আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলা স্থানান্তর

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। গত বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি, টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটে ধর্ষণে ছয়জন সরাসরি অংশ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণে সহযোগী দুই জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ধর্ষণ ও দণ্ডবিধির ধারায় আদালতে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। এরপর সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবুল কাশেম এক আদেশে ওইদিন (৩ ডিসেম্বর) ধর্ষণ মামলাটি সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করেন। অপরদিকে চাঁদাবাজি, টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগপত্রের ওপর আগামী ২৮ ডিসেম্বর সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ওইদিন শুনানি শেষ হলে দণ্ডবিধির ধারায় দাখিলকৃত অভিযোগপত্রটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানাস্তর হবে বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এমসি কলেজ ছাত্রবাসের গৃহবধূ ধর্ষণের মামলার অভিযোগপত্রসহ পুরো মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহপরাণ থানার জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও) এসআই আব্দুল মজিদ খান।

তিনি বলেন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি, টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। দাখিলের দিন (৩ ডিসেম্বর) সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এক আদেশে ধর্ষণ মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করেন। অপর অভিযোগপত্রের (চাঁদাবাজি, টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়া) শুনানি আগামী ২৮ ডিসেম্বর সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হবে।

আদালত সূত্র জানায়, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষক, প্রত্যক্ষদর্শীসহ ৪৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আদালতে দাখিলকৃত অভিযোগপত্রটি ১৩ পৃষ্ঠার। ওই অভিযোগপত্রে ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, মিসবাউল ইসলাম রাজন ও বহিরাগত মো. আইনুদ্দিনকে সরাসরি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল হাসান ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আটজনের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অপরাধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। একই ঘটনায় মামলার বাদীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে তাকে মারধর ও তার স্ত্রীর কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার এবং টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অপরাধে ওই ৮ আসামির বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

চার্জশিটে বলা হয়, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাদীর গাড়িটি হোস্টেলের ভেতর দেখতে পায়। ভবনের দোতলার প্রত্যক্ষদর্শী ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধর্ষণকারীদের নাম জানতে পারে পুলিশ। এছাড়া হোস্টেলের অন্য ছাত্রদের ছবি দেখিয়ে আসামিদের চিহ্নিত করে বলে চার্জশিট উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য,  ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন গৃহবধূ। এরপর পুলিশ নির্যাতিতা নারীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে ওসিসিতে তিন দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মহানগরের শাহপরাণ থানায় ৬ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ ঘটনার পর সিলেটসহ সারা দেশে তোলপাড় শুরু হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে চালায়। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৯) ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় চারজনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া সিলেট জেলা পুলিশ দুইজনকে, সুনামগগঞ্জ ও হবিগঞ্জ পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আট আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তারা। জবানবন্দিতে প্রধান আসামি সাইফুর, তারেক, রনি ও অর্জুন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। রবিউল ও মাহফুজুর ধর্ষণে সহায়তার কথা স্বীকার করেন। সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রাজন ও আইনুলও জবানবন্দি দেন। এছাড়া ২৯ নভেম্বর আসামিদের ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে পান তদন্ত কর্মকর্তা।


আরও খবর



রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাসহ দেশের ৮ জেলার ওপর দিয়ে আজ বুধবার দিবাগত রাত ১টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ বিকেলে নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট থেকে দিবাগত রাত ১টার মধ্যে ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীতে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে থাকে। তবে দুপুরের পর আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এই বৃষ্টি পড়ে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত। একপশলা বৃষ্টির পর তাপপ্রবাহ অনেকটাই কমে গেছে।


আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



ঈদের দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাঁদ দেখার সাপেক্ষে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী বৃহস্পতিবার। ওই দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় থাকলেও দুপুরের দিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ওই দিন দেশের কোনো কোনো স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। এছাড়া আগামী দুদিন (বুধ-বৃহস্পতি) বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, যেহেতু কালবৈশাখীর সময় তাই যেকোনো সময় পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, ঈদের দিন (বৃহস্পতিবার) বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকবে। এদিন আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। মঙ্গল ও বুধবার তাপমাত্রা বাড়বে, ঈদের দিনও সেটা অব্যাহত থাকবে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দুই-চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে, সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।


আরও খবর



অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

কুইন অব ফুটবলখ্যাত ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা ভিয়েরা দা সিলভা ইতোমধ্যে নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন। এখন কেবল ফুটবলকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানোটা বাকি। নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছয়বার ব্যালন ডিঅরজয়ী এই তারকা ফুটবলার এবার অবসর নেওয়ার সময় জানিয়ে দিলেন। তার তথ্যমতে, চলতি ২০২৪ সালের শেষদিকেই ফুটবলকে বিদায় বলবেন মার্তা।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। মার্তা বলেন, এটি আমার শেষ বছর, আমি ইতোমধ্যে এর নিশ্চয়তা দিয়েছি। এমন মুহূর্ত থাকে যখন আমরা বুঝতে পারি সেই সময় (বিদায়ের) এসে গেছে। এ নিয়ে আমি শান্ত আছি, কারণ তরুণ অ্যাথলেটদের সঙ্গে যে সম্পর্ক রয়েছে, তার মাধ্যমে ফুটবলের ব্যাপক উন্নতি হবে বলে আমি অনেক আশাবাদী।

এই বছর শেষেই অবসরের কথা বললেও, আরও একটি অলিম্পিকে ব্রাজিলের হলুদ জার্সি গায়ে তোলার আশা করছেন মার্তা। এর আগে তিনি পাঁচটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে দুবার রোপ্য পদক পেয়েছিলেন (২০০৪ এবং ২০০৮)। আবারও অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন নিয়ে মার্তা বলেন, আমি যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, সেখানকার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করব। কারণ সেটি অলিম্পিক হোক কিংবা অন্যকিছু, এটি ব্রাজিল জাতীয় দলে আমার শেষ বছর। ২০২৫ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলে মার্তা বলে কোনো অ্যাথলেট থাকবে না।

বর্তমানে একেবারে নতুন একটি দল হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ব্রাজিলের মেয়েরা। আর্থুর ইলিয়াসের ডাকে শেষবার কনকাক্যাফ গোল্ড কাপের দলে ছিলেন মার্তা। এখন ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা স্ট্রাইকার ফিফার পরবর্তী মের উইন্ডোতে ডাক পাওয়ার আশায় আছেন। সেটি হবে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের আগে খেলোয়াড়দের যাছাইয়ের শেষ সুযোগ কোচের সামনে।

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে নারী এবং পুরুষ দুই সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের (১৭) রেকর্ড রয়েছে মার্তার দখলে। তবে বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ রয়ে গেছে এই সেলেসাও কিংবদন্তির। ব্যক্তিগতভাবে ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা ৫ বছর জিতেছেন বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব। ৮ বছর বিরতি দিয়ে ২০১৮ তে আরও একবার সেই সম্মাননা জেতেন তিনি। অবশ্য ব্রাজিলের জার্সিতে একেবারেই শূন্য নন তিনি। প্যান অ্যামেরিকান ফুটবলের শিরোপা আর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের কীর্তি আছে তার। এছাড়া কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছেন তিনবার।


আরও খবর



ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন আহত হয়েছেন সহযোগী আরোহী।

রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কসমস এলাকার বেতার সেন্টারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মোটরসাইকেল চালক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার মৃত রাজা মিয়ার ছেলে। আহত আরোহী একই এলাকার বাছেত এর ছেলে মোঃ আওলাদ হোসেন। তাকে ধামরাই এর একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায় তারা ধামরাই থেকে নিজ এলাকায় ফিরার পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল আক্তার জানান, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে গেলে পেছনে থাকা বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান চালক জাহিদুল ইসলাম। তার সঙ্গে থাকা অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর