আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

এনআইডি জালিয়াতি : ডা. সাবরিনার বিচার শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহুল-আলোচিত ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি তৈরির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা প্রতারণা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৩ জুন দিন ধার্য করেন। অভিযোগ গঠনের সময় ডা. সাবরিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চেয়েছেন।

২০২০ সালের ৩০ আগস্ট সাবরিনার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মমিন মিয়া। গত বছরের ২৪ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রিপন উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চায়। সাবরিনা ২০১৬ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর, অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম আর এইচ হক আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।

উল্লেখ্য, জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় ২০২২ সালের ১৯ জুলাই সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুলসহ ৬ জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত আছেন সাবরিনা।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ইয়েমেনে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা, নিহত ৮৪

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের আল হুদায়দা প্রদেশে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের জেরে বন্যা দেখা দিয়েছে। আকস্মিক এই বন্যায় ইতোমধ্যে প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮৪ জনের এবং আহত হয়েছেন আরও অনেক।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ক্ষমতাসীন হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম সাবা নিউজ এজেন্সি গতকাল ৩০ আগস্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রাদেশিক রাজধানী আল হুদায়দা সিটির প্রবেশমুখও বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া প্রদেশের বিভিন্ন গ্রাম-শহরে হাজার হাজার বাড়িঘর ডুবে গেছে, অবকাঠামো এবং কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বহু এলাকার পথ-ঘাট ও সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ধ্বংস হয়ে গেছে।

চলতি মাসের শুরু থেকে আল হুদায়দায় শুরু হয়েছে বন্যা। এখন পর্যন্ত পানি নেমে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

অতি বর্ষণের কারণে গত জুলাই মাস থেকে ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, আকস্মিক বন্যার কারণে গত জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

২০১৫ সালে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের উত্থান ঘটে। এই পরিস্থিতিতে ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। তারপর থেকেই সংঘাত শুরু হয়েছে সরকার সমর্থক এবং হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে।

গত ১০ বছরের গৃহযুদ্ধে ইয়েমেনের অবকাঠামো এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দেশটিতে দেখা দিয়েছে গুরুতর মানবিক বিপর্যয়।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি পদত্যাগ দাবিতে কার্যালয় ঘেরাও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

পূর্বঘোষিত ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামেও চট্টগ্রাম ওয়াসা এমডি ফজলুল্লাহ পদত্যাগ না করায় লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ওয়াসা ভবন ঘেরাও করা হয়। শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচিতে ওয়াসা এমডি ফজলুল্লাহর লেলিয়ে দেয়া কর্মচারীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করে।

ওয়াসা ভবনের সামনে গলায় আইডি কার্ড গলায় ঝুলানো ২০-৩০ একটি দল এসে আন্দোলনকারীদের উপর হামলায় অংশ নেন। এসময় তারা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধির উপর হামলার অভিযোগ করেন। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির অনেক দুর্নীতি-অনিয়ম আছে। তিনি প্রত্যেকটা প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিজের পরিবারের ২০ জনকে অবৈধভাবে ওয়াসাতে চাকরি দিয়েছেন। নিজের ভাগিনের মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজ করছেন। সাবেক সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশের টাকা পাচার করেছেন। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কর্মচারীদের লেলিয়ে দিয়ে হামলা করেছেন। আবার নিজের মুখেই বিএনপির নেতাকে ম্যানেজ করার কথা বলছেন। আমরা তার পদত্যাগ ও শাস্তি দাবি করছি। আমাদের আন্দোলন লাগাতার চলবে।

আন্দোলনে অংশ নেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর বলেন, ওয়াসা এমডির নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে অনেক নিউজ হয়েছে। ওনার পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। দ্রুত আমরা সেটা দেখতে পাবো।

আন্দোলনকারীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া এম এ হানিফ নোমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওয়াসায় যে অনিয়ম চলছে তার বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি। এমডির অনিয়মে বিরুদ্ধে কথা বলায় তিনি তার সমর্থক নামে কিছু সন্ত্রাসীদের আমাদের উপর লেলিয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক গ্লোগান দিয়ে এমডি অফিসের সামনে আমাদের ওপর হামলা করেছে তারা। সে জালিম হাসিনা সরকারের দোসর। আগের স্টাইলে তিনি ওয়াসা দখল করে রাখতে চাইছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালে জন্ম নেওয়া এ কে এম ফজলুল্লাহ চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে অবসর নেন ২০০০ সালে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ৬ জুলাই প্রথমবার চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে এক বছরের জন্য নিয়োগ পান। এরপর আরও এক বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে ঢাকা ওয়াসার আদলে চট্টগ্রাম ওয়াসাতেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ তৈরি করা হয়। ওয়াসা বোর্ডও পুনর্গঠন করা হয়। তখন এমডি পদে নিয়োগ পান তৎকালীন চেয়ারম্যান ফজলুল্লাহ। সেই থেকে ১৫ বছর ধরে এমডি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আজ ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

রোববার (২৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও রাষ্ট্রদূতের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস ইউং।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর এটিই রাষ্ট্রদূত ওয়েনের প্রথম সাক্ষাৎ। এর আগে বুধবার (২১ আগস্ট) চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকালে নতুন সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা, আগামী বছর ২০২৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন হবে।  বাংলাদেশ উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের অংশীদারিত্ব, কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র‍্যাটেজিক কো-অপারেশন এগিয়ে নেয়াসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া ড. ইউনূসকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন রাষ্ট্রদূত।


আরও খবর



বিচারকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক করলেন সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনও স্ট্যাটাস, মন্তব্য ও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে বিচারকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনও স্ট্যাটাস, মন্তব্য ও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে বিচারকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি অমান্য করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনও কোনও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বিচারিক কর্মঘণ্টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়োগকারী ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে নানারকম বিরূপ মন্তব্য করছেন। যা চাকরি শৃঙ্খলা, বিধিমালার পরিপন্থি, অসদাচরণের শামিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে বিচারকরা সতর্ক না হলে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অমান্য করলে পেশাগত অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালাসহ প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সারাদেশে বাদ পড়ছেন ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করতে যাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। এসব কর্মকর্তা দেশের ৬৪ জেলার অধস্তন আদালতে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার তাদের বাদ দিয়ে নতুন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। এ লক্ষ্যে নিয়োগপ্রত্যাশীদের তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি জীবনবৃত্তান্তসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করছে আইন মন্ত্রণালয় ও সলিসিটর কার্যালয়। চলতি সপ্তাহে একযোগে বা পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করে নতুন নিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার বলেন, কিছু কিছু তালিকা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন মন্ত্রণালয়ের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আইন উপদেষ্টার কাছে নিয়োগপ্রত্যাশী অনেকে নাম ও তালিকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু এসব বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর আইন কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। সে হিসেবে এবারও পরিবর্তন হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তালিকা তৈরি হচ্ছে। শিগগিরই বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতো বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আদালতের বিচারকাজেও। বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের চাপের মুখে বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তারা শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন না। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাদের অধিকাংশ এখন আদালতেও আসছেন না। একইভাবে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ অন্য নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পক্ষেও আদালতে আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করতে চাইলেও তাঁকে বা তাদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছাড়াই আদালতে বিচারকাজ চলছে। কিছু ক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানিতে অংশ নিলেও তারা আসামির বিরুদ্ধেই শুনানি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় লিগ্যাল এইডের আইনজীবীদের নিয়োগের জন্য আদালতগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয় ও সলিসিটর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় জিপি-পিপি, অতিরিক্ত পিপি-অতিরিক্ত জিপিসহ প্রায় ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তা রয়েছেন। আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদকাল সরকারের সন্তুষ্টিকাল পর্যন্ত। এ প্রেক্ষাপটে ৬৪ জেলা আদালতে আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগপ্রত্যাশীর তদবির শুরু হয়েছে। সারাদেশ থেকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা প্রায় প্রতিদিনই আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য আইন উপদেষ্টার কাছে তালিকা দিচ্ছেন। বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শীর্ষ নেতারা এরই মধ্যে তালিকা দিয়েছেন। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম দিয়েছেন।

আইন কর্মকর্তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে দাবি উঠেছে। তবে কোনো সরকারই স্থায়ী নিয়োগের জন্য আইন করেনি। ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন কর্মকর্তা নিয়োগে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের লক্ষ্যে আইনের খসড়া করলেও পরবর্তী সময়ে সেটা আর বাস্তবায়ন হয়নি।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, বর্তমানে জিপি, পিপি ও বিশেষ পিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা। জিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া মামলার শুনানির জন্য পিপি ও বিশেষ পিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ৬০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। অতিরিক্ত  জিপি ও অতিরিক্ত পিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৯ হাজার টাকা। অতিরিক্ত জিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত পিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ৫০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। এজিপি, এপিপি ও এলজিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ৬ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৪ হাজার টাকা। এজিপি ও এলজিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। মামলার শুনানির জন্য এপিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ২৫০ টাকা; অর্ধদিবসের জন্য ১৫০ টাকা।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪