আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ফেব্রুয়ারির নয় দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৩ কোটি ডলার

প্রকাশিত:রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসের প্রথম নয় দিনে প্রবাসীরা ৬৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৩ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারের মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৩ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১ থেকে ২ ফেব্রুয়ারি দেশে ৭ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে। আর ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত এসেছে ৫৬ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

বিগত ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল গত মাস জানুয়ারিতে। ওই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

নিউজ ট্যাগ: রেমিট্যান্স

আরও খবর
কোনো রকমে বাড়লো সূচক, কমেছে লেনদেন

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অভ্যুত্থানে বিএনপির ১১৭ ও জামায়াতের ৮৭ নেতাকর্মী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে যান। এই আন্দোলনে বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনের অন্তত ১১৭ নেতাকর্মী এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৮৭ নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া অন্যান্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীও জীবন দিয়েছেন শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন উৎখাতে। অভ্যুত্থানকে রাজনৈতিক রূপ না দিতে হতাহত নেতাকর্মীর তালিকা গোপন রাখার কৌশল নিয়েছে দলগুলো। অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা আন্দোলনের সূত্রপাতকারী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বিরোধে না জড়াতেই এ কৌশল বলে জানা গেছে।

জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে জানা যায়, এসব দলগুলোর সূত্রে নিহত নেতাকর্মীর বড় অংশের পরিচয় পাওয়া গেছে। বিএনপি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ছাত্রদলের ৩৪, যুবদলের ৩৫, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৯, শ্রমিক দলের ১৪, কৃষক দলের ৪, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ৬, দক্ষিণ বিএনপির ১২, মৎস্যজীবী দলের ২, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের এক নেতাকর্মীর প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বহু নেতাকর্মী চিকিৎসাধীন থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, শিবিরের নিহত নেতাকর্মীর সংখ্যা অন্তত ৫৩। জামায়াতের ৩৪ জনের প্রাণ গেছে। তীব্র আন্দোলনের প্রথম দিন গত ১৬ জুলাই শিবিরের দুই নেতা নিহত হন। ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ৪ ও ৫ আগস্ট জামায়াত-শিবিরের ৬০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। যদিও দলটি কেউ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানায়নি।

বিএনপি এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের নিহত নেতাকর্মীর বেশির ভাগের প্রাণ গেছে ৪ ও ৫ আগস্ট। যদিও সংখ্যা নিরূপণ করতে পারেনি দলটি। নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের ৯ নেতাকর্মীর জীবন গেছে এই আন্দোলনে।

গণমাধ্যমের হিসাবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৬২৩ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৬৫০। সরকারি হাসপাতালগুলো ৪০৮ জনের লাশ পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে। সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছিলেন, নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে গত ১ জুলাই আন্দোলনের সূত্রপাত করেন ছাত্ররা। আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র আখ্যা দিলেও প্রথম দিকে দল দুটির সরাসরি অংশগ্রহণ ছিল না বলে গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে।

গত ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের রাজাকারের সন্তান আখ্যা দিয়েছেন অভিযোগে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এতে বিক্ষোভ হলে পরের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ।

১৬ জুলাই শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত। সেদিন নিহত হন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম। একই দিনে নিহত দুই শিবির নেতার একজন চট্টগ্রামের এমইএস কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং মহানগর উত্তর শিবিরের সাথি ফয়সাল আহমেদ শান্ত। ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ আলীসহ ছয়জন নিহত হয়েছিলেন।

গণমাধ্যমের হিসাবে ১৮ থেকে ২১ জুলাই এই চার দিনে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের নির্বিচার গুলিতে ২১২ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৬ হাজার। যাদের বড় অংশ ছিলেন গুলিবিদ্ধ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হিসাবে ওই সময়ে ২৬৮ জনের প্রাণ গিয়েছিল। আহত অনেকে পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২১ জুলাই নিহতদের বড় অংশই ছিলেন শিক্ষার্থী, শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষ। সেই সময় প্রাণ হারানোদের ছয়জন বিএনপির এবং পাঁচজন জামায়াতের বলে জানা গিয়েছিল।

দল দুটির সূত্র জানিয়েছে, এত প্রাণহানি এবং শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে ঢালাও ধরপাকড়ে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ সৃষ্টি হলে সর্বাত্মকভাবে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয় বিএনপি ও জামায়াত।

বিএনপির নেতারা জানান, নৈতিক সমর্থন থাকলেও কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া নিয়ে শীর্ষ নেতাদের মতপার্থক্য ছিল। তবে দলের নির্দেশনা ছাড়াই সারাদেশে নেতাকর্মী-সমর্থকরা নিজেরাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশ নেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল ছাত্ররা। এতে স্বৈরাচারের দমনপীড়নে সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছিল। দেশ রক্ষার এ আন্দোলনে বিএনপির তরুণ, যুবকরা দেশপ্রেমে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বহু নেতাকর্মী নিহত এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন।

জামায়াতের এক নেতা জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নিলে ৩১ জুলাই সারাদেশকে ৯ ভাগে ভাগ করে পরিকল্পিত আন্দোলন শুরু হয়। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তখন আর পিছু হটার পথ ছিল না। যে যার জায়গা থেকে খাবার, জনবল, যানবাহন ও চিকিৎসা দিয়ে সহায়তা করেছেন।

জানা গেছে, জেলা, মহানগর ও উপজেলায় হতাহতের তালিকা চেয়েছে বিএনপি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, সারাদেশে ৩৪ নেতাকর্মী নিহতের পাশাপাশি দেড় সহস্রাধিক আহত হয়েছেন। অনেকে এখনও মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন। কেউ অন্ধ হয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন হাত-পা।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, মাগুরা জেলা ছাত্রদল সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি, মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভা শাখার সদস্য সচিব মানিক মিয়া শারিক, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ওয়াসিম আকরাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদল যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান রাসেল, যশোর ছাত্রদল নেতা সাকিবুল হাসান মাহি, তানভীর রাইহান আলিফ ও ইউসুফ আলী, মুন্সীগঞ্জ ছাত্রদল নেতা ফরিদ শেখ, রাজবাড়ী ছাত্রদল নেতা সাগর আহমেদ, হবিগঞ্জ পৌর ছাত্রদল নেতা রিপন চন্দ্র শীল, গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রদল প্রচার সম্পাদক ইসমাইল হোসেন রাব্বি, সূত্রাপুর থানা ছাত্রদল নেতা শাওন, জামালপুর সদরের ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলার সদর পৌর ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ সুমন, ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার ছাত্রদল নেতা সামিম হাওলাদার, ভাটারা থানা ছাত্রদল নেতা মনির হোসেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা ইরফান ভূঁইয়া, ইমতিয়াজ আহমেদ, শেরপুর সদর ৬ নম্বর পাকুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব প্রমুখ।

যুবদলের নেতাকর্মীরা জানান, নিহত ৩৫ নেতাকর্মীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের সবাই পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের গুলি কিংবা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। ঢাকা মহানগর যুবদলের হাফিজুর রহমান, মোসলেহউদ্দিন, ওবায়দুল, সজীব, মহিনউদ্দিন, শাহনেওয়াজ, নবীন তালুকদার, ওয়াসিম শেখ, সাঈদ খান, নাদিম, শামীম হাওলাদার, মহিউদ্দিন বয়াতি, ওমর ফারুক, শিহাবউদ্দিন, মোসলেমউদ্দিন, আরিফ, রিয়াজ, মোসলেমউদ্দিন মিলন, মেরাজুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসাইন, ইমন হাজী, নারায়ণগঞ্জে মুহাম্মদ পারভেজ, মহানগর যুবদল নেতা সাজন, কুমিল্লা দক্ষিণ যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুম, গাজীপুর মহানগরে নুর আলম, রাজশাহীতে আজিজুল হক নিহত হয়েছেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের বিমানবন্দর থানার কর্মী শাহরিয়ার হোসেন আবির ও যুবায়ের হোসেন, দক্ষিণখান থানার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কর্মী মোহাম্মদ সাগর, ভাটারা থানার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনির হোসেন, রূপনগর থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ব্লক ইউনিট সভাপতি মিরাজ, ভাটারা থানার যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন, ঠাকুরগাঁও পৌর সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঠাকুরগাঁও সদরের রহিমানপুর ইউনিয়নে শাহান পারভেজ, কুমিল্লা উত্তর জেলা দেবিদ্বার পৌর যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ নিহত হয়েছেন।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মো. জাহাঙ্গীর, জালাল উদ্দিন, মনির হোসেন, মহানগর উত্তরের আক্তার হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন, মোহাম্মদ আসিফ, মনির হোসেন, মোহাম্মদ সোহাগ, মোহাম্মদ রাজন, পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন বাংলাদেশ-পিজিসিবি শ্রমিক দলের মোহাম্মদ রাকিব, নরসিংদী শ্রমিক দল নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও হৃদয় হাওলাদার, ফরিদপুর শ্রমিক দল নেতা শামছু মোল্লা এবং হবিগঞ্জে মোস্তাক মিয়া নিহত হয়েছেন।

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ডেমরা থানা যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শরীফ, বাড্ডা থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ সুমন, তেজগাঁও থানার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর ইসলাম,  উত্তরা পূর্ব থানার নেতা জাহিদুল ইসলাম সাগরের প্রাণ গেছে। মৎস্যজীবী দলের যাত্রাবাড়ী থানা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হৃদয়, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রুবেল মিয়া ছাড়াও জাসাসের উত্তরা পূর্ব থানার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জসিমউদ্দিনের নাম রয়েছে নিহতের তালিকায়।

শিবির সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের শাকিল পারভেজ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আবদুল্লাহ আল তাহির ও মুহাম্মদ রায়হান, মহানগর পশ্চিমের মাহফুজ হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একরাম হোসেন কাউসার ও মুহাম্মদ এলেম, মডেল ইনস্টিটিউটের মুহাম্মদ নাসির ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মুহাম্মদ আদিল ও সাইয়্যেদ মুনতাসির রহমান, নারায়ণগঞ্জের মুহাম্মদ ইরফান ভূঁইয়া, ভোলা শহরের নাহিদ হাসান, লক্ষ্মীপুর শহরের কাউছার হোসেন বিজয়, সাদ আল আফনান ও ওসমান পাটওয়ারী, পাবনা শহরের জাহিদ হাসান, নাটোর জেলার মিকদাদ হোসেন খান আকিব, ফেনী শহরের ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, ঢাকা জেলা উত্তরের মুহাম্মদ মারুফ হোসাইন ও রিফাত হোসাইন, রাজশাহী মহানগরের আলী রায়হান, গাজীপুর মহানগরের সামিউ আমান, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের মুনতাসির রহমান আলিফ, মাহবুব হাসান মাছুম প্রমুখ। তারা সংগঠনটির কর্মী থেকে সদস্য পর্যায়ের দায়িত্বে ছিলেন। জামায়াতের নেতাকর্মীর মধ্যে রয়েছেন মোতাকিম বিল্লাহ, আব্দুল্লাহ কবির, কবির হোসেন, মোহাম্মদ তাহমিদ প্রমুখ।


আরও খবর



সাভারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বিশেষ প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

দেশে প্রথমবারের মত স্কুল কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলে তাৎক্ষনিক ভাবে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার লক্ষ্যে সাভারে শিক্ষকদের নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ক কর্মশালা প্রশিক্ষণ শুরু হলো।

দুপুরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ প্রশিক্ষণ সেবার উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। এই প্রশিক্ষণে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষকরা অংশ গ্রহণ করেন। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এসময় সিভিল সার্জন বলেন, সাভার উপজেলায় কয়েক লক্ষ মানুষের বসবাস তাই সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে আরও আধুনিক ও হাসপাতালকে একশ শয্যা করার চেষ্টা চলছে।

এসময় সাভার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবু বকর সরকার, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সায়েমুল হুদা সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: সাভার

আরও খবর



জামায়াত-ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সরকারি আদেশ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির কৌসুলি অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) যেহেতু সরকারি ছুটি, সেজন্য কাল মঙ্গলবার এই নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বলে আশা রাখছি।

শিশির মনির বলেন, কেন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলো সেটা আমরা জানি না। মনে করছি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ ফ্যাসিবাদী এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। জামায়াতে ইসলামীও সহযোগী শক্তি হিসাবে ভূমিকা রেখেছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

তিনি বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পরই দলটি নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে মামলা পুনরুজ্জীবনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



নেপালে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৪১, অধিকাংশ ভারতীয়

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নেপালে বাস দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশ ভারতীয়। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসটি উত্তরপ্রদেশ থেকে যাত্রী নিয়ে নেপালে গিয়েছিল। ঘটনার সময় পোখরা থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল বাসটি। পথে তনহুঁ জেলার মারশিয়াংড়ি নদীতে বাসটি পড়ে যায়। তবে কীভাবে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ল তা এখনও জানা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে বাসটি পড়ে থাকতে দেখে কর্তৃপক্ষকে খবর দেন এবং নিজেরাই উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু যাত্রীদের অধিকাংশকেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন জানান, ওই বাসে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। তবে ঠিক কত জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও তাদের হাতে আসেনি। রাজ্য সরকার দিল্লি, নেপালের প্রশাসন ও ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে মরদেহ ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে। পরে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও জানান, নিহতরা নেপালে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে পোখরা শহরের একটি রিসর্টে ছিলেন। সেখান থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন তারা। বাসটিতে উত্তরপ্রদেশের নম্বরপ্লেট ছিল। ভারত দুর্ঘটনার কারণ জানতে চায়। নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে তারা।

এ বিষয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও জানান, তিনি নেপালের বাস দুর্ঘটনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন। মরদেহ দ্রুত সময়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে।


আরও খবর



গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান চৌধুরী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরীকে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

গত ২০ আগস্ট গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদের নিয়োগ চুক্তি বাতিল করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এরপর থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ছিল।

রোববার সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা ফেরদৌসীকে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের নিয়োগ বাতিল করা হয়।

গ্রামীণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক ইকবাল মাহমুদ। এরপর যথাক্রমে মো. কায়সার হোসেন, মো. হারুনুর রশিদ, আকবর আলি খান, অধ্যাপক রেহমান সোবহান, মো. তবারক হোসেন, খন্দকার মোজাম্মেল হক এবং এ কে এম সাইফুল মজিদ এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে খন্দকার মোজাম্মেল হক ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০১১ সালের ১১ মে পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তাকে সরানোর পর নুরজাহান বেগম, মো. শাহজাহান, এ এস এম মহিউদ্দিন, রতন কুমার নাগ, বাবুল সাহা, আবুল খায়ের মো. মনিরুল হক, জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার, মো. আব্দুর রহিম খান এবং মো. মোসলেম উদ্দিন এই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন নূর মোহাম্মদ।


আরও খবর
কোনো রকমে বাড়লো সূচক, কমেছে লেনদেন

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪