আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

এলসি জটিলতায় বন্ধের শঙ্কায় জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ড

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানিতে বড় অংকের এলসি খোলার আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। এমন নির্দেশনা দিয়ে গত মাসে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরই সংকটের মুখে পড়ে দেশের জাহাজ ভাঙা শিল্প। ডলার সংকটের কারণে এরই মধ্যে দেশের ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজারের শিল্প খাতটি অনেকটাই স্থবির। এলসি-সংক্রান্ত জটিলতায় জুলাইয়ে মাত্র আটটি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করেছেন আমদানিকারকরা। বাজারে চাহিদা থাকলেও স্ক্র্যাপ সরবরাহ করতে পারছে না ইয়ার্ডগুলো। ফলে স্ক্র্যাপের দামও বেড়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বাজারে ডলারের মাত্রাতিরিক্ত সংকট তৈরি হয়েছে। তার ওপর বাংলাদেশ ব্যাংক বড় অংকের এলসি খোলার ক্ষেত্রে মনিটরিং বাড়িয়েছে। এর ফলে জাহাজ ভাঙা শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে। আরো কয়েক মাসে যদি সরকার বৈদেশিক মুদ্রার বাজার সংকট নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারে তাহলে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি একেবারেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে অনেক ইয়ার্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন মালিকরা। ডলার সংকটের কারণে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৫০ লাখ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের এলসি খোলা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হচ্ছে। যার কারণে জাহাজ ভাঙা শিল্প বড় সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একেকটি জাহাজ আমদানিতে ১৫০-২০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। অথচ গত মাস থেকে আমদানিকারকরা ব্যাংকে এলসি খুলতে পারছেন না। ফলে গত মাস থেকেই স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি তলানিতে নেমেছে। আগামী মাসগুলোয় এলসি জটিলতার সমাধান না হলে শিপইয়ার্ডগুলো একেবারেই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইকেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২১ সালে বাংলাদেশে মোট স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি হয়েছিল ২৮০টি, যার সম্মিলিত ওজন ছিল ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৫৯৭ টন। অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে আমদানি করা হয়েছে মাত্র ৯৩টি স্ক্র্যাপ জাহাজ, যার মোট ওজন ৭ লাখ ৬৯ হাজার ২১৫ টন। গত বছরের প্রথম সাত মাসে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করা হয়েছিল ১৭১টি, যার ওজন ছিল ১৭ লাখ ২৩ হাজার ৬০০ টন। বছরের ব্যবধানে আমদানি কমেছে ৭৮টি এবং ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৮৫ টন।

জাহাজ ভাঙা শিল্প মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএর সিনিয়র সহসভাপতি এবং ব্যবসায়ী মো. কামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা ব্যাংকে এলসি করতে গেলে ডলার দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো। যার কারণে জুলাইয়ে বাংলাদেশে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। চলতি মাসে অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে। এদিকে বিদ্যুতের প্রাপ্যতা নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে ইয়ার্ডগুলোয়। বিএসবিআরএর সহকারী সচিব নাজমুল ইসলাম জানান, জাহাজ ভাঙা শিল্প বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশে নানা সংকটের মধ্য দিয়ে বাজারে ইস্পাত খাতের চাহিদা বাড়লেও ইয়ার্ড থেকে স্ক্র্যাপের জোগান বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরের প্রতি মাসে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি বাড়লেও চলতি বছরের শুরু থেকেই সেই হার নিম্নমুখী।

ইনভেস্ট ডটকমের তথ্যমতে, ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক বাজারে টনপ্রতি স্ক্র্যাপের দাম ছিল ৩৮৮ ডলার। ১১ আগস্টও স্ক্র্যাপ বিক্রি হয় ৩৯৪ দশমিক ৫০ ডলারে। এদিকে দেশের বাজারে টনপ্রতি স্ক্র্যাপ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ হাজার টাকায়। স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি কমে যাওয়ার আশঙ্কায় বাজারে স্ক্র্যাপ সরবরাহে আরো বড় সংকট তৈরি হবে। ফলে টনপ্রতি আরো দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ীরা। এদিকে ইয়ার্ডের শ্রমিকরা বলছেন, গত দু-তিন মাসে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি কমে যাওয়ায় অনেক ইয়ার্ডে বেতন-ভাতা নিয়ে বড় সংকট তৈরি হচ্ছে। জাহাজ আমদানি কমে যাওয়ায় অনেক ইয়ার্ড এখন বন্ধের পথে।


আরও খবর



৭১ বছর পর এভারেস্টের চেয়ে বড় ধূমকেতুর দেখা মিলতে যাচ্ছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীর খুব কাছে আসছে মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে বড় একটি ধূমকেতু। দীর্ঘ ৭১ বছর পর বিরল এই ধূমকেতুর দেখা মিলতে যাচ্ছে। ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পনসব্রুকস। এটি খালি চোখেও দেখা যেতে পারে।

১২পি/পনস-ব্রুকস ধূমকেতুটি নির্দিষ্ট সময় পরপর পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করা ধূমকেতুটি প্রতি ৭০ বছর পরপর সৌরজগতের ভেতরে চলে আসে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস ১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন। এরপর ১৮৮৩ সালে এটি আবার দেখতে পান জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।

সর্বশেষ ১৯৫৪ সালে ধূমকেতুটি সূর্যের কাছাকাছি এসেছিল। এরপর ২০৯৫ সালে এটি আবার সূর্যের কাছাকাছি আসতে পারে। একে অনেক সময় শয়তান (ডেভিল) ধূমকেতু হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

আগামী ২১ এপ্রিল ধূমকেতুটি সূর্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছাবে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্যোতির্বিদেরা দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এটি দেখতে পাচ্ছেন এবং ছবি তুলছেন। আগামী ২ জুন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে। এ সময় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে ১৪ কোটি ৪০ লাখ মাইল।

আগামী ৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে সূর্যগ্রহণ থাকায় ওই সময় এটি সেখান থেকে দেখা যেতে পারে। অন্য ধূমকেতুর মতোই ১২পি/পনস-ব্রুকস মূলত ধূলি, বরফ ও ধাতব পদার্থের তৈরি। সূর্যের কাছাকাছি গেলে তাপে সেখান থেকে গ্যাস বের হয় এবং ধূলিকণা মিশে ধূমকেতুর বায়ুমণ্ডল সৃষ্টি করে। এ ছাড়া সৌরবায়ুর কারণে ধূমকেতুর একটি লেজ সৃষ্টি হয়।


আরও খবর
গুগল ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




ঈদে ট্রেনযাত্রা : পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের টিকিট মিলবে যখন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উপলক্ষ্যে রেলওয়ের যাত্রীর পরিবহনের সক্ষমতার চেয়ে অন্তত ৩০ গুণ চাহিদা থাকে ট্রেনের টিকিটের। টিকিট পেতে সবাই একসঙ্গে অনলাইনে যুদ্ধে নামেন। ফলে সার্ভারে চাপ বেড়ে যায়, বিঘ্ন ঘটে টিকিট বিক্রিতে। তাই এই যুদ্ধ থামাতে রেলওয়ের প্রশাসনিক অঞ্চলভেদে গতবারের মতো এবারও দুটি সময়ে টিকিট বিক্রি করা হবে।

রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টায় বিক্রি হবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট। এদিন পাওয়া যাবে ৩ এপ্রিলের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেওয়া কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি। সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট (https://eticket.railway.gov.bd/) ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হবে।

এবারও শতভাগ টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে। টিকিট যার, ভ্রমণ তার এই নীতি মেনেই ট্রেনে ভ্রমণ করতে হবে। ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট রিফান্ড/ফেরত দেওয়া যাবে না। ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিটও অনলাইনে পাওয়া যাবে। একজন যাত্রী শুধুমাত্র ঈদের আগে একবার এবং ঈদের পরে একবার করে টিকেট নিতে পারবেন। একজন যাত্রী একটি আইডি দিয়ে মোট ৪টি টিকিট নিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে যাত্রীর সঙ্গে থাকা বাকি ৩ সহযাত্রীর বিবরণ টিকেটে উল্লেখ করতে হবে।

সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের যেসব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে

একতা এক্সপ্রেস (৭০৫/৭০৬), করতোয়া এক্সপ্রেস (৭১৩/৭১৪), কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস (৭১৫/৭১৬), সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫/৭২৬), রুপসা এক্সপ্রেস (৭২৭/৭২৮), বরেন্দ্র এক্সপ্রেস (৭৩১/৭৩২), তিতুমীর এক্সপ্রেস (৭৩৩/৭৩৪), সীমান্ত এক্সপ্রেস (৭৪৭/৭৪৮), লালমনি এক্সপ্রেস (৭৫১/৭৫২), সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (৭৫৩/৭৫৪), মধুমতী এক্সপ্রেস (৭৫৫/৭৫৬), দ্রুতযান এক্সপ্রেস (৭৫৭/৭৫৮), পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৫৯/৭৬০), সাগড়দাড়ি এক্সপ্রেস (৭৬১/৭৬২), চিত্রা এক্সপ্রেস (৭৬৩/৭৬৪), নীলসাগর এক্সপ্রেস (৭৬৫/৭৬৬), দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস (৭৬৭/৭৬৮), ধুমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯/৭৭০), রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১/৭৭২), সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৭৫/৭৭৬), ঢালারচর এক্সপ্রেস (৭৭৯/৭৮০), টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস (৭৮৩/৭৮৪), বনলতা এক্সপ্রেস (৭৯১/৭৯২), পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (৭৯৩/৭৯৪), বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫/৭৯৬), কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (৭৯৭/৭৯৮), বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস (৮০৩/৮০৪), চিলাহাটি এক্সপ্রেস (৮০৫/৮০৬) এবং বুড়িমারী এক্সপ্রেস (৮০৯/৮১০)।

দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের যেসব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে

সুবর্ণ এক্সপ্রেস (৭০১/৭০২), গোধূলি/প্রভাতী এক্সপ্রেস (৭০৩/৭০৪), তিস্তা এক্সপ্রেস (৭০৭/৭০৮), পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯/৭১০), উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১/৭১২), জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস (৭১৭/৭১৮), পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭১৯/৭২০), মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১/৭২২), উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৩/৭২৪), মেঘনা এক্সপ্রেস (৭২৯/৭৩০), অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫/৭৩৬), এগারোসিন্ধুর প্রভাতী এক্সপ্রেস (৭৩৭/৭৩৮), উপবন এক্সপ্রেস (৭৩৯/৭৪০), তূর্ণা এক্সপ্রেস (৭৪১/৭৪২), ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস (৭৪৩/৭৪৪), যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৫/৭৪৬), এগারোসিন্ধুর গোধূলি এক্সপ্রেস (৭৪৯/৭৫০), কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩/৭৭৪), হাওড় এক্সপ্রেস (৭৭৭/৭৭৮), কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮১/৭৮২), বিজয় এক্সপ্রেস (৭৮৫/৭৮৬), সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৭/৭৮৮), মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮৯/৭৯০), জামালপুর এক্সপ্রেস (৭৯৯/৮০০), চট্টলা এক্সপ্রেস (৮০১/৮০২), কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৩/৮১৪) এবং পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৫/৮১৬)।

নিউজ ট্যাগ: ঈদে ট্রেনযাত্রা

আরও খবর



ঈদে ভাড়া বেশি নিলে বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পেলে সেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মহাসড়ক/সড়কে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা হয়।

সভায় মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এবারের ঈদে সম্ভাব্য কোন কোন এলাকায় জট, যানজট বা ব্লক তৈরি হতে পারে, সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এবার ঈদযাত্রায় হাইওয়েতে ড্রোনের সহায়তা নিচ্ছি। ড্রোনের সহায়তায় চিত্র দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব। হাইওয়ের অনেক রাস্তা চার লেন হচ্ছে। কোথাও কোথাও হয়ে গেছে। এখন রাস্তায় যদি কোনো যানবাহন তাৎক্ষণিক অকেজো হয়ে পড়ে, তাহলে সেটি সরানো সহজ হবে। ক্রুটিপূর্ণ কোনো যানবাহন যাতে ঈদে সড়কে না নামে, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

প্রতি বছরই বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ ওঠে এবং প্রমাণও মেলে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাঙ্গা বলেন, অনেক পরিবহনই ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। যেসব বাস কোম্পানি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে, তাদের কোনো বাস যদি ভাড়া বেশি নেয়, তাহলে আমাদের জানাবেন, আমাকে জানাবেন... ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে স্পটে উপস্থিত হব। অভিযোগ পেলেই আমরা সেখানে যাব। কোন কোন জায়গায় কারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে, সেটি আমরা শনাক্ত করব।

বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে কী ব্যবস্থা নেবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেলে সেই গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ করে দেব। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে সড়কের তিনটি লেনই অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে। যার বড় প্রভাব পড়ে সড়কে যান চলাচলে। সেটি সমাধান না হলে ঈদযাত্রার বড় অংশ সময় যাবে ঢাকাতেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, রাস্তা লক বা ব্লক করে রাস্তায় দাঁড়ানোর কোনো অধিকার আমাদের নেই। যারা অবৈধভাবে পার্কিং করবে সড়কে, আর যানচলাচল বিঘ্নিত করবে, তাদের বিরুদ্ধে ট্র্যাফিক পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ নিক, আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে তো সড়কই নেই, সড়ককেও টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখান থেকে বের হয়েই আগে মহাখালী যাব। দেখি ওখানে কী সমস্যা। আবারও বলছি, যারাই অবৈধ পার্কিং করবেন, অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।


আরও খবর



মুক্তি পাচ্ছে মিথিলার নতুন সিনেমা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দেশ ছাড়িয়ে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। নিজ দেশের পাশাপাশি কাজ করে চলেছেন ওপার বাংলাতেও। সেই ধারাবাহিকতায় আরও একটি নতুন সিনেমায় অভিনয় করলেন তিনি। সিনেমার নাম ও অভাগী। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অভাগীর স্বর্গ গল্প অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন কলকাতার অণির্বাণ চক্রবর্তী। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে দুই বাংলার জনপ্রিয় এ তারকাকে।

জানা গেছে, আগামী ২৯ মার্চ সিনেমাটি কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এমনটা নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেও।

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা দেশ রূপান্তরকে বলেন, খুব সম্ভবত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাওয়া এটি আমার তৃতীয় সিনেমা। অনেকদিন আগে এটার শুটিং শেষ করেছিলাম। কাজটা করতে গিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করেছিলাম। অনেক কষ্ট হয়েছে। সেসময় তাপমাত্রা ছিল অনেক কম। সব কিছু মিলিয়ে কাজটি করতে গিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। অবশেষে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এত সুন্দর একটা চরিত্রে কাজ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। চরিত্রটার জন্য মানসিকভাবে অনেক খাটতে হয়েছে আমাকে। কাজটি সবাই পছন্দ করবেন আমার বিশ্বাস।

এদিকে মিথিলা জানান, দেশে এবং কলকাতায় বেশ কিছু নতুন সিনেমা নিয়ে কথা চলছে। খুব শিগগিরই সুখবর দেবেন এই অভিনেত্রী।

ও অভাগিনী সিনেমাতে মিথিলা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন সুব্রত দত্ত, দেবযানী চ্যাটার্জি, ঈশান মজুমদার, সায়ান ঘোষ, সৌরভ হালদার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এরইমধ্যে মিথিলা শেষ করেছেন শিশুতোষ সিনেমা নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড় এর শুটিং। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার জলে জ্বলে তারা, কাজল রেখা সিনেমা। এছাড়াও আসছে ঈদে মুক্তি পাবে তার কাজলরেখা সিনেমা।


আরও খবর



ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত: গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলছে ব্যাপক গোলাগুলি। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে সেখান থেকে ছোড়া গুলিতে নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্যের নাম ছাবের আহমদ (৪৫)। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার (১১ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে এসব গোলাগুলির শব্দ শোনেন তারা। এতে তাদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়। ব্যাপক গোলাগুলির মধ্যে সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে ইউপি সদস্য ছাবের আহত হন। তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তারা আরও জানান, রবিবার (১০ মার্চ) রাত থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

সীমান্তের ঘটনা নিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহত ইউপি সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর