আজঃ বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

এখনও এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার পক্ষে মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনার প্রকোপে ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাদ দিয়ে বিকল্প মূল্যায়নের পথে হাঁটা কঠিন। কারণ পাঠ্যসূচি পুনর্বিন্যাস করা হলেও এসব শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচির আলোকে অ্যাসাইনমেন্ট করানো হয়নি। ফলে বছরের শেষে হলেও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তেই অটল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তবে শিক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, যদি করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা না নেওয়া যায় সেক্ষেত্রে বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত বিকল্প নির্ধারণ করতে পারেনি মন্ত্রণালয়।

এর আগেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, দেরিতে হলেও পরীক্ষা নেওয়া হবে। একইভাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহম্মেদও বলেছেন দেরিতে হলেও পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সোমবার (২১ জুন) রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, সিলেবাস ছোট করে দেরিতে হলেও পরীক্ষার নেওয়ার সিদ্ধান্তেই রয়েছি আমরা।  বছরের শেষে হলেও পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদি না পারা যায় তখন বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে মূল্যায়ন করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত পরীক্ষার নেওয়ার সিদ্ধান্তেই রয়েছি।

গত ১৫ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, আমারা দেখেছি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। এসএসসির জন্য ৬০ দিন এবং এইচএসসির জন্য ৮৪ দিনের অ্যাসাইনমেন্ট আমরা দিয়েছি। আমরা চেষ্টা করে যাবো, আরও কিছু সময় হয়তো দেখতে হবে। যদি দেখি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা একবারেই সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বিকল্প অনেক কিছুই চিন্তা করে রেখেছি। যদি পরীক্ষা নেওয়া না যায় তাহলে বিকল্প কীভাবে মূল্যায়ন হতে পারে, সেগুলো আমরা ভাবছি।

বিকল্প কী চিন্তা করা হচ্ছে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক রকম চিন্তা আছে। কিন্তু পরীক্ষা হবে কী হবে না, এই মুহূর্তে বলে দিতে পারছি না। হয়তো খুব শিগগিরই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। পরীক্ষা নিতে পারবো কিনা? সেটা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।

শিক্ষামন্ত্রী অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়নের ভাবনার কথা জানালেও ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট করানো হয়নি। আর এখন পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিও করা হয়নি। ফলে পরীক্ষার বিকল্প নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

করোনার কারণে পরীক্ষা না নেওয়া গেলে অটো পাস দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক. ড. সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক বলেন, অটো পাস দেওয়া হবে না। পরীক্ষা না নেওয়া গেলেও কোনও না কোনোভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে ফল দেওয়া হবে।



আরও খবর
১১ মের মধ্যেই এসএসসির ফল প্রকাশ

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




দেশের বাজারে ভরিতে সোনার দাম কমলো ১৭৫০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

রেকর্ড পরিমাণ দাম বাড়ানোর পর সোনার দাম কমা‌নোর ঘোষণা দি‌য়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

প্রতি ভরিতে কমা‌নো হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা। ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হ‌বে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা। আজ‌ পর্যন্ত যার দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৯০৮ টাকা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম ক‌মে‌ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।


আরও খবর



ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার কথা স্বীকার করলেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের হামলায় সাত ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনার দায়স্বীকার করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ভুল করে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

আজ মঙ্গলবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক হামলায় দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এর সাত ত্রাণকর্মী নিহত হন। তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ফিলিস্তিনের নাগরিক ছিলেন। এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল ভুলবশত গাজায় নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় আমাদের বাহিনীর ভুলবশত করা হামলায় গাজা উপত্যকায় নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

যুদ্ধে এমন ভুল হয় দাবি করে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবো। আমরা সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি।


আরও খবর
তানজানিয়ায় বন্যা: নিহত ৫৮

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বিজিপি প্রত্যাবাসন: ফাইল আটকে আছে মিয়ানমার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ সদস্যকে ফেরত পাঠাতে প্রায় সব প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের। মিয়ানমারও তাদের ফেরত নিতে চায়। তবে কবে নাগাদ তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা এখনো জানায়নি দেশটি। আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া সংক্রান্ত ফাইল মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আটকে আছে বলে তথ্য মিলছে।

ঢাকা ও নেপিডোর কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নেপিডোর দিক থেকে ঢাকাকে জানানো হয়েছে, বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়ার ফাইল এখনো ক্লিয়ার করতে পারেননি কর্মকর্তারা। কেননা, কর্মকর্তা পর্যায়ে সব কাজ শেষ হলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এ সংক্রান্ত ফাইল আটকে আছে। তবে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াইয়ের জেরে গত সপ্তাহে দুই দফায় ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব বিজিপি সদস্য বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।

৯ দিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত পাঠাতে চায় ঢাকা। এ নিয়ে প্রস্তুতিও রয়েছে ঢাকার। মিয়ানমারের দিক থেকে সবুজ সংকেত পেলে তাদের (বিজিপি) ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারিতে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, বিজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ সদস্যকে যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এবারো সেই প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করতে চায় বাংলাদেশ।

ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো, মিয়ানমার ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

এদিকে, কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় মিয়ানমার সীমান্তে দুইশর বেশি বিজিপি সদস্য অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে দেশের গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানান, সীমান্তে শ’খানেকের বেশি বিজিপি সদস্য অবস্থান করছে। তারা এখন অবধি বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি চায়নি। আর আমরাও চাই না তারা বাংলাদেশে আসুক।

তাহলে কি নতুন করে আর কোনো বিজিপি সদস্যকে নেবে না বাংলাদেশ– এমন প্রশ্নে এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় হয়ত তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে। যদি তারা ঢুকেও আমরা তাদের যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পাঠাব। আগের মতো এদেরও ফেরত পাঠানো হবে।

চলমান পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে ডেকে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না– জানতে চাইলে অন্য এক কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাকে সব বিষয়ে জানানো হয়। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তো কোনো লাভ হচ্ছে না।

সাময়িক আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। চলমান ওই সংঘর্ষে প্রায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে গত দেড় মাসে মিয়ানমারের প্রায় ৫০০ সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র নিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, তারা আশ্রয়ের জন্য সহযোগিতা চায়। আমাদের কাছে সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকার তাদের জিডআর্ম করে এবং তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে। এরপর তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

২০২৩ সালের শেষের দিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে এখন অবধি প্রায় ১ হাজার জান্তা সদস্য (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্য) আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। প্রায় ৫০০ জান্তা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বার্মা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (বিএনআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর বাহিনী এবং গণমাধ্যমের তথ্য মতে, গত বছরের (২০২৩) শেষের দিকে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা প্রায় এক হাজারে পৌঁছেছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগ করে নেওয়া পাঁচটি প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশ ও চীনে সীমান্ত নিয়ে পালিয়ে গেছে জান্তা সৈন্যরা।

বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। আর ভারতে আশ্রয় নিয়েছে ৪০০ জনের বেশি। এ ছাড়া অপারেশন ১০২৭’-এর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তীব্র আক্রমণের মধ্যে শত শত জান্তা সৈন্য থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। এসব জান্তা সৈন্যকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা হলেও তাদের প্রসঙ্গে মিলিটারি কাউন্সিল বিস্তারিত তথ্য জানানো থেকে বিরত থাকে।


আরও খবর



ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছ। রাজধানীবাসীদের মধ্যে অনেকে নানা কারণে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেননি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঈদের দিনে ঢাকা ছাড়ছেন। কমলাপুর স্টেশনে সকাল থেকেই ছিলো যাত্রীর চাপ। সড়কের পাশাপাশি ভোর থেকেই রেলপথে যাত্রীর দেখা মেলে কমলাপুর স্টেশনে।

মূলত ঈদে যাত্রাপথের ভোগান্তি এড়াতেই ঈদের পরদিন গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন বলে জানান যাত্রীরা। আবার টানা ছুটির কারনে যাত্রার জন্য অনেকেই বেছে নিয়েছেন ঈদের পরদিনকে। ময়মনসিংহ,চট্টগ্রাম,সিলেটের ট্রেনগলো কমলাপুর থেকে যাত্রা করে যথাসময়েই। ঢাকায় ছাড়ার পথে যাত্রীর চাপ থাকলেই ঢাকামুখি মানুষের সংখ্যা ছিলো অনেকটাই কম।

নিউজ ট্যাগ: কমলাপুর স্টেশন

আরও খবর



সারাহ ইসলামের কিডনি নেওয়া সেই শামীমাও মারা গেলেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত বছরের জানুয়ারি মাসে সারাহ ইসলামের মরণোত্তর অঙ্গদানের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট (ব্রেন ডেথ রোগীর অঙ্গ প্রতিস্থাপন) করা হয়। এই কার্যক্রমটি সফল প্রতিস্থাপন দাবি করা হলেও কিডনি নেওয়া দুজনেই কেউই আর বেঁচে রইলো না।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন কিডনি নেওয়া দ্বিতীয় রোগী শামীমা আক্তার (৩৪)। ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমজন ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এবার দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।

শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিল শামীমা। সম্প্রতি শামীমার ভাই জানায়, ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে শামীমা। পরে তিন সপ্তাহ আবারও বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও কেন শুকিয়ে যাচ্ছিল সেটি ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। চার দিন আগে আইসিইউতে নেওয়া হয় তাকে।

মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে এই সার্জন বলেন, তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল। সে অনুযায়ী ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু উন্নতি হয়নি। বাইরের হাসপাতালেও একদিন নেওয়া হয়েছিল, অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আবারও আমাদের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ রাত ৯টার দিকে মারা যান তিনি।

কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় নেতৃত্ব দেওয়া এই চিকিৎসক আরও বলেন, হেপাটাইটিস সি পজিটিভ হলে ব্লাড কাজ করে না। এজন্য বিশেষ করে রক্ত লাগে, সেটিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর রেসপন্স করেনি। বাড়িতে থাকার সময়ে অবস্থা খারাপ হলেও সময় মতো আমাদের জানানো হয়নি। অনেকটা অবহেলা ছিল। খারাপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তাহলে হয়তো এই অবস্থা দেখতে হতো না।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে মারা যান সারাহ ইসলামের আরেক কিডনিগ্রহীতা হাসিনা আক্তার। কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিশিষ্ট কিডনি রোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হারুন আর রশিদ সে সময় জানিয়েছিলেন, হাসিনা আক্তারের শরীরে যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তা ছিল দুর্বল। তাতে দুটি টিউমার ছিল। প্রতিস্থাপনের আগে টিউমার দুটি ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবুও প্রতিস্থাপনের পর থেকে হাসিনা বারবার সংক্রমণে ভুগছিলেন। পরে কিডনি ফাউন্ডেশনে মারা যান তিনি।


আরও খবর
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪