বরগুনা প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ এ অগ্নিকান্ডে নিহত যাত্রীদের পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। নৌ দুর্যোগ তহবিল ট্রাষ্টের আর্থিক সহায়তায় আজ মঙ্গলবার (২৯মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
এসময় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা ০১-আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএর নৌনিট্রা এর পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাড. সঞ্জীব দাস, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্ঠু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাফিজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগন, বিআইডব্লিউটিএর অন্যান্য কর্মকর্তাগন, সাংবাদিকসহ প্রমুখ।
নৌ দুর্যোগ তহবিল ট্রাষ্টের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন বরগুনা বন্দর কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশীদ।
লঞ্চে থাকা নারী যাত্রী সাহারা বেগম আর্তনাদ করে বলেন, আমি ঐ লঞ্চে থেকে দেখেছি আগুন কতটা ভয়াবহ মৃত্যু কতটা নির্মম। শেষমেশ স্বামীকে হারিয়ছি, বিধবা হয়ে মৃত্যু থেকে বেঁচে ফিরেছি!
বিআইডব্লিউটিএর নৌনিট্রা এর পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকান্ডে নিহতদের মধ্যে সনাক্ত হয়েছে ২৫জন তার মধ্যে বরগুনা ১৮জন ও অন্যান্য উপজেলার ৭জন যাত্রীদের পরিবারের মাঝে নৌ-দুর্যোগ তহবিল ট্রাষ্ট থেকে আমরা ১৮ পরিবারকে দের লক্ষ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ করবো। এবং সর্বমোট ৪৭জনের মধ্যে বাকি ২২জনের স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ পূর্বক পরিক্ষার জন্য সিআইডি ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মর্মে কর্তৃপক্ষ জানান, রিপোর্ট সঠিক হলে তারাও সহায়তার আওতায় আসবেন।
এসময় প্রধান অতিথি এ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, এই এমভি অভিযান লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের নিহতের পরিবারকে আল্লাহর কাছে দোয়া করা ছাড়া। সান্তনা দেওয়ার মতো কোন ভাষা আমার নেই! এবং ১৫০০০০০(দেরলক্ষ টাকা) সহায়তা প্রদান করে বলেন টাকা দিলে তো কখনো প্রাণ ফিরে পাওয়া যায় না!
তবে নিহতের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, লঞ্চ অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত সকল স্টাফদের বিচার হবে। তবে আর যাতে এরকম না ঘটে সেদিকে হুশিয়ারী করেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষদের। তিনি আরো বলেন, এই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আরো যারা অসুস্থ চিকিৎসাধীন, পঙ্গু অথবা যে কোন সমস্যা থাকবে সকল বিষয়ে তাদেরকে সহায়তা করার আশ্বাস দেন।