আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

‘একই অপরাধে একই ব্যক্তিকে ফৌজদারি আইনে দুইবার দণ্ডিত করা যাবে না’

প্রকাশিত:রবিবার ১০ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, মানুষের অধিকার মানবাধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারগুলো সু-স্পষ্টভাবে সন্নিবেশিত আছে। সেখানে অধিকারগুলোর ২৭ অনুচ্ছেদ থেকে শুরু করে ৪৩ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত মৌলিক অধিকার। সেই অধিকারগুলো নিশ্চিতকল্পে আমরা প্রতি মুহূর্ত স্টেট সহ আমরা যারা আইনজীবী, মামলার সাথে যারা জড়িত তারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করে যাই। ঠিক এখানেও বিশেষ করে বিচার এবং দণ্ড  সম্পর্কে মৌলিক অধিকার, অর্থাৎ এর তৃতীয় ভাগের ৩৫ অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে সেখানে কিভাবে প্রটেকশন দেয়া হবে তা রয়েছে। সেখানে যেভাবে সন্নিবেশিত আছে সেখানে যদি ৩৫ (১) ধারায় যদি কেউ কোন অপরাধ একবার সংগঠিত করে অর্থাৎ যেখানে অপরাধটি সংগঠিত হলো যে সময়কালে সেই সময়কালে যে আইনটি বলবত ছিল সেই অনুসারে সেখানে সেই দণ্ডের বা অপরাধের বিচার এবং দণ্ড প্রদান করতে হবে।

মানবাধিকার সহ আইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন এসব কথা বলেছেন।

অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, দেখা গেছে ১৯৯৫ সালের নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে যদি বলা থাকে এই অপরাধের সাজা মৃত্যুদণ্ড। সেটা পরবর্তীতে কোন আইন করে সেখানে দেখা গেছে সেই দণ্ড কমিয়ে আনা হয়, কোন অবস্থাতেই সেই দণ্ড কমিয়ে আনা যাবে না। অর্থাৎ দণ্ড যেটা ছিল সেটার আলোকেই বিচার করতে হবে। অথবা দেখা গেছে দণ্ড যদি থেকে থাকে ১০ বছর সর্বোচ্চ সেখানে পরবর্তীতেও যদি কোন আইন করে সেটাতে আরও বেশি অর্থাৎ ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বা মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো। কিন্তু সেই মৃত্যুদণ্ডও দেয়া যাবে না। অর্থাৎ ঘটনার কার্যকরী কালে যে সময় এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছিল সেই সময়কালে যে দণ্ড যে আইনে লিপিবদ্ধ ছিল সেই আইন দ্বারাই সেটা প্রতিপালন করতে হবে। কোন অবস্থাতেই এ ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, যদি কোন সময় এ রকম ব্যত্যয় ঘটে তাঁর জন্য আদালতে এসে প্রত্যেকটি বিচার প্রার্থী মানুষ এর প্রতিকার লাভ করতে পারে। অপর দিকে ৩৫ (২) ধারা অর্থাৎ সেখানে যদি ফৌজদারি অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে একবারই একমাত্র সোপর্দ করা যাবে বিচারে এবং তাকে সাজা দেয়া যাবে। ওই একই অপরাধের জন্য যদি একই সময়ে সংগঠিত হয়ে থাকে তাহলে কোন অবস্থাতেই তাকে দ্বিতীয়বার বিচারের আওতায় সোপর্দ করা যাবে না, তাকে দণ্ডও দেয়া যাবে না। আমরা মাঝে মধ্যে অনেক ঘটনা দেখি। দেখা যাচ্ছে একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বারও একই রকম প্রসিকিউড হচ্ছে অর্থাৎ আইনের কাছে সোপর্দ হচ্ছে। পুলিশ ল-ইনফোর্সিং এজেন্সি তাকে এরেস্ট করে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সে সময় আমরা এ বিষয়গুলো আইনজীবী হিসেবে কোর্টের দৃষ্টিতে নিয়ে আসি। যদি আসলেই একই অপরাধ একবার সংগঠিত হয়েছে, সেকেন্ড অপরাধ সেটা না ঘটার পরেও আগের অপরাধকে কেন্দ্র করে সেকেন্ড একটি মামলা হয়েছে তাহলে সেটা কোর্ট আমলে নিয়ে প্রথম যে অপরাধ সেটাকে, সেই মামলাটাকেই কন্টিনিউ করে দ্বিতীয় মামলা সেটাকে ক্রস করে দেয় বা বাদ করে দিয়ে প্রথমটাকে নিয়েই অগ্রসর হতে থাকে।

অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, এই বিষয়গুলো আমরা প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যারা বিশেষ করে রুজু করেন, ল-ইনফোর্সিং এজেন্সি তারা, মামলা যারা পরিচালনা করেন তারা, সঠিক বিচার প্রার্থী ব্যক্তিকে সঠিক পরামর্শ অর্থাৎ অনুচ্ছেদ ৩৫ (২) বলবত করার জন্য আমরা সঠিক পরামর্শ দিবো। অপরদিকে, একই অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অনেক সময় দেখা গেছে অভিযুক্ত ব্যক্তি আমরা প্রাথমিক ভাবে মনে করতেছি সে কোন অবস্থাতেই আসলে অভিযুক্ত না। তাকে যদি কোন সময় বাধ্য করা হয় অর্থাৎ ল-ইনফোর্সিং এজেন্সি বা পুলিশ যদি বলে তোমাকে এটা বলতে হবে কোর্টে যেয়ে তাহলে সেটাও আমরা বাধ্য করতে পারি না। অর্থাৎ যে ব্যক্তি যেটা বলতে ইচ্ছুক না সেই কথা গুলো, সেই অপরাধগুলো তাঁর মুখ দিয়ে আমরা জোর করে বাধ্য করতে পারি না। এটা ৩৫ (৩) -এ বাধিত, এটা কোন অবস্থাতেই করা যাবে না। অপর দিকে দেখা যাচ্ছে যে, অনেক অনেক সময় কোন ব্যক্তিকে এরেস্ট করার পর বা ফৌজদারি অপরাধে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে তাকে এরেস্ট করার পর পরবর্তীতে দেখা গেছে তাকে নিয়ে থানাতে বা অন্য যে কোন সেন্টারে নিয়ে যন্ত্রণা দিছে, টর্চার করছে। এ বিষয়গুলো টোটালি করা যাবে না সেটাও কিন্তু ৩৫ (৪) অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেয়া আছে। যদি এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সেটা সংশ্লিষ্ট কোর্টের দৃষ্টিতে আনতে পারে একজন বিচার প্রার্থী মানুষ তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে, অথবা সরাসরি হাইকোর্টে এসে সে বিষয়ের আলোকে কোর্টের দৃষ্টিতে এনে মামলা ফাইল করে তাঁর প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে পারে।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের পরও গাজায় বিরামহীন বোমা হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নেরও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এতে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ঘরবাড়ি হারানো লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। অর্ধহারে-অনাহারে প্রায় খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

ইউনিসেফের মুখমাত্র জেমস এল্ডার জানিয়েছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরেও গত দুইদিন ধরে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে চরম হতাশ গাজাবাসী।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পর আশায় জেগেছিলেন ক্ষুধার্ত গাজাবাসী। কিন্তু ইসরায়েলের বিরামহীন হামলায় সবকিছু নিরাশায় রূপ নিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩২ হাজার ৪৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৮৯ জন।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়।

প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়।


আরও খবর



ময়মনসিংহে স্থানীয় ৫ পত্রিকার ডিক্লারেশন স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করায় স্থানীয় পাঁচটি দৈনিক পত্রিকার ডিক্লারেশন স্থগিত করেছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (২৫ মার্চ) ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পত্রিকাগুলো হলো দৈনিক মাটি ও মানুষ, দৈনিক ভূ-মণ্ডল, দৈনিক ভোরের অপেক্ষা, দৈনিক উন্নয়ন সংবাদদৈনিক কালের আলো

এর মধ্যে গত ১৪ মার্চ দৈনিক মাটি ও মানুষ, দৈনিক ভূ-মণ্ডল, দৈনিক ভোরের অপেক্ষা, দৈনিক উন্নয়ন সংবাদ এবং ১৮ মার্চ দৈনিক কালের আলো পত্রিকার ডিক্লারেশন স্থগিত করা হয়।

জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, নিয়মিত না ছাপা, সম্পাদক-প্রকাশকের নাম থাকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করায় স্থানীয় পাঁচটি দৈনিক পত্রিকার ডিক্লারেশন স্থগিত করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



ঝালকাঠিতে পুলিশ সুপার কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে পুলিশ সুপার কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় পুলিশ-সাংবাদিক ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের মধ্যে দুটি গ্রুপে দুটি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সাংবাদিক ফাইনাল খেলায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব রার্নাসআপ ও জেলা পুলিশ চ্যাম্পিয়ন।

খেলায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের খেলোয়ার ছিলেন ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি অলোক সাহা ও দৈনিক আমার সংবাদ এর জেলা প্রতিনিধি এস.এম. পারভেজ। জেলা পুলিশের বিজয়ী প্লেয়ার হলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মোঃ মাসুদ রানা ও টি.আই মোঃ রফিকুল ইসলাম। পুলিশের সদস্যদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় কনস্টেবল মোঃ ফায়জুল ইসলাম ও কনস্টেবল মোঃ হাফিজুর রহমান এবং রার্নাস আপ সার্জেন্ট এস.এম মাজহারুল ইসলাম ও এস আই মোঃ মুরসালিন।

সদর পুলিশ ফাঁড়ি প্রাঙ্গন মাঠে রবিবার রাতে এ ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঝালকাঠির মিডিয়া বান্ধব পুলিশ সুপার (পিপিএম সেবা) মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আনোয়ার সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শেখ ইমরান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজি খলিলুর রহমান, সহ-সভাপতি আল-আমিন তালুকদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান পারভেজ, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক আজকের দর্পণ এর ঝালকাঠি প্রতিনিধি মোঃ রুবেল খানসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য বৃন্দ।

প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন আজকে এ খেলা আয়োজনের মাধ্যমে জেলা পুলিশ ও সাংবাদিক ভাইদের মধ্যে নতুন এক সম্পর্কের উম্মেচন হলো। সাংবাদিক ও আমরা উভয়ই রিক্স নিয়ে কাজ করি। সাংবাদিকরা ঝুকি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে আর আমরা ঝুকি নিয়ে অপরাধিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপনেই।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজি খলিলুর রহমান পুলিশ সুপার মহোদয়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, প্রতিবছর যেন এ আয়োজনের ধারা অব্যাহত থাকে। এতে করে পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে ইউরোপের ৪ দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপের চারটি দেশ। দেশগুলো হলো স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্লোভেনিয়া। ইতোমধ্যে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছে।

ইউরোপভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইউরো নিউজের খবরে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় দেশগুলো।

বৈঠকের পর আয়ারল্যান্ড এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, আমরা সম্মত হয়েছি, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের একমাত্র উপায় হলো একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়ন করা। তাহলেই কেবল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিরা শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করতে পারবে।

এদিকে, বৈঠকের পর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, গত বছর শুরু হওয়া তার সরকারের চার বছরের মেয়াদকালের মধ্যে এ স্বীকৃতি মিলবে।

তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলের সমাবেশের ফাঁকে শুক্রবার সকালে আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছান।

গত নভেম্বরে আরব রাষ্ট্রগুলো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্পেনে বৈঠক করেছিল। সেখানে তারা ফিলিস্তিনইসরালয়ের সংঘাত বন্ধে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে সম্মত হয়।

১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৩৯টি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে।


আরও খবর



কি প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন সাকিব, জানালেন মেজর হাফিজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিনের বাসায় সাকিবের বিএনএমের সদস্য ফরম পূরণ করে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি পর্বের ছবি প্রকাশ্যে আসা নিয়ে চলছে নানান আলোচনা। এ বিষয়ে নিজের অবস্থান জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।

আজ মঙ্গলবার বনানীতে নিজের বাসায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

এ সময় হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই দেশে নানা ধরনের তৎপরতা শুরু হয়। আমি সমরিক বাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পরেও অনেক অবসরপ্রাপ্ত অফিসার, আমার সিনিয়র-জুনিয়র তাদের সঙ্গে আমার ওঠা বসা। তারা আমার বাসায় আসেন, আমি তাদের বাসায় যাই। এভাবে সেনাবাহিনীর পুরোনো সদস্য হিসেবে তাদের সঙ্গে আমার সখ্যতা গড়ে ওঠে। বিএনপির সঙ্গে মাঝে মাঝে আমার দ্বিমত থাকে। যা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পায়। অনেকেই মনে করেছে বিএনপি ত্যাগ করার জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি। সরকারের পক্ষ থেকে যারা যোগাযোগ করেছে তাদেরকে আমি বলেছি, ৩২ বছর পর আমার পক্ষে দল ত্যাগ করা সম্ভব না। বয়স হয়েছে, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ, রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চাই।

বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক কিছু করা হয়েছে। যা আপনারা সবাই জানেন। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের পক্ষ থেকে এবং কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা বিএনএম এ যোগ দিতে আমাকে অনেকবার অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত বন্ধুরা কয়েকবার আমার বাসায় এসেছেন। আমি প্রত্যেকবার বলেছি যে, না এ ধরনের কোন চিন্তা ভাবনা আমার মধ্যে নেই। আমি রাজি হয়নি।

তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাই সাকিব আল হাসানকে আমার কাছে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি দেশ সেরা ক্রিকেটার। বিশ্বখ্যাত অলরাউন্ডার। সাকিব আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করে। তাকে বিএনএম এর দুজন নেতা আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি বলেছি- রাজনীতি করা তোমার বিষয়। তুমি এখনো খেলাধুলা করছো, রাজনীতি করবে কিনা চিন্তাভাবনা করে দেখ। আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়। এ ঘটনা নির্বাচনের চার-পাঁচ মাস আগে হবে। যা হোক, যখন ক্ষমতাসীনদের চাপ বাড়তে লাগলো, এমনকি তৎকালিন তথ্যমন্ত্রী ঘোষণাই দিয়ে দিলেন হাফিজ সাহেব শীঘ্রই নতুন দল গঠন করবেন এবং নির্বাচনে যাবেন। তার পরের দিনই নির্বাচনের দুই মাস আগে আমি একটা সংবাদ সম্মেলন করি। সেখানে সবকিছুই বলেছি।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, সাকিব আল হাসান ও আমার একটি ছবি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এটি নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে কয়েকটি সংবাদপত্র নানা ধরনের সংবাদ প্রকাশ করছে। আমি সামান্য ব্যক্তি। তারপরও ৩৭ বছর ধরে রাজনীতি করছি। দুইবার মন্ত্রী ও ৬ বার এমপি ছিলাম। ওইসব সংবাদে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা লক্ষ্য করছি। দলের নেতাকর্মীরাও এতে বিচলিত হন। জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে এসব করা হয়েছে। আমি এমন কিছু করিনি যার জন্য লজ্জ্বিত হতে হবে।


আরও খবর