সাভারে শার্টের বোতামের সূত্র ধরে একটি
চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে সম্পত্তির
লোভে, তারাবি নামাজের সময় বাসায় একা পেয়ে নিজের বোনকে হত্যা করেছিল হত্যাকারী।
শুক্রবার ৪ এপ্রিল সকালে সাভার মডেল থানা
পুলিশ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর
আগে গত ১২ এপ্রিল রাত সাতটায় স্বামী হারুন তার অসুস্থ স্ত্রী হনুফা আক্তারকে তারাবির
নামাজ পড়ে এসে মৃত অবস্থায় পায়। ঘটনা রাতেই হারুন অর রশিদ তুষারবাদী হয়ে সাভার
মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) দিদার
হোসেন ও সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিরদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনার
রহস্য উন্মোচনে মাঠে নামে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মৃত অনুফা আক্তারের
বাম গালের এবং থুতনির নিচে নখের একাধিক আচড় দেখতে পায় পুলিশ। এছাড়াও মুখ দিয়ে রক্তমিশ্রিত
লালা বের হচ্ছিল। খাটের উপর একটি বালিশ রক্তমাখা অবস্থায় ছিল। এসময় ঘটনাস্থল তল্লাশী
করে ঘরের মেঝেঝতে একটি বোতাম এবং একটি হ্যান্ড গ্লাভস এর বৃদ্ধাংগুলির অংশ বিশেষ পান
তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
শুরু হয় বোতামটি নিয়ে তদন্ত, বোতামটি
মৃতের স্বামী পরিহিত শার্টের বোতামের সাথে মিল ছিল না। বিভিন্ন কৌশলে তদন্তের একপর্যায়ে
দেখা যায় মৃতের সহোদর ভাই মোহাম্মদ আলীর পরিহিত শার্টের একটি বোতাম ছেড়া এবং ঘটনাস্থলে
প্রাপ্ত বোতামের সঙ্গে মোহাম্মাদ আলীর পরিহিত শার্টের অন্যান্য বোতামের সাথে হুবহু
মিলে আছে। মোহাম্মাদ আলীর শরীর পর্যবেক্ষন করে দেখা যায় তাহার ডান কানের নিচে এবং
নাকে হালকা নখের আচড় আছে।
সন্ধ্যা হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে
রাতে আনা হয়। পরে বোনের এই হত্যার ঘটনায় নিজেই জড়িত বলে স্বীকার করে।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিরদর্শক (তদন্ত)
আব্দুর রাশিদ বলেন, আসামী জানায় যে, অনুমান ১২ বছর পূর্বে তার পিতার সমস্ত সম্পত্তি
(অনুমান ২০ বিঘা) জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিস্টি করিয়া নেয়েছিল সে। পরবর্তীতে তাহার
পিতা কটু ফকির, বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মামলা করিয়া উল্লেখিত জমি রায়ের মাধ্যমে নিয়ে
বোন হনুফাকে ওসিয়ত দলিল করে দেন। এরপর থেকেই অর্ধেক সম্পত্তি ফেরত দেওয়া জন্য বোনকে
চাপ প্রয়োগ করে আসছেলো হত্যাকারী।
এ বিষয়কে কেন্দ্র করেই হত্যার পরিকল্পনা
করে সে । এবং ১২ তারিখ রাত অনুমান ৭/৮ ঘটিকার সময় বোনের স্বামী মোঃ হারুন অর রশিদ
তুষার তারাবির নামাজ পড়তে গেলে, সেই সুযোগে হনুফাকে একা পেয়ে ডান হাতে গ্লাভস পরে
বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করিয়া হত্যা করে।
তার ব্যাপারে আইমানক ব্যবস্থা প্রক্রিয়া
দিন বলেও জানায় এই পুলিশ অফিসার।