আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

একুশ বছরেও সংস্কার হয়নি পরৈকোড়া ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন চামুদরিয়া শাহ্ আলী রজা (রহঃ) সংযোগ সড়কের ২১ বছরও হয়নি সংস্কার। এতে কাদাপানি জমে দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কার না করায় সড়কটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সড়কটির দুরবস্থার কারণে প্রায় এক কিলোমিটারের এ সড়কে ওষখাইন শাহ্ আলী রজা (রহঃ)আলিম মাদ্রাসা, ওষখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাহাতা পাঠনীকোঠা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় আলাদা হয়ে গেছে ইটের খোয়া। কোথাও কোথাও রাস্তার দুপাশ থেকে ভেঙে সামন্য চান্দি টিকলেও বেশির ভাগ জায়গায় পুরো ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। একদিকে সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব খানাখন্দে পানি জমে ছোটখাটো ডোবার রূপ ধারণ করে। অপরদিকে রৌদ্রজ্জ্বল দিনে এসব খানাখন্দ পথচারিদের দুর্ঘটনার ফাঁদ হয়ে ওঠে।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত এপ্রিল মাসে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। সড়ক জুড়ে কাদাপানি আর বিভিন্ন অংশ গর্তে ভরে গেছে। ওই অংশ এখন একেবারেই যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাঁদা-পানির সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি ও মাটি মিশে কাদায় একাকার হয়ে যায় পুরো রাস্তা। এতে বিপাকে পড়েন ওই এলাকার শত শত মানুষ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ওই সড়কটির অনেক স্থানে ইট উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার ইট বালি আলাদা হয়ে আগের কাঁচা রাস্তার মাটিও বের হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে সড়কের ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে এ সব গর্তে কাঁদাপানি জমে। বিশেষ করে বৃষ্টি- কাদার দিনে জুতা স্যান্ডেল হাতে নিয়ে এক কিলোমিটার কাদা মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘ ২১বছর পর থেকে আর কোনোদিন হয়নি সড়ক সংস্কারের কাজ। আর কত কাল এ কষ্ট করতে বছরের প্রায় ৫/৬ মাস ভোগান্তির শিকার হতে হয় গ্রামবাসীদের। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয় তাদের। এই এলাকার মানুষের আতঙ্ক ও ভয়ের আরেক নাম হবে কে জানে বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে হাঁটু সমান কাদা।

কাদার জন্য এ রাস্তায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, ভ্যান-রিকশা ঢোকে না। মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলে তো দূরে থাক, খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দায়। বৃষ্টির দিনে গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সও এখানে ঢুকতে পারে না। অনেক সময় কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে কাঁধে করে কর্দমাক্ত রাস্তা পার করা হয় বলেও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা জিকু বড়ূয়া বলেন, আমাদের দুঃখ-কষ্ট, দুর্ভোগের কথা কেউ শুনে না। আমাদের ভোগান্তির কথা বলে বোঝানো যাবে না। নিজ চোখে দেখতে হবে। আমরা ঠিকমতো হাটবাজারে যেতে পারি না। রাস্তার বেহাল দশার কারণে কৃষকরা সময়মতো পণ্য বাজারজাত করতে পারেন না। ফলে ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে কি করে চলাচল করব আমরা কিছুই বুঝেতে পারি না। জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ আমাদের এই রাস্তার দিকে একটু নজর দেয়ার জন্য।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক চৌধুরী বাবুল বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে জরাজীর্ণ খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে যাতায়াতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। সড়কটি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি খুব শীগ্রই কাজ শুরু করা হবে।


আরও খবর
ঈদে আজম উদযাপন উপলক্ষে ফেনীতে মহাসমাবেশ

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কাউকে খুশি করতে এমরান এসব কথা বলেছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার বক্তব্যের পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা জানান।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমার সঙ্গে কথা না বলে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া মানে কাউকে খুশি করার জন্য তিনি এসব কথা বলেছেন।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ ১৬০ বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া খোলাচিঠির পক্ষে অবস্থান নেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তাতে তিনি সই করবেন না বলে জানিয়ে দেন।

আরও পড়ুন: ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী

এমরান আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানানো হয়। যেখানে সোমবার বিকেল ৪টার মধ্যে বিবৃতি সই করার কথা বলা হয়। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে সই করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সই করার সঙ্গে একমত নই।

তিনি বলেন, আমি মনে করি ড. ইউনূসের বিষয়ে যে বিবৃতি ও পাল্টা বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে সেটির প্রয়োজন নেই। ওনার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো চলছে তা অন্যভাবে ডিল করা যেতো। এটা ওনাকে চাপে রাখার জন্যই করা হচ্ছে বলে মনে হয়েছে। উনি বাংলাদেশের জন্যই যে শুধু সম্মান বয়ে এনেছেন তা কিন্তু নয়, উনি সারা বিশ্বের সম্পদ।


আরও খবর
কমল সোনার দাম

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা করছে কিছু গোষ্ঠী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কিছু গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তিক্ততা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে এবং বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। নিউইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

ড. মোমেন বলেন, আমরা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলাম গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। পৃথিবীর কোথাও গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য এতো অল্প সময়ে এতো মানুষ আত্মত্যাগ করেনি। আমরা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র জাতি যারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য এতো বড় ত্যাগ স্বীকার করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের মতের, চিন্তার মিল আছে। নীতিগতভাবে আমাদের দুদেশের মধ্যে মিল রয়েছে। তবে তাদের কোনো কোনো ব্যক্তিবিশেষ হয়তো আমাদের উন্নয়ন পছন্দ করছেন না, তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানাই। কেউ বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার করলে তাদের মিথ্যাচারকে চ্যালেঞ্জ করতে দলমত নির্বিশেষে প্রবাসী বাংলাদেশিদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংশোধনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে যেসব ভালো পরামর্শ দেয় আমরা সেটা গ্রহণ করি। যুক্তরাষ্ট্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে। আমরাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু লোক আছে যারা নির্বাচন বয়কট করতে চায়, নির্বাচন ভয় পায়। নির্বাচন বানচাল করতে তারা সবরকমের চেষ্টা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে আমরা ২৬তম বড় অর্থনীতিতে পরিণত হব। আমাদের রয়েছে ১৭ কোটি মানুষ, তাই আমাদের নিজস্ব বাজারও অনেক বড়। সেজন্য আমাদের দেশের প্রতি অনেকেরই আগ্রহ বেড়েছে। কারণ আমাদের মাথাপিছু আয় ৫ গুণ বেড়েছে। দারিদ্র্যের হার অর্ধেকের বেশি কমেছে। এসবই শেখ হাসিনার সরকারের লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কারণে সম্ভব হয়েছে।

ড. মোমেন আরও বলেন, আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাছ ও সবজি উৎপাদনে আমরা বিশ্বে তৃতীয়। চাল উৎপাদনে আমরা বিশ্বে চতুর্থ। আমাদের কৃষি জমি অনেক কমে গেছে কিন্তু খাদ্য উৎপাদন চারগুণ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। তবে আমরা এই উন্নতি করছি বলে অনেকেরই গাত্রদাহ হচ্ছে। আমাদের দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না। কারণ এখন আমরা বিদেশির পয়সায় চলি না। আর আমরা উন্নতি করেছি বলে অনেকের আগ্রহ বেড়েছে। অনেকেই আমাদের কাছে টানার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা কারও লেজুরবৃত্তি করতে চাই না।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি ড. মসিউর মালেক। অন্যান্যের মধ্যে কবি ও সাহিত্যিক ফকির ইলিয়াস, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আব্দুল খালেক মিয়া, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার নিউইয়র্ক প্রতিনিধি লাভলু আনসার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতৃবৃন্দ ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



অসুস্থ থাকায় আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি পরীমণি

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্লীলতাহানির অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি চিত্রনায়িকা পরীমণি।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে তার সাক্ষ্যের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন অসুস্থ থাকায় তিনি আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। অবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি বিষয়টি জানিয়েছেন। এদিন মামলার আসামি নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম আদালতে হাজিরা দেন।

এর আগে গত বছরের ১৯ এপ্রিল নাসির ও অমির পক্ষে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে অব্যাহতির আবেদনের বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষ। এছাড়া অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমণি।

তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন। অন্য দুই আসামি হলেন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। এরপর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ঢাকার অদূরের বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে যান পরিমণি। সেদিন রাতে সেখানে তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন পরীমণি। পরে ১৪ জুন নাসির ও অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৮২৩

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, আর ঢাকার বাইরে ৮ জন। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৮২৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৫ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৮১৮ জন।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার হাসপাতালে ৪ হাজার ৫২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৩৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৬১ হাজার ৪৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭১ হাজার ৬৪৫ জন। এদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪১৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৫৬ হাজার ৯৬৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৬ হাজার ৪৫০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট ৬৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়। ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হয় দুজনের। মার্চে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও এপ্রিল ও মে মাসে দুজন করে মারা যায়।

জুন মাসে এসে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারায় ২০৪ জন এবং আগস্ট মাসে ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়। চলতি সেপ্টেম্বেরর ৪ দিনে মারা গেছেন ৫৩ জন।


আরও খবর
দেশে এই প্রথম ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৭৪৮

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন করে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১৬ জনে।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৪৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৫১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৯৭ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ১৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকায় ৪ হাজার ৪১১ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ হাজার ৭৮৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৩৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬৬ হাজার ৬৫ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৯ হাজার ২৭০ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪২১। ঢাকায় ৬১ হাজার ১৪১ এবং ঢাকার বাইরে ৭৩ হাজার ২৮০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।


আরও খবর
দেশে এই প্রথম ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩