ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক এনু এবং তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে করা অর্থপাচারের আরেক মামলার রায় জানা যাবে আজ।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ মো. বদরুল আলম ভূঞা বংশাল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন করা মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন।
মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষে গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিচারক রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করছিলেন বলে ওই আদালতের পেশকার ফজলুর রহমান জানান।
২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকার ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে অভিযান চালানোর মধ্যে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় দুই ভাই এনু ও রুপনকে। তার আগে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাওয়া যায় সিন্দুক ভর্তি কোটি কোটি টাকা আর সোনা, যা ক্যাসিনোর বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা হাতিয়ে নিয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্য। ওই অভিযানে এনু এবং রুপনের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের দুই সহযোগী আবুল কালাম ও হারুন অর রশিদের বাসাতেও অভিযান চালায় র্যাব।
এরপর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়।
২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ একটি মামলা করেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এনু-রুপন ছাড়া চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভুঁইয়া, মো. মেরাজুল হক শিপলু, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান ও ভুলু চন্দ্র দেব। আসামিদের মধ্যে এনু-রুপনসহ ছয়জন কারাগারে আছেন।
এর আগে ওয়ারী থানায় করা অর্থপাচারের এক মামলায় ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এনু-রুপনসহ ১১ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত। একই সঙ্গে তাদের চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।