আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

একঝাঁক পানকৌড়ির অভয়াশ্রম সাফারি পার্ক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একঝাঁক পানকৌড়িসহ বিভিন্ন পাখির মিলনমেলায় এক অপরুপ দৃশ্যের অবতারণা সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পাখিরা বেছে নিয়েছে সাফারি পার্কের কুমির বোস্টনির পাশের গাছগুলো। নিস্তব্ধতা ভেঙে চারপাশ পাখির কোলাহলে মুখরিত পার্ক।

পানকৌড়ি আর বক পাখিদের নিরাপদ অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। ভোর হওয়ার সাথে সাথে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে ওখানকার পার্ক কর্তৃপক্ষ ও আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষের। বাশঁঝাড় কিংবা উচুঁ গাছের দিকে তাকালে দেখা যাবে শত শত পানকৌড়ি আর বকের নিরাপদ প্রজনন আবাসস্থল। এখানেই জন্ম নিচ্ছে পাখির বাচ্চা। প্রজননের জন্য আসা এসব পাখিদের ভালোবাসে পার্ক কর্তৃপক্ষ খাবারের সু ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। পাখিদের আবাসস্থল  পার্কের ভেতরে হওয়ায় প্রতিদিনই পাখিদের দেখার জন্য ছুটে আসেন সাধারণ মানুষ। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, এখানে গাছে গাছে যেন থোকায় থোকায় পাখির সাদা কালো ফুল ফুটে আছে। পাখিদের মিলন মেলা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক । পানকৌড়ি ও বক এর প্রজনন দেখতে যেতে হবে সাফারি পার্কে সকালে অথবা সন্ধায়। প্রকৃতি প্রেমিক-পাখি প্রেমী মানুষগুলো এখানে ভীড় জমায়। এ কারণে পাখিদের অভয়ারণ্য এ পার্ক। বয়স্ক ভারী গলার কাশির শব্দের মতো খকখক, খেকর খেকর ডাক শুনা যায় । এখানকার গাছগুলোতে রয়েছে অতি চেনা ছোট পানকৌড়িদের বেশ বড় একটি আবাসস্থল বা কলোনি। 

ছোট পানকৌড়িরা এখানে আসে জ্যৈষ্ঠ মাসে। তারা জোড় বাঁধে, বাসা বানায়, ডিম দেয়, বাচ্চা ফোটায়। আবার বাচ্চা বড় করে আশ্বিনের প্রথম দিকে তারা উড়ে যায় তুলনামূলক আরও ভালো কোনো আশ্রয়ের উদ্দেশে। তবে ফাঁকা থাকে না গাছগুলো। ওরা চলে যেতেই অগ্রহায়ণে আসে সাদা বকের দল, শালিক আর চড়ুই। বকের দল বাচ্চা তুলে ফিরে যায় বৈশাখের শেষে। তবে এখানে বকদের অবস্থান পানকৌড়িদের মতো সরব নয়। কারণ বাচ্চাদের খাবার দিতে পানকৌড়িদের মতো তারা ছোট দূরত্ব থেকে বারবার মাছ নিয়ে বাসায় ফেরে না। খাবারের জন্য তারা অনেকটা দূরের পথে উড়ে যায়। দু-একবার ফেরে দলছুট হয়ে। সন্ধ্যায় ফিরে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে, বড় বড় দলে।

ছোট পানকৌড়ি আমাদের দেশের একটি স্থায়ী পাখি। মাছ ওদের একমাত্র খাদ্য। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে এরা অতিপরিচিত। কালো শরীরে ছড়ানো লেজ, কালো হাঁসের মতো পা। সাপের মতো লম্বা বাঁকানো গ্রীবা, সুচালো বাঁকা ঠোঁট। প্রজননকালে শরীরের কালো রং কিছুটা ফিকে হয়। সচরাচর দেখা যায় নদী ও বিল এলাকায়। উঁচু গাছে ডালপালা দিয়ে বাসা বাঁধে। ছোট পানকৌড়ি দুই থেকে ছয়টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। ছেলেমেয়ে উভয় পাখি পালাক্রমে ডিমে তা দেয়। বাচ্চা ফুটতে লাগে ১৭ থেকে ২১ দিন। দেশের নদী অঞ্চলের মাছের ঘেরে এদের বিচরণ নিয়মিত। ডুব দিয়ে  সাঁতারে মাছ ধরতে এই ছোট পানকৌড়ি অনেক সময় দুঃসাহস দেখিয়ে বাড়ির পুকুরেও নেমে পড়ে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ২৫-৩০টি গাছকে ঘিরে এই পানকৌড়ি কলোনি গড়ে ওঠেছে । এরা পার্কে নিরিবিলি পরিবেশ পেয়ে  খুবই নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তুলেছে । ঝড়-বৃষ্টির সময় বাতাসে গাছ থেকে বাচ্চা পড়ে যায়। আবার ছোট বাচ্চারা বাসা ছেড়ে বের হতে গিয়ে মাটিতে পড়ে কুকুর-বিড়ালের খাদ্য হয়। আছে শিকারী পাখির উপদ্রব।

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। দেশের নানা বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ ও প্রাণির জায়গা হয়েছে এ পার্কে। এর পাশাপাশি পার্কটি বনাঞ্চল ঘেরা হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবেই গড়ে উঠেছে পাখির নিরাপদ অভয়্যরণ্য। পাখিদের নিরাপদ পরিবেশ, প্রাকৃতিকভাবে আহারের ব্যবস্থা ও প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করায় পাখিরা এখানে আসছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, পার্কের বাহিরে পাখিরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছে না। সেখানে পাখি শিকারীসহ নানা পেশার মানুষ পাখিদের বিরক্ত করে। পাখিদের জীবন ও জীবিকার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ায় পাখিরা এখানে আবাসস্থল তৈরি করেছে। এখানে পাখিদের কেউ বিরক্ত করছে না। আহারের ব্যাবস্থার জন্য পার্কের লেকে মাছ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পার্কে নানান জাতের রং-বেরঙের পাখির মেলা বসেছে। প্রতিদিন সকালে খাবারের উদ্দেশ্য তারা দূর-দূরান্তে চলে যায়। বিকেলে নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পার্কে ফিরে আসে। সন্ধায় পাখির কলকাকলিতে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়। পানকৌড়ি ছাড়াও পার্কে আবাবিল,ধলা গলা মুনিয়া বিভিন জাতের ঘুঘু, মাছরাঙা, হরিয়াল ও নীলকন্ঠি পাখি দেখা যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পাখি গবেষক আ ন ম আমিনুর রহমান বলেন, সাফারি পার্কে পাখি কলোনি তৈরি হয়েছে। যাএকঝাঁক পানকৌড়ির অভয়াশ্রম হিসেবে উপযোগী একটি স্থান।


আরও খবর



নোয়াখালীর গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এই নতুন কূপটির খনন কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুই শতাধিক খনন প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ১২০ দিন চলবে এ খননের কাজ।

কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ ও বাপেক্সের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩ হাজার ২০০ মিটার খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাপেক্স এর তথ্য মতে, এর আগে নোয়াখালীর এ অঞ্চল তথা বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে। ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো ড্রিলিং করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই দুটি কূপে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস প্রোডাকশনে যায় এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।


আরও খবর



তারাকান্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই-বোন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

জেলার তারাকান্দা উপজেলা সদরে আজ বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে সহোদর ভাই-বোন নিহত হয়েছেন।

আজ রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের তারাকান্দা দক্ষিণ বাজারের জামান ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার চর শিমুলচরা গ্রামের মোকাদ্দেস রহমান তোরাব ও মনিরা বেগমের ছেলে আনাছ আহনাফ (৩) এবং বোন মাশুরা নোকাদ্দেছ তানাছ (১৬)।

জানা যায়, কুয়েত প্রবাসী ভাই সোহাবুর রহমান বাপ্পীকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আনতে রবিবার ভোরে ঢাকা যাচ্ছিল বোন মনিরা বেগম, মনিরার স্বামী মোকাদ্দেসুর রহমান তোরাব, তাদের সন্তান তানাজ, আনাছসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। পথিমধ্যে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ফিলিং স্টেশনের সামনে মিথুন সুপার নামে একটি বাসের সাথে সংর্ঘষ হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী তানাজ ও শিশু আনাছ। আহত হয় তাদের বাবা-মাসহ ৩ জন।

তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াজেদ আলী দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,

মাইক্রোবাসে করে পরিবারটি শেরপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে তারাকান্দা দক্ষিণ বাজারে দুর্ঘটনায় পড়ে। সেখানে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যায়। আহত বাবা ও মাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আরও খবর



ঈদের আগে মায়ের মুক্তি চেয়ে চেম্বার আদালতে ৪ বছরের নুরী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গত ২৮ অক্টোবরের হামলাকে কেন্দ্র করে বাবা হামিদ ভূঁইয়ার পরিবর্তে গ্রেপ্তার চার বছরের ছোট্ট নূরজাহান নূরীর মা হাফসা আক্তার পুতুলের জামিন চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ৬ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ হাফসা আক্তারকে জামিন দিলেও ১০ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত তার জামিন স্থগিত করে দেন।

সম্প্রতি মায়ের মুক্তির জন্য মানববন্ধন করে বেশ আলোচনায় আসে নুরী। গত ৪ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে ছোট্ট নুরীর মা হাফসা আক্তার পুতুলের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

শুনানিতে হাইকোর্ট জানতে চান, এই মহিলা আসামি হিসেবে এত গুরুত্বপূর্ণ কেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, মাই লর্ড সিসিটিভি ফুটেজ আছে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও আছে। পরে হাইকোর্ট সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান এবং ফুটেজ উপস্থাপন করতে বলেন।

গত ২৯ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রচারিত বাবা ঘরে আসুক, কারাগার থেকে ফিরুক মা শীর্ষক এক সংবাদে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির কর্মী আবদুল হামিদ ভূঁইয়া পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মা হাফসা আক্তার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তবে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ডিএমপি বলে, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল ও তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া সম্পর্কে ২৯ নভেম্বর পত্রিকাটিতে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তা সঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।


আরও খবর



ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নেতজাহ ইহুদা ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েল বাহিনীর ওই সৈন্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এজন্য আইডিএফর এলিট বাহিনী হিসেবে পরিচিত নেতহাজ ইহুদা ব্যাটালিয়নকে কালো তালিকাভূক্তির ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

রোববার রাতে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়। কারণ আমাদের সৈন্যরা দানব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। যদি আইডিএফর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাহলে তা হবে অযৌক্তিক।

তিনি আরও বলেন, সরকার প্রধান হিসেবে এতদিন ধরে যে নির্দেশনা দিয়েছে নিষেধাজ্ঞা দিলে তা ব্যর্থতায় পরিণত হবে।

ইসরায়েলি দুই মন্ত্রী ইতামার বিন গিভির এবং বেঞ্জালেল স্মোট্রিচ যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন, আমাদের সৈন্যদের ওপর যদি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তা হবে সীমা লঙ্ঘনের সামিল।

ইতামার বিন গিভির আরও বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অধিক সতর্ক হওয়া উচিত এবং আমাদের নেতহাজ ইহুদা বাহিনীকে রক্ষা করা উচিত। 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োব গ্যালান্টকে ইসরায়েলি সরকারের বাজ পাখি আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের কাছে মাথা নত না করার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী গিভির।

দেশটির অর্থমন্ত্রী বিজালেল স্মোট্রিচ এক্স প্লাটফর্মে এক বিবৃতিতে বলেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীর এলিট ফোর্টের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপকে পাগলের কার্যকলাপের সঙ্গে তুলনা করেছেন।


আরও খবর



ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-তারাকান্দা সড়কের কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারাকান্দায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে অন্তত ১০-১২ জনকে আনা হয়েছে। এদের মাঝে ছয়জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর