সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ বনাম নেপালের ম্যাচটি
অলিখিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে। তবে দুই দলের সামনে ভিন্ন দুই সমীকরণ। ২০০৫ সালের পর এই
টুর্নামেন্টে আবার ফাইনাল খেলতে গেলে যেখানে জিততেই হবে বাংলাদেশ দলকে, সেখানে জামাল
ভূঁইয়াদের জয় আটকে কোনোরকম ড্র করে ১ পয়েন্ট পেলেই ফাইনালে যাবে নেপাল। ১৬ বছর পর ফাইনালে
উঠার এই লড়াইয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল।
২০১৮ সালে ঢাকা সাফে সেমিফাইনালে খেলার জন্য এমন
সমীকরণ দাঁড়িয়েছিল। তখন নেপালের প্রয়োজন ছিল জয় আর বাংলাদেশের ড্র। বাংলাদেশ সেই কাঙ্ক্ষিত
ড্র আদায় করতে পারেনি। উল্টো হেরে টুর্নামেন্ট থেকে টানা চতুর্থবারের মতো গ্রুপ পর্ব
থেকে বিদায় নেয়। এবার সেই ক্ষততে প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশ দলের সামনে। মালদ্বীপের
রাজধানী মালেতে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
নেপালের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ফাইনাল নিশ্চিত
করতে বাংলাদেশ দলের কোচ অস্কার ব্রুজন আগের ম্যাচের একাদশ থেকে চারজন পরিবর্তন করেছেন।
বাংলাদেশ নেপালের সর্বশেষ লড়াইয়ে নেপাল ২-১ গোলে
জিতেছিল নিজেদের মাঠে। আর সাফের সর্বশেষ তিন ম্যাচে (২০১১, ২০১৩ ও ২০১৮) বাংলাদেশ নেপালের
বিপক্ষে হেরেছে। এবার নেপাল ড্র করলে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলবে আর বাংলাদেশ জিতলে
চতুর্থবারের মতো শিরোপার মঞ্চে থাকবে।
নেপালের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একাদশ: আনিসুর রহমান
জিকো (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, তারিক কাজী, বিশ্বনাথ ঘোষ, টুটল হোসেন বাদশা, জামাল ভূঁইয়া
(অধিনায়ক), ইব্রাহীম, বিপলু, সাদ উদ্দিন, রাকিব হোসেন ও সুমন রেজা।