আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

এমপি হারুনের মনোনয়নপত্র বাতিল, শাহজাহান ওমর বৈধ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে ওই আসন থেকে আওয়ামী লীগের আরেক আলোচিত প্রার্থী ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরের (বীর উত্তম) মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। যাচাই-বাছাই শেষে ঝালকাঠির দুটি আসনে সাতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার প্রার্থীরা হলেন ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় পার্টির এজাজুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসমাইল হোসেন, নুরুল আলম, ব্যারিস্টার আবুল কাশেম মো. ফকরুল ইসলাম। ঝালকাঠি-২ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নাসির উদ্দীন ইমরানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে আলোচিত প্রার্থী ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরের (বীর উত্তম) এসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করে চলে যান।

ঝালকাঠি-১ আসনে ১১ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন ও ঝালকাঠি-২ আসনে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলো। অপরদিকে ঝালকাঠি-২ আসনের হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।  


আরও খবর



জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত সুন্দরবন, বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

মোংলায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হচ্ছে উপকূল। এরমধ্যে সুন্দরবন দুই ফুট উচ্চার পানিতে তলিয়ে গেছে। বনের ভেতরে নিম্নাঞ্চলে পানির চাপ আরও বেশি। গোটা সুন্দরবনই স্থান বিশেষ ২-৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত। তবে বন্যপ্রাণীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি এখনো চোখে পড়েনি।

বাগেরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কুমার স্বস্তিক জানান, পূর্ণিমার গোন, অতি বৃষ্টি ও সাগর উত্তাল থাকার কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি বেড়েছে মোংলার পশুর ও মোংলা নদীতে। এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ৪ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে মোংলা উপকূলের নিম্নাঞ্চল।

পৌর শহরের ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, গত দু-তিনদিন ধরে পানির চাপ খুব বেশি। পানিতে ফেরিঘাট তলিয়ে গেছে।

উপজেলার জয়মনিরঘোলের বাসিন্দা লুৎফর হাওলাদার বলেন, রাস্তা উপচে পশুর নদীর পানি ঢুকে বাড়িঘর ও চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, গত তিনদিন ধরে সুন্দরবনের ভেতরে পানি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে বনসহ করমজল পর্যটন কেন্দ্রের রাস্তাঘাট। তবে পানিতে বনের ও করমজলের বন্যপ্রাণীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি চোখে পড়েনি।

তিনি বলেন, বনের ভেতরে উঁচু টিলা থাকায় সেখানে আশ্রয় নিতে পারছে বন্যপ্রাণীরা।

নিউজ ট্যাগ: বাগেরহাট

আরও খবর



ইলিশ দিচ্ছে না বাংলাদেশ, হু হু করে দাম বাড়ছে ভারতে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সাম্প্রতিক অন্তর্বর্তী সরকার। পদ্মার ইলিশ, যাকে বাঙালির রন্ধনশৈলীতে মাছের রাজা বলা হয়, এবার নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় বাজারে পৌঁছানোর পথ অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার আমলে শুরু হওয়া এই ইলিশ কূটনীতি এবার নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে।

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, আমরা ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দিতে পারি না, যখন আমাদের নিজেদের লোকজন এগুলো কিনতে পারে না। শেখ হাসিনা আমলে পূজার আগে পশ্চিমবঙ্গে টনকে টন পদ্মার ইলিশ গেলেও এবার আর যাচ্ছে না; তাই পূজার আগে ভারতের বাজারে ইলিশের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং এর জেরে দাম বাড়ছে।

ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুযায়ী, আগামী অক্টোবরে দুর্গাপূজা হবে। তার ঠিক আগমুহূর্তে ভারতে এই মূল্যবান মাছ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও বিশেষ এই সময়ে খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ খেতে পছন্দ করেন কলকাতার বাঙালি বাবুরা।

বাংলাদেশে ইলিশের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মাছটি রপ্তানি বন্ধ রাখে সরকার। ভারতের জন্য বরাবরই মনখোলা ছিলেন শেখ হাসিনা। তাই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দীর্ঘ দিন ধরে যেকোনো উৎসবের আগে ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে পদ্মার ইলিশের বড় বড় চালান পাঠিয়েছেন তিনি। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে এই নিয়ম অনুসরণ করে আসছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ভারতে ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার এই নীতি থেকে সরে এসেছে নতুন সরকার।

তবে বাংলাদেশের সরকার নিষেধাজ্ঞা দিলেও ভারতের মাছবাজারে এখনো পদ্মার ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। দিল্লির সিআর পার্কের মার্কেট-১-এর একজন মাছ বিক্রেতা ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, গাজীপুরের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা আমাদের বলেন- বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এখন মিয়ানমার হয়ে আসছে। এতে ইলিশের দাম বেড়েছে।

তিনি বলেন, আমরা এক থেকে এক দশমিক তিন কেজি ওজনের বাংলাদেশি একটি ইলিশ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। কয়েক মাস আগে এই মাছের দাম কিলোপ্রতি ছিল ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা।

এবারের দুর্গাপূজার সময়ও বাংলাদেশি ইলিশ পাওয়া যাবে। তবে সরবরাহজনিত সমস্যার কারণে টাকা বেশি গুণতে হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পরিবর্তনের সুফল যাতে জনগণ পায় সেজন্য একসাথে কাজ করতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আশরাফুল আলম সজিব, ভোলা

Image

দেশব্যাপী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপকূলীয় অঞ্চলের তৃণমূল পর্যায়ে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তাদের কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান।

ভোলা জেলার সার্বিক নিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর সুরক্ষা এবং যৌথ বাহিনীর কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন তিনি।

পরিদর্শন শেষে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ভোলা সার্কিট হাউজে নৌ কন্টিনজেন্ট, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় করেন। 

মতবিনিময় শেষে এক প্রেস ব্রিফিং কালে তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র জনতার সফল আন্দোলনে দেশে যে পরিবর্তন এসেছে এ পরিবর্তনের সুফল যাতে এদেশের জনগণ পায় তাই সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। ভোলায় ১৫০ কিলোমিটার এলাকার জলপথ রয়েছে। এ জলপথ পাহারা দেয়ার জন্য আগে থেকেই পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মোতায়েন ছিল। বর্তমানে নৌ বাহিনী এখানে কাজ করছে। জনগণের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। বিশেষ করে সাগর মোহনায় বাংলাদেশের জল সীমানায় কোনো বহিরাগত জেলেরা যেনো আমাদের মৎস্য সম্পদ নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য টহল জোরদার করা হবে যাতে কোনো ধরনের চাঁদাবাজী ও সহিংসতা না হয় সেজন্য নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড সর্বদা নিয়োজিত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, দেড় মাস যাবত আমাদের নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কার্যক্রম দেখার জন্যই আজ এখানে এসেছি। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী সব সময় জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশাসনকে আমরা সহায়তা করছি। ভোলা এরিয়ায় যে কমান্ডার আছে তিনি জেলা প্রশাসনের সাথে বসে সমস্যার সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করবে। তবে এখানে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে জনগণের কিছু দাবি রয়েছে। এখানে প্রচুর গ্যাস রয়েছে, স্থানীয় এলাকাবাসী যাতে এই গ্যাস পায় সেজন্য তাদের দাবীগুলো আমি সরকারের কাছে উপস্থাপন করবো।

সরকার পতনের পর ভোলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে নৈবাহিনী প্রধান বলেন, ৫ আগস্টের পর এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা জানতে পেরেছি ভোলায় ৯৭ টি বৌধ আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ঢাকা দুইটিসহ মোট ৮৬টি অস্ত্র জমা পড়েছে। বাকি ১১ টি লাইসেন্স এর বিপরীতে কোন আগ্নেয়াস্ত্র কেনা হয়নি বলে জানা গেছে। উপকূলের চরাঞ্চলে যেসব অবৈধ অস্ত্র রয়েছে তা গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের সহায়তায় যৌথ বাহিনী কাজ করবে।

এ সময় নৌবাহিনী প্রধান, সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করে একটি জনবান্ধব ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরও খবর



চিকিৎসক রেজাউলের চেষ্টায় বদলে গেছে কয়রা স্বাস্থ্যকেন্দ্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

খুলনা শহর থেকে শত কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের কূল ঘেষা কয়রা উপজেলার অসহায় জনগণের দুঃখ দুর্দশা নিত্যদিনের সঙ্গী। ঘূর্ণিঝড় আইলা, সিডর, আম্ফান, রেমালে বিধ্বস্ত উপকূলীয় কয়রা উপজেলা। বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সহজে শত কি.মি দূরে জেলা সদরে চিকিৎসা নিতে পারে না এ অঞ্চলের জনগণ। এমনকি এ জনপদের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করায় জেলা শহরে গিয়ে ভালো চিকিৎসা করাতে ব্যর্থ হয়।

জেলা শহর থেকে উপজেলা পর্যন্ত ভাল সড়ক না থাকায় ও উপজেলায় বসবাসের অনেক অসুবিধা থাকায় বেশির ভাগ সময় চিকিৎসকরা প্রত্যন্ত এ জনপদে আসতে আগ্রহ দেখায় না।

সুন্দরবন উপকূলের এই উপজেলার ভাগ্যহত লক্ষাধিক মানুষের আপদকালীন বিপদে সর্বদা সাহায্য করবে এমন একজন চিকিৎসকের আশায় পথ চেয়েছিলো এ অঞ্চলের মানুষ, ঠিক সে সময়ে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে ২০২৩ সালোর জানুয়ারী মাসে যোগদান করেন ৩৩ তম বিসিএস এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাজিব।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাজিব যোগদানের পর চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির জন্য রাত দিন চেষ্টা করতে থাকেন, প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র কয়েক জন চিকিৎসক নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনে তিনি চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন শত সমস্যার মধ্যেও কিভাবে প্রান্তিক মানুষদের কে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়। তাঁর জাদুর কাটিতে একএক করে পরিবর্তন হতে থাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিত্র। অল্প দিনে ঘুরে দাঁড়ায় হাসপাতালটি। আগে যেখানে মানুষ চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য অনিহা প্রকাশ করতো, এখন সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের ভিড় কানায় কানায় পূর্ণ থাকে।


চিকিৎসক রেজাউল করিম রাজিব বলেন, কয়রাতে যোগদানের পর হাসপাতালের জরাজীর্ণতা আর ভঙ্গুরতা দেখে কথা দিয়েছিলাম যদি বেঁচে থাকি তাহলে হাসপাতালের একটা মানসম্মত অবস্থান আর আধুনিকায়ন করে দিবো। সেই লক্ষ্যে গত দেড় বছর অমানুষিক পরিশ্রম আর হাজারো প্রতিকূলতার সাথে  যুদ্ধ করে কাজ করে গিয়েছি অবিরাম। দিনরাত একাকার করে একটার পর একটা সাইট নতুনভাবে তৈরি করা, রেনোভেশন, ইনোভেশন এর কাজ করেছি। বাসায় যাইনি মাসের পর মাস।হাসপাতালের মূল ভবন নির্মাণাধীন এবং দীর্ঘদিন থেকে নানাবিধ জটিলতায় কাজ বন্ধ হয়ে আছে। তাই একাংশ ভবনের মধ্যেই আমাকে স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে নেয়ার জন্য সবকিছুর ব্যবস্থা করতে হয়েছে।

সরোজমিনে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ছোট একটি ভবনের নীচ তলায় সাজানো গুছানো ইমার্জেন্সি, আউটডোর, এনসিডি, আইএমসিআই, এএনসি ও পিএনসি, ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার, গ্লাস টিকেট কাউন্টার,ফার্মেসি, অফিস সাইট। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় প্যাথলজী, টেস্ট রুম, নরমাল ডেলিভারি রুম, পোস্ট লেবার রুম, ওটি রুম ,সেন্ট্রাল সার্ভার স্টেশন, কনফারেন্স রুম। ৩য় তলায় ইনডোর, নার্সেস ডিউটি রুম, ওয়ার্ড বয় রুম আর ছাদের একপাশে নতুনভাবে পরিপূর্ণ একটা পুরুষ ওয়ার্ড।

এগুলোর অধিকাংশই সম্পূর্ণ নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে আর কিছু রুম রেনোভেশন করে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আর বাইরে ফ্ল্যাগ স্টান্ড, পয়সনিং ওয়াশ রুম, অত্যাধুনিক পাবলিক ওয়াশ কর্ণার, আর মনোমুগ্ধকর তিলোত্তমা পুকুর পাড়। হাসপাতালের বারান্দায় রোগীদের বেড থাকায় জানালায় থাই গ্লাস দেওয়া হয়েছে যাতে রোগীরা শীতে এবং বর্ষায় কষ্ট না পায়। কম ওজনের নবজাতক বাচ্চাদের তাপমাত্রা সঠিক মাত্রায় রাখতে তাদের জন্য "ইনফ্যান্ট রেডিয়েন্ট ওয়ার্মার" নামক অত্যাধুনিক মেশিন চালু করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাজিব দায়িক্ত নেয়ার দেড় বছরে এতগুলো কাজ সম্পন্ন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,জনপ্রতিনিধি এবং হাসপাতালের আশেপাশের নিকটস্থ মানুষদের সাথে নিয়ে সবকিছু পরিদর্শন পরবর্তী ব্যবহারের জন্য একটা আয়োজন করা হয়। ছোট্ট একটা ভবনের এত সুযোগ সুবিধা  দেখে মানুষজন রীতিমতো বিস্মিত হয়। এসময় তারা চিকিৎসক রেজাউল করিম রাজিবের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করে।

চিকিৎসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাজিব বলেন, আমি বিশ্বাস করি জনবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি এবং স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে একটা ভালো, সুন্দর সুসম্পর্ক থাকা অতি প্রয়োজন। জনসাধারণ এবং হাসপাতালের কর্মরতদের সাথে সুসম্পর্ক এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ দিতে পারে একটা মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার সহকর্মী চিকিৎসকবৃন্দ, হাসপাতালের সকল স্টাফবৃন্দ এবং আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি।আমি কথা দিয়েছিলাম, আমি কথা রেখেছি। তবে পূর্ণাঙ্গ ভবন থাকলে নিশ্চিতভাবেই কাজগুলো একটা অসাধারণ হাসপাতালের রূপরেখা তৈরি করত। তারপরও সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়ে যতটুকু সম্ভব তার সবটুকুই করে দিয়েছি। আমার করা কমিটমেন্টের সবগুলো আমি পূরণ করেছি।
নিউজ ট্যাগ: খুলনা কয়রা

আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের বৈঠক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল। এসময় তারা শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেও তাদের আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।

মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড ও ভাঙচুরের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজর আনেন তারা।


আরও খবর