
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে এশিয়ার লৌহমানবী হিসেবে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট।
শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে গণমাধ্যমটি। এতে
মার্গারেট থ্যাচার ও ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাকে তুলনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায়
থাকা নারী সরকারপ্রধান।
প্রায় দুই দশক প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে তিনি বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৭৫ বছর বয়সি শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ পরপর তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। সব মিলিয়ে চারটি, যা ইন্দিরা গান্ধী বা মার্গারেট থ্যাচারের চেয়েও বেশি। আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচনে জয়ী হবেন বলেও আশা করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রশংসায় ভাসছেন শেখ হাসিনা, বিশ্বজুড়ে চলছে নেতৃত্বের জয়ধ্বনি
সাক্ষাতকারে
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এ দেশটিকে একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে
চাই’।
দুর্নীতি সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করা হলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হয়তো নিচের স্তরে কিছুটা দুর্নীতি আছে। তবে এখন খুব একটা নেই। কেউ যদি
এমনটা করার সাহস করে, তবে আমি ব্যবস্থা নেব।’
সাক্ষাতকারে বিএনপিকে অবৈধভাবে সামরিক শাসক দিয়ে গঠিত দল হিসেবে উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা। পাকিস্তানের সাবেক মিত্র ও দেশের বড় ইসলামী দলটিকে যুদ্ধাপরাধী বলেছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কোনো দল আছে বলে আমরা মনে করি না।’
আরও পড়ুন: প্রাপ্ত কেন্দ্র ১০১ : আজমত ৪৪৯৯৬, জায়েদা ৫৪৩৭৬
ইকোনমিস্টের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- আসন্ন নির্বাচনেও বিএনপির ঘুরে দাঁড়াবার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।
একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা বলেছেন,
শুধু প্রকৃত রাজনৈতিক দলকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া উচিত। বিরোধী দলের এ যোগ্যতা
নেই।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, শক্তহাতে শেখ হাসিনার ক্ষমতা ধরে রাখায় লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। অবকাঠামোগত
বিনিয়োগসহ এমন কিছু নীতি তিনি প্রণয়ন করেছেন, যার মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির গতি বজায় ছিল।
দুর্বল কোনো সরকারের পক্ষে এটা করা হয় তো সম্ভব হতো না।
যুক্তরাষ্ট্র
ও চীনের সম্পর্কের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক তাদের নিজস্ব বিষয়, সেখানে আমি কেন নাক
গলাতে যাব।’
যুক্তরাষ্ট্রের
সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নিজেদের গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দাবি করলেও আমাদের দেশের ক্ষেত্রে তাদের
সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন দেখা যায় না। কেন আমাকে তারা সমর্থন করে না?’
শেখ হাসিনা
বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে অবসরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছেন না তিনি। সরকারের ‘ভিশন-২০৪১’ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শেষপর্যন্ত
দেখতে পাবেন না সেটাও স্বীকার করে দলে তার উত্তরসূরির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যদি না থাকি, তাহলে জানি না
ক্ষমতায় কে আসবে।’