আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

এমএফএস ব্যবহার করে হুন্ডির মাধ্যমে বছরে পাচার ৭৫ হাজার কোটি: সিআইডি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল হুন্ডি কারবার করা ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দেশে ডলারের দাম বাড়াসহ নানা কারণে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এতে বেরিয়ে আসে, গত এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৭.৮ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন হুন্ডি ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। তিনি বলেন, যে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গত চার মাসে ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা পাচার হয়েছে। এছাড়া এমএফসের মাধ্যমে হুন্ডি করে এমন পাঁচ হাজারের বেশি এজেন্টের সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা এমএফএস সেবা বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় ব্যবহার করে হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। ওই পাঁচ হাজার এজেন্ট গেল চার মাসে ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং গত এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

সিআইডি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তার ১৬ জনের মধ্যে ছয়জন বিকাশ এজেন্ট, তিনজন বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার, তিনজন বিকাশের ডিএসএস, দুজন হুন্ডি এজেন্ট, একজন হুন্ডি এজেন্টের সহযোগী এবং একজন হুন্ডি পরিচালনাকারী।

সিআইডি প্রধান বলেন, রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণপ্রবাহ। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলার জন্য সরকার অত্যন্ত তৎপর। হুন্ডি সবসময় রিজার্ভের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের অর্থনীতির এ ঝুঁকি মোকাবিলায় হুন্ডি কার্যক্রমের বিষয়ে নজরদারি শুরু করে সিআইডি। অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার এবং দেশের বাইরে অবস্থানরতদের কষ্টার্জিত অর্থ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে স্থানীয় মুদ্রায় মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং অপরাধ করে আসছে।

তিনি বলেন, সংঘবদ্ধ হুন্ডিচক্র প্রবাসে বাংলাদেশিদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে তা দেশে না পাঠিয়ে এর সমপরিমাণ অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করে। অপরাধীরা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজটি করে থাকে। প্রথম গ্রুপ বিদেশে অবস্থান করে প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে এবং দেশ থেকে যারা টাকা পাচার করতে চায় তাদের দেয়। দ্বিতীয় গ্রুপে আছে অর্থ পাচারকারী ও তাদের সহযোগীরা। তারা দেশীয় মুদ্রায় উক্ত অর্থ এমএফএস এজেন্টদের প্রদান করে। তৃতীয় গ্রুপ তথা এমএফএস এজেন্টরা বিদেশে অবস্থানকারীর নিকট হতে প্রাপ্ত এমএফএস নম্বরে দেশীয় মুদ্রায় মূল্য পরিশোধ করে।

এসব চক্র প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে এমএফএস ব্যবহার করে ক্যাশ ইনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হুন্ডি করছে। এমএফএস এজেন্টদের সহযোগিতায় পাচারকারীরা বিদেশে স্থায়ী সম্পদ অর্জনসহ অনলাইন জুয়া, মাদক কেনাবেচা, স্বর্ণ চোরাচালান, ইয়াবা ব্যবসাসহ প্রচুর অবৈধ ব্যবসাও পরিচালনা করছে।

সিআইডি প্রধান বলেন, এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২(শ) (১৪) ধারা অনুযায়ী অপরাধ। যা একই আইনের ৪(২) এর ধারায় দণ্ডনীয়। এ বিষয়ে মামলা রেকর্ডসহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আক্তার হোসেন (হুন্ডি এজেন্ট), দিদারুল আলম সুমন (হুন্ডি এজেন্ট), খোরশেদ আলম ইমন (হুন্ডি এজেন্টের সহযোগী), রুমন কান্তি দাস জয় (বিকাশ এজেন্ট), রাশেদ মাঞ্জুর ফিরোজ (বিকাশ এজেন্ট), মো. হোসাইনুল কবির (বিকাশ ডিএসএস), নবীন উল্লাহ (বিকাশ ডিএসএস), মো. জুনাইদুল হক (বিকাশ ডিএসএস), আদিবুর রহমান (বিকাশ ডিএসও), আসিফ নেওয়াজ (বিকাশ ডিএসও), ফরহাদ হোসাইন (বিকাশ ডিএসও), আবদুল বাছির (বিকাশ এজেন্ট), মাহাবুবুর রহমান সেলিম (বিকাশ এজেন্ট), আবদুল আউয়াল সোহাগ (বিকাশ এজেন্ট) ও ফজলে রাব্বি (বিকাশ এজেন্ট)।

তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৮০ টাকা, চার সিমে তিন কোটি ৪৬ লাখ ৪৭ হাজার ২২৯ ইলেকট্রনিক মানি এবং ৩৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোট চারটি মামলা করেছে সিআইডি।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে গণমাধ্যমও যুক্ত হবে: পিটার হাস

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর আগামীতে গণমাধ্যমও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। রোববার একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাদানকারী ব্যক্তি ও সহায়তাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।


আরও খবর



মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক, স্ত্রীকে ডিভোর্স দিলেন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক আছে এমন অভিযোগে স্ত্রী নিকোল শানাহানকে ডিভোর্স দিয়েছেন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন।

গত ২৬ মে তাদের বিচ্ছেদ ঘটেছে। এখন তারা চার বছর বয়সি মেয়ের হেফাজত নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে খবরটি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার।

২০১৫ সালে প্রথম স্ত্রী অ্যানে ওজচিক্কির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের সের্গেই ব্রিনের। ওই বছরই পেশায় আইনজীবী ও শিল্প উদ্যোক্তা নিকোল শানাহানের সঙ্গে ডেটিং শুরু করেন তিনি। তিন বছর প্রেম করার পর ২০১৮ সালে তারা বিয়ে করেন।

সের্গেইয়ের স্ত্রী নিকোল পেশায় আইনজীবী এবং ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। বছর তিনেক আগে তিনি মাস্কের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান বলে সামনে আসে। তার পর ২০২১ সাল থেকে সের্গেই এবং নিকোল আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০২২ সালে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন সের্গেই। আবেদনে জানান, স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বলেই এমন সিদ্ধান্ত।

এ বছর ২৬ মে তাদের বিবাহবিচ্ছেদে সিলমোহর পড়ে। এতদিন বিষয়টি গোপনই ছিল। সের্গেই ও নিকোলের চার বছরের এক কন্যা রয়েছে। দুজনেই মেয়েকে বড় করে তোলায় সমানভাবে দায়-দায়িত্ব পালন করবেন। সপ্তাহ এবং মাসের নিরিখে ভাগ করে সময় কাটাবেন মেয়ের সঙ্গে।

নিকোল ও সের্গেইয়ের দাম্পত্যের মাঝে মাস্ক ঢুকে পড়াতেই এমন পরিণতি বলে দাবি করছেন অনেকে। যদিও মাস্ক ও নিকোল সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। মানসিক, শারীরিক কোনো সম্পর্ক হয়নি মাস্কের সঙ্গে বলে জানান নিকোল।

৫০ বছর বয়সি সের্গেই গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা। এ মুহূর্তে বিশ্বের নবম ধনী ব্যক্তি তিনি। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।


আরও খবর



পদোন্নতির দাবিতে আইজিপির শরণাপন্ন পুলিশের ৩৫-৩৬তম ব্যাচ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৩৫ ও ৩৬তম বিসিএসের পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পদোন্নতি না পেয়ে যারপরনাই হতাশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতির দাবিতে তারা মঙ্গলবার আইজিপির চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে পদোন্নতি জট নিরসনের দাবি জানান। পুলিশপ্রধান শতাধিক পুলিশ সদস্যের কথা শোনেন।

৩৫তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডার সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক ও গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ৩৫তম ব্যাচের প্রশাসন-আনসারসহ অন্যান্য ক্যাডার সদস্যরা অনেক আগেই ৬ষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পেয়েছে। আমরা এখনও ৯ম গ্রেডেই রয়ে গেছি।

একই অবস্থা ৩৬তম পুলিশ ক্যাডারেরও। একই ব্যাচের অন্য ক্যাডার সদস্যরা দেড় মাস আগে পদোন্নতি পেয়েছে। পদোন্নাতি না পাওয়ায় আমরা হতাশ। আমাদের পদোন্নতির দাবি ও হতাশার কথা পুলিশ মহাপরিদর্শক অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

আইজিপির নির্দেশনা অনুযায়ী দুই ব্যাচের কর্মকর্তারা এডিশনাল ডিআইজির (ওএন্ডএম) সঙ্গেও আলোচনা করেন। এ সময় পুলিশপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদোন্নতির ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হয়।

৩৫তম ব্যাচের পুলিশ ক্যাডারের সদস্য সংখ্যা ১১৫ জন। ২০১৭ সালের ২ মে তারা চাকরিতে যোগ দেন। আর ৩৬তম ব্যাচে সদস্য রয়েছেন ১১৬ জন। তারা ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিতে নিয়োগ পান।


আরও খবর



নওগাঁয় নদ-নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে চার উপজেলার হাজারো লোক পানিবন্দি

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নওগাঁর মান্দা, আত্রাই, রাণীনগর ও মহাদেবপুরে ১২টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত তিন হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে চার হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের ক্ষেতসহ ফসলের জমি। ভেঁসে গেছে ৪০/৫০ পুকুরের মাছ। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় তিনটি রাস্তার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে পথযাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডে ও সংশ্লিষ্টদের গাফলিতে এই ক্ষয়ক্ষতির মুখে পরেছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আত্রাই নদের পানি মান্দায় বিপৎসীমার ১২০ সেন্টিমিটার, আত্রাইয়ে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মান্দায় ৮টি, রাণীনগরে ১টি আত্রাইয়ে ২টি ও মহাদেবপুরে ১টি স্থান ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছেন। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশকিছু এলাকা চরম ঝঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ।

এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মেরামতের কাজ করছেন স্থানীয়রা।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল জানান, গত রোববার সকাল থেকে আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। ভেঙ্গে যাওয়া অংশগুলো আমরা স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে জিওব্যাগের মাধ্যমে মেরামতের চেস্টা অব্যাহত রেখেছি। তবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে। নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাকাই সিনেমায় স্বস্তিকা মুখার্জি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আবারও ঢাকাই সিনেমায় যুক্ত হলেন স্বস্তিকা মুখার্জি। এর আগে শাকিব খানের বিপরীতে সবার উপরে তুমি নামের ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। বানিয়েছিলেন এফ আই মানিক। স্বস্তিকা এবার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আলতাবানু জোসনা দেখেনি নামের সিনেমায়। বানাবেন হিমু আকরাম। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা।

হিমু আকরাম বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেই স্বস্তিকার সঙ্গে সিনেমা নিয়ে কথা হয়। গল্প শুনেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তিন মাস আগে প্রযোজক ও আমি কলকাতা গিয়ে তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছি। আলতাবানু চরিত্রে অভিনয় করেবেন স্বস্তিকা। তাঁর বিপরীতে কে থাকছেন তা চূড়ান্ত হয়নি।

কয়েক দিন আগে স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সিনেমায় চঞ্চলের বিপরীতে কাজ করছেন তিনি। নির্মাতা বলেন, যখন প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল তখন তিনি জানতে চেয়েছিলেন নায়ক কে হতে পারে। সে সময় তাঁকে জানানো হয়েছিল, কয়েক জনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তবে, চঞ্চল চৌধুরীও হতে পারে। তাই গণমাধ্যমকে তিনি চঞ্চল চৌধুরীর কথা বলেছেন। তবে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের এখনো চুক্তি হয়নি।

প্রথম সিনেমাতেই স্বস্তিকা কেন? জানতে চাইলে হিমু বলেন, অনেকগুলো লেয়ার আছে আলতাবানু চরিত্রটির। নির্মাতা ও গল্পকার হিসেবে মনে হয়েছে এখানে একজন শক্তিশালী অভিনেতা প্রয়োজন।

গল্পের প্রয়োজনে কিছু সাহসী দৃশ্যও আছে, যেটা হয়তো আমাদের শিল্পীরা করার সাহস করবে না। সব দিক বিবেচনা করেই স্বস্তিকাকে চূড়ান্ত করা। ১৬ বছর ধরে নাটক নির্মাণের পর সিনেমা নির্মাণ করছি। তাই গল্পটি সঠিক ও পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপনের জন্যই আলতাবানু চরিত্রে স্বস্তিকাকে পারফেক্ট মনে হয়েছে।

নিজের গল্পেই প্রথম সিনেমা বানাবেন হিমু আকরাম। চিত্রনাট্য লিখছেন হিমু আকরাম, মোহাম্মদ নাজিম উদ দৌলা ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। চিত্রনাট্য চূড়ান্ত হলেই নায়ক চূড়ান্ত করা হবে। এরপর নায়ক-নায়িকার উপস্থিতিতেই দেওয়া হবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। সিনেমার প্রযোজক বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া।

আগামী নভেম্বরে সুন্দরবন, অষ্টগ্রামের হাওর, পুরান ঢাকা ও রাজেন্দ্রপুরে হবে সিনেমার শুটিং। আগামী বছরের কোনো এক ঈদের সময় সিনেমাটি মুক্তি দিতে চান নির্মাতা।


আরও খবর
যেখানে সবার শীর্ষে ক্যাটরিনা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩