আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

এশিয়া কাপের সিদ্ধান্ত নেবে এসিসি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কারণে অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলছে এশিয়া কাপের ভাগ্য। ভারতের আপত্তির মুখে ইতোমধ্যে আয়োজক পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একাধিক মডেলের প্রস্তাবনা আসলেও কোন কিছুতেই যেন মন গলছে না চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের। এই টুর্নামেন্টকে আলোর মুখ দেখাতে মরিয়া পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, হাইব্রিড মডেলে মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপ, যেখানে অংশগ্রহণ করবে ভারতও। কিন্তু চিত্রনাট্যে আরও একবার পরিবর্তন!

পিসিবি প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপে রাজি নয় বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। ভারত চায় এশিয়া কাপ হোক একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, পাকিস্তান ও অন্য একটি দেশ মিলিয়ে দুই ধাপে নয়।

আরও পড়ুন<< কেন দলে জায়গা পাননি লাউতারো মার্তিনেজ

বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানদের কাছে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেছেন। রোববার আহমেদাবাদে এশিয়ার তিন বোর্ডপ্রধানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় মিলিত হন জয় শাহ। বিসিসিআইয়ের এই কর্তা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও (এসিসি) সভাপতি। ভারত পাকিস্তানে খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এশিয়া কাপ নিয়ে যে অচলাবস্থার শুরু, হাইব্রিড মডেলেও বিসিসিআইয়ের অসম্মতি প্রকাশের মাধ্যমে তা আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় এসিসির নির্বাহী বোর্ড। এ জন্য প্রেসিডেন্ট জয় শাহকে সভা আহ্বান করতে হবে উল্লেখ করে এসিসি বোর্ডের এক সদস্য বলেছেন, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান পিসিবিকে বলেছে, তাদের পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে আপত্তি নেই। কিন্তু হাইব্রিড মডেলে আগ্রহী নয় ভারত। এখন অচলাবস্থা ভাঙতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে এসিসি নির্বাহী বোর্ডের সভায়, যেটা প্রেসিডেন্ট জয় শাহকে আহ্বান করতে হবে।

আরও পড়ুন<< নেইমারকে ছাড়াই ব্রাজিলের দল ঘোষণা

শনিবার বিসিসিআইয়ের বিশেষ সাধারণ সভা শেষে জয় শাহও বলেছিলেন, এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে এসিসি সভায়। এসিসি নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদেশ ২৫টি। এর মধ্যে ৫টি আইসিসির পূর্ণ সদস্য তথা টেস্ট মর্যাদার, ৩টি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মর্যাদার আর বাকি ১৭টি শুধু টি-টোয়েন্টি মর্যাদার।

নিউজ ট্যাগ: এশিয়া কাপ

আরও খবর



মন্দা শেয়ারবাজারে চাঙা বিমা খাত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারে মন্দা চলছে। কিন্তু আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় এখনো অতিমূল্যায়িত বেশ কিছু বিমা কোম্পানির শেয়ার। সাম্প্রতিক সময়ে দাম আরও বাড়ছে। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া শীর্ষ ২০টি কোম্পানির মধ্যে আটটি ছিল বিমা খাতের। আর দাম বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ দশে থাকা ৫টি ছিল এই খাতের।

সামগ্রিকভাবে সোমবার ডিএসইতে ৪৪৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে যা ৮৯ কোটি টাকা কম। এছাড়া সোমবার ডিএসইতে মূল্যসূচক ১ পয়েন্ট এবং বাজার মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা কমেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে সোমবার ৩০০টি কোম্পানির ৯ কোটি ৩৪ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ৪৪৬ কোটি ২ লাখ টাকা। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৭টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ৮১টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইর ব্রডসূচক আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৮৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১২৮ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

ডিএসইর বাজার মূলধন আগের দিনের চেয়ে বেড়ে ৭ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। তবে মন্দার মধ্যেও বাজারে চাঙা হয়ে উঠেছে বিমা খাত। লেনদেন এবং দাম বৃদ্ধি দুই তালিকায়ই এই খাত এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানির সংখ্যা ৫৭টি। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ছে।

শীর্ষ দশ কোম্পানি: ডিএসইতে সোমবার যেসব কোম্পানির শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে সেগুলো হলো-ফু ওয়াং ফুড, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, সী পার্ল বীচ, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স, সেনাকল্যাণ ইন্সুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স এবং এমারেল্ড অয়েল।

সোমবার ডিএসইতে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে সেগুলো হলো-ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স, সেনাকল্যাণ ইন্সুরেন্স, সী পার্ল বীচ, অ্যাম্বী ফার্মা, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স, অগ্রণী ইন্সুরেন্স, ইসলামি কমার্শিয়াল ইন্সুরেন্স, ইন্ট্র্যাকো রিফুয়েলিং এবং এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্সুরেন্স।

অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি কমেছে সেগুলো হলো-সেন্ট্রাল ফার্মা, কে অ্যান্ড কিউ, ট্রাস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্স, ইমাম বাটন, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স, মনোস্পুল পেপার, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, আরডি ফুড, গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্স এবং নর্দান জুট।

নিউজ ট্যাগ: শেয়ারবাজার

আরও খবর



নির্বাচনে ডিসিদের পক্ষপাতমূলক আচরণ চায় না ইসি: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্বাচন সামনে রেখে জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক তা নির্বাচন কমিশন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি একথা বলেন।

নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ায় জামালপুরের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এমন বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, তফসিলের আগে এমন চিঠি দিতে কোনো বাধা নেই। পাঁচ বছরের পুরো সময়ে আমাদের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কর্তব্য ও এখতিয়ার রয়েছে।

সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর কিছু সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব- যেগুলো বাধ্যতামূলক আমাদের করতেই হবে। তফসিলটা হচ্ছে নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়। যেখান থেকে ধাপে ধাপে আমাদের পোলিং ডে এবং নির্বাচন ঘোষণা করতে হয়। এখন নির্বাচনের আগেও যদি কোনো কিছু যা নির্বাচনের আস্থাভাজন, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজনতা বা যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন তাদের তাদের পক্ষপাতহীন আচরণ নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্যই সেটা সরকারের নজরে আনতে পারে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জামালপুরের ডিসির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আমরা চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম তাকে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসকদের সতর্কবার্তা দিতে যেন এ ধরনের আচরণ না হয়। এটা নির্বাচনের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে।

নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে বিরোধী দল যা বলছে তা নিয়ে কমিশনের কাজ করার সুযোগ আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এমন জটিল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে না এই মুহূর্তে। তবে অবশ্যই আমরা ভোটের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করব। এটাকে বলে প্রক্ষেপণ। নির্বাচন ৩ মাস পরে, ৪ মাস পরে, ছয় মাস পরে হবে। কিন্তু আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

আরও পড়ুন>> নভেম্বরে তফসিল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: ইসি আনিছুর

সাংবাদিকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনারা তো বলেন আমরা পারি না। মনে করেন কালকে জেলা প্রশাসকরা একটা অ্যাসোসিয়েশন করলো। তারা ঢাকায় চলে এসে বললো এবার আমরা একটা বিশেষ দলকে অবশ্যই অবশ্যই ক্ষমতায় আনবো। নির্বাচন মনে করুন ছয়মাস পরে। এখন আমরা কী নিশ্চুপ বসে থাকবো? তাদের কিছু একটা ইনস্ট্রাকশন তো দিতে হবে। যে এভাবে আপনারা আচরণ করতে পারেন না। কারণ জেলা প্রশাসক পদটা নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ। অনেক ক্ষেত্রে তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি তাদের দেখতে হয়। কাজেই আমরা কোনো অবস্থাতেই চাইবো না জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ।

জামালপুরের ডিসির প্রত্যাহার আইওয়াশ বলে বিরোধীদল মনে করছে। এমন প্রশ্ন করা হলে সিইসি বলেন, এর উত্তর দেব না। জামালপুরের ডিসির মতো আরও কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা নির্বাচন কমিশন- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, যদি আমাদের কাছে এমন কিছু প্রতীয়মান হয় তাহলে অবশ্যই এমন উদ্যোগ নেব।

সিইসির কাছে প্রশ্ন ছিলো- প্রধানমন্ত্রীর ভোট চাওয়ার বিষয়ে কী কমিশনের কোনো এখতিয়ার আছে কিনা।জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর চট করে দিতে পারবো না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। বিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে, সবাই কথা বলছেন। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন আপনারা আমাদের ছাড়া কাউকে ভোট দেবেন না তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারি। কিন্তু তিনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টিও ভোট চাইছে কিন্তু বিষয়টি আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখিনি। যখন তফসিল ঘোষণা করা হয় তারপরে যে নির্বাচনী আচরণ...তিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি দাঁড়াবেন না সেটা আমরা জানি না। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি করবেন না সেটা আমরা জানি না। কাজেই সেটা সময় হলে আমরা দেখবো।

নতুন করে যে সংলাপ হচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে কিনা, এ থেকে অর্জন কী- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, অর্জন তো ওখানে বলা হয়েছে। আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা আমাদের দায়িত্ব। যেমন এই আমার ওপরও একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। যারা বিশিষ্টজন তারা কী বলতে চান। দায়িত্বটা শুধু আমাদের না। সরকার, রাজনৈতিক দল, ভোটার সবার যে দায়িত্ব রয়েছে এমন সেমিনার বা আলোচনা থেকে সে ব্যাপারে কিছুটা হলেও দায়িত্ববোধ বা চাপ সৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



নতুন আইফোন আনছে অ্যাপল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের জন্য অপেক্ষায় থাকেন অ্যাপলপ্রেমীরা। কারণ, এ মাসেই নতুন আইফোনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ও পণ্যের ঘোষণা দিয়ে থাকে অ্যাপল। এ বছরও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোর অ্যাপল পার্কে নতুন পণ্য ও প্রযুক্তি উন্মোচন অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানটি। ওয়ান্ডারলাস্ট নামের এ অনুষ্ঠান আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে।

আজকের অনুষ্ঠানে আসতে যাওয়া নতুন প্রযুক্তি ও পণ্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা না গেলেও অনুষ্ঠানে আইফোন ১৫, আইফোন ১৫ প্লাস, আইফোন ১৫ প্রোআইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স মডেল উন্মুক্ত করবে অ্যাপল। অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুকের নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা নতুন প্রযুক্তি ও পণ্যের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

অনলাইনে যেভাবে দেখা যাবে

ওয়ান্ডারলাস্ট অনুষ্ঠানে শুধু আমন্ত্রিত অতিথিরা সরাসরি অংশ নেবেন। তবে বিশ্বজুড়ে অ্যাপলপ্রেমীদের জন্য অনুষ্ঠানটি অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল। তাদের ওয়েবসাইটে অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখার সুযোগ মিলবে। ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যাপলের ইউটিউবচ্যানেল ও অ্যাপল টিভি অ্যাপের মাধ্যমেও অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা যাবে।

সূত্র: গ্যাজেটস নাউ

 


আরও খবর
আইফোন ১৬ সিরিজের নতুন ফিচার ফাঁস

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নতুন আইন: আনসারে বিশৃঙ্খলা করলে মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আনসার ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য বিদ্রোহে জড়ালেই সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী, বিদ্রোহী কিংবা বিদ্রোহে প্ররোচনাকারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হবে। তবে সশ্রম কারাদণ্ডের মেয়াদ ৫ বছরের কম হবে না।

 বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে বিচারের পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে দণ্ড কার্যকর হবে। এমন সব বিধান রেখে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২৩-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। নতুন আইন কার্যকর হলে বিদ্যমান ব্যাটালিয়ন আনসার আইন ১৯৯৫ রহিত হয়ে যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব বলেন, বিদ্রোহ সংগঠন বা বিদ্রোহ সংগঠনের প্ররোচনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে। আগের আইনে বিদ্রোহের বিষয়টি ছিল না। নতুন আইনে অপরাধ বিচারের জন্য সংক্ষিপ্ত আনসার আদালত এবং বিশেষ ছাড় আদালত নামে দুটি আদালত গঠিত হবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, বিদ্রোহ বলতে বোঝাবে, ব্যাটালিয়নের দুই বা ততোধিক সদস্য সম্মিলিতভাবে বাহিনী বা শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কর্তৃপক্ষের আইনানুগ আদেশ অমান্য করা বা উক্ত কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা, প্রতিহত করা বা উৎখাত করা অথবা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি তাদের বৈধ বা অবৈধ অসন্তুষ্টি সম্মিলিতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকাশ করা বা ওই রূপ কার্যকরণের কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।

আইনের ২০ ধারায় বলা হয়েছে, ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য বাহিনীর অভ্যন্তরে অথবা শৃঙ্খলা বাহিনীতে বিদ্রোহ করলে, বিদ্রোহে প্ররোচনা দিলে কিংবা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। তবে কারাদণ্ডের মেয়াদ কোনোভাবেই পাঁচ বছরের কম হবে না। অপরাধের বিচার হবে বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে। বিশেষ এবং সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতের যে কোনো দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে বিশেষ এবং আনসার ব্যাটালিয়ন আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যাবে। আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আদেশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বাহিনীর মহাপরিচালক বরাবর আপিল করতে হবে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর গাজীপুরের সফিপুরে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ অসন্তোষ একপর্যায়ে বিদ্রোহে রূপ নেয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করে সরকার।


আরও খবর



মানুষ যেন আবার ভোট দেয়, সে পরিবেশ তৈরি করবেন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অনাবাদি জমি চাষ, গাছ লাগানো, কমিউনিটি ক্লিনিকের খবরাখবর রাখা, মাদক ও সন্ত্রাসের দিকে বিশেষ নজর দেওয়াসহ তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের প্রতি একগুচ্ছ আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা কেন্দ্র থেকে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে ক্ষমতাসীন করে জনগণের দৌরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেছিলেন। তিনি সবার মাঝে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ে এল চরম আঘাত। এরপরই থেমে গেল বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। পরবর্তী সময়ে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার সুযোগ পায়। পিতা, মাতা, ভাই সব হারিয়েছিলাম। বিদেশে আমি ও আমার ছোটবোনকে রিফিউজি হিসেবে থাকতে হয়েছিল। আমার ছোটবোন রেহানার পাসপোর্টটিও জিয়াউর রহমান দেয়নি। সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল তবুও রিনিউ করে দেয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা তৃণমূলের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সেবক। আপনারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করে মানুষের আস্থা অর্জন করে এগিয়ে যাবেন। মানুষ যেন আবার ভোট দেয়, সে পরিবেশ তৈরি করবেন। আমরাও এটা চাই, আজকে যে দীর্ঘদিনের উন্নয়নের ফসল, এটা যেন অব্যাহত থাকে। কেউ যেন পিছিয়ে দিতে না পারে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আমরা আরও উজ্জ্বল করে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াবো।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনকের আদর্শ নিয়ে সংবিধানে বর্ণিত পন্থায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌর ও সিটি করপোরেশন আইন করে আমরা এগুলো নিয়ে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, ঘরে বসে চাকরির আবেদনসহ যাবতীয় সেবার কাজ করতে পারে মানুষ। অনলাইনে কেনা-বেচাসহ সব কিছু হচ্ছে। আমরা তরুণ-তরুণীদের ফ্রিল্যান্সিং শেখাচ্ছি। সে এই ট্রেনিং নিয়ে বিদেশেও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। ৩০ ধরনের ওষুধ দিই। চিকিৎসা ও ওষুধ মানুষ পায় কিনা একটু দেখবেন। এতে নজর রাখবেন।

তিনি আরও বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। সব যায়গায় ফসল ফলাবেন। তাতে আপনারাই লাভবান হবেন। আমিও লাভবান হয়েছি। নিজেরা ফসল ফলাবো, নিজেরা খাবো। কারো কাছে হাত পাততে হবে না। আমি অনুরোধ করবো, আপনারা নিজেদের জমি চাষ করেন, গাছ লাগান, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ বিভিন্ন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বক্তব্য দেন।

স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম।


আরও খবর