির তলবি সভা এবং এডহক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হয়ে ৫ জন আইনজীবী গুরুতর আহত হন। এঘটনায় একেএমএ আউয়ালের সমর্থিত জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন খান ও সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক খানের নির্দেশে বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে ৫ জন জনকে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত আইনজীবীরা। আহত ৫ জনই শ ম রেজাউল করিমের সমর্থক। এ ঘটনায় থানায় নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নৌকার সমর্থক মো. সজিব হাওলাদার তার বাড়ি পশ্চিম ডুমুরিতলায় আক্রান্ত হন। তার শরীরে দা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে অসংখ্যবার কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় ১৭ জানুয়ারি মামলা হলেও অদ্যাবধি কেউ গ্রেফতার হয়নি। এমনকি নৌকা প্রতীকের এজেন্ট শাকিলকে বেধড়ক মারধর করা হয় শংকর পাশা ইউনিয়নে।

এছাড়া, বিক্ষিপ্তভাবে হামলা হয়েছে একাধিক নৌকার সমর্থকের ওপর। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নৌকা সমর্থক ও কর্মীরা আতঙ্কে আছেন বলে একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপরে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান পিরু বলেন, সংসদ নির্বাচনোত্তর একের পর এক আমাদের এমপি মহোদয়ের কর্মীরা পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্যাডাদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো সুরাহা হচ্ছে না। আর এ ঘটনাগুলোয় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আমি চাই এই সন্ত্রাসী হামলাগুলোয় যারা জড়িত ও তাদের গডফাদারদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।

শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল প্রকার সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করেও বিজয়ী হতে না পেরে নৌকার সমর্থক ও কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর পরিবারের ভাড়াটিয়া খুনি ও সন্ত্রাসীরা। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান। আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ না করে ঈগল প্রতীকের বিদ্রোহী প্রাথী একেএমএম আউয়ালের পক্ষে কাজ করার জন্য নানা প্রকার হুমকি ও প্রলোভন উপেক্ষা করেছিল তারা। নির্বাচনে তারা হেরে যাওয়ায় প্রতিশোধ নিতেই একের পর এক নৃশংস হামলা করা হচ্ছে।

শ ম রেজাউল করিম জানান, তিনি সকল ঘটনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মহা-পুলিশ পদিরর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করে প্রতিকারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, পিরোজপুরের অধিকাংশ হত্যা ও সহিংস ঘটনার পিছনে গডফাদার রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা না হলে পিরোজপুরে অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারে। তিনি পিরোজপুরের জনসাধারণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন।

উল্লেখ্য, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া হয়। জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়েজিদ হোসেনের বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ঈগল প্রতীকের প্রার্থী একেএমএম আউয়ালের সমর্থকরা।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফয়সাল আকনের ঘটনায় ৮ জন আসামির মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আর সব মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাসা বড়িতে হামলার এ তথ্য আমার কাছে নেই। সাব্বিরকে আহতের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে দুই-চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

 

 


আরও খবর



সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ৩৬

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবারও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদি ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশের একটি এলাকায় স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোরের আগে হামলা চালায় ইসরায়েল। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আলেপ্পো প্রদেশে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার অধীনে থাকা একটি রকেট ডিপোর কাছে এই হামলা চালানো হয়। সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ভোরের আগে চালানো হামলায় বেসামরিক মানুষ ও সামরিক কর্মী নিহত ও আহত হয়েছেন।

এর আগে, সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন। মঙ্গলবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।


আরও খবর



প্রেমের নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টার্গেট করা হয় প্রাবস ফেরত ও টাকাওয়ালা ব্যক্তিদের। পরে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মেয়ে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে নিয়ে আসা হয় ডেটিংয়ের জন্য। আগে থেকেই তৈরি থাকে চক্রের সদস্যরা। তারা ওই ব্যক্তিদের আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মারপিটসহ জোরপূর্বক নকল বিয়ে দেন কাজী ডেকে। দেনমোহর ধার্য করেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার। পরে ডিভোর্সের নামে সেই দেন মোহরের টাকা হাতিয়ে নেন। এমনই প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে।

গত ২১ শে মার্চ এই চক্রের সদস্যদের হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঘাটাইল উপজেলার রহমতখার বাইদ গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে নাজমুল ইসলাম নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক। এ ঘটনায় তিনি বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামীরা হলেন- মোঃ জাহিদুল হাসান জাহিদ, সৌরভ তালুকদার, হুমায়ুন সিকদার রানা, বাবুল হোসেন, মোঃ জুয়েল, রিজান, সুজন, রায়হান, কাজী মোঃ তাহেরুল ইসলাম তাহের, রাশেদা বেগমকে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৫ মাস আগে দেশে আসে নাজমুল ইসলাম। গত ২১ মার্চ চাম্বলতলা গ্রামের আবু তালুকদারের বাড়িতে তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ৯ টার দিকে জাহিদ সৌরভ তালুকদার মাধ্যমে নাজমুলকে ডেকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে গজারী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দিলে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়ার সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার কথা বলে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা কয়েকটি কার্টিজ পেপারে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং নাবালিকা সুমাইয়াকে কাবিন ছাড়া বিবাহের নামে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়াকে নাজমুলের বাড়িতে জোরপূর্বক তুলে দেয়। সত্য ঘটনা প্রকাশ করিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান নাজমুল।

সুমাইয়া জানায়, সে নাজমুলকে চিনতেন না। জাহিদুল তার দুঃসম্পর্কের মামা হয়। জাহিদুলের কথায় সে এমনটি করেছে। প্রথমে না করতে চাইলে আমাকে মারধর করত।

স্থানীয়রা জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণার মাধ্যমে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা নারীদের ব্যবহার করছে। আর স্থানীয় কাজীকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

কাজী তাহেরুল ইসলাম তাহের জানান, এ ধরনের বিয়ে তিনি পড়াননি। তবে তাকে ডেকে নেয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



১৫০ উপজেলায় ১৮৯১ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে। এই ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী। আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ছিল।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্তি সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।


আরও খবর



মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র স্থাপনা সৌদি আরবের মদিনা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র মসজিদে নববীতে রমজান মাসে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড হয়েছে। পবিত্র এই মাসের প্রথম ২০ দিনে মসজিদে নববীতে দুই কোটিরও বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন বলে সৌদি আরবের সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ বলছে, একই সময়ে মসজিদে অবস্থিত আল রওজা আল-শরিফায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৫ জন নারীসহ মোট ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৭ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।

পবিত্র নগরী মদিনার মসজিতে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা অবস্থিত। আল রওজা আল-শরিফা পরিদর্শন এবং সেখানে নামাজ আদায়ে ইচ্ছুক মুসলিমদের পৌঁছানোর আগে সৌদি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।

মসজিদে নববীর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বলেছে, মুসল্লিদের স্বস্তিতে ইবাদত নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার শেষ রমজানের আগে সেখানে মুসল্লিদের উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে।

রমজানের শেষ শুক্রবার সাপ্তাহিক জুমআর নামাজ আদায় করতে গতকাল মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। এসপিএ বলছে, মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য আগেই মসজিদে নববীর ছাদ ও চত্বর প্রস্তুত করা হয়েছিল; যাতে মুসল্লিরা শান্ত ও সুন্দর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারেন।

সাধারণত রমজান মাসে মক্কায় ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবায় ওমরাহ পালনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা ছুটে যান। ওমরাহ পালনের পর অনেকে মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর রওজা মুবারক জিয়ারত করতে যান।

সৌদির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর মসজিদে নববীতে ২৮ কোটিরও বেশি মুসলমান নামাজ আদায় করেন। তবে চলতি বছর সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



চুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

বাসচাপায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করল প্রশাসন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গত ২২ এপ্রিল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আজ ২৫ এপ্রিল উপাচার্য মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ছাত্রদেরকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ত্যাগের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ক্যাম্পাস থেকে শহর গমনাগমন করবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাস্তায় একটি বাসে আগুনও দেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চুয়েট শিক্ষার্থী বলেন, এই সিদ্ধান্ত ছাত্রছাত্রীদের দমানোর জন্য নেওয়া হয়েছে। আন্দোলন বন্ধ করার জন্য কেউ হল ছাড়বে না, সবাই ক্যম্পাসে অবস্থান করবে।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন ও একজন আহত হন। নিহতরা হলেন- চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও একই বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। এ ঘটনায় আহত জাকারিয়া হিমু পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় ১০ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা টানা চতুর্থদিন আন্দোলন করছেন। গাছ ও বেরিকেড দিয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছেন তারা।


আরও খবর