আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ফেনীর দুই উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার এ তথ্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

জেলা প্রশাসক বলেন, মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আজকের পরীক্ষা স্থগিতের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। বিষয়টি আমরা তিন বোর্ডকে (সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ও ভোকেশনাল) চিঠির মাধ্যমে অবগত করি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৪টি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়া সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টা থেকে ফুলগাজী বাজারে পানি বাড়ায় ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

এর আগে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ফেনীর ২৫টি কেন্দ্রে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকার তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসন। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর মাঝে এইচএসচিতে ১৩২ জন, অলিমে ৫১ জন ও ভোকেশনালে ২ জন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছর ফেনীর ২৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১১ হাজার ৪৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১ হাজার ৩০১ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ১৮৫ জন।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগে স্থগিত হওয়া চার বিষয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশিত হয়েছে। নতুন রুটিনে এই চার বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে আগামী ১৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষাগুলো আগের রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।

বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের চার জেলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। গত ৩০ জুন ওই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো যথারীতি হবে বলে তখন জানানো হয়। এখন স্থগিত হওয়া চার বিষয়ের পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ করা হলো।

এবার ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখা ৭ লাখ ৫০৯ জন।এবার মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫ টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩ টি।

নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬৬ টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৮৭০টি।

আলিম পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী সংখা ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২ টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫ টি।

এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭ টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮ টি।

গতবছরের তুলনায় ২০২৪ সালে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪ টি, মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি।


আরও খবর



দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে পরিবেশ রক্ষার বিকল্প নাই: বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি বলেছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, প্রবলমাত্রায় ঘনঘন ঝড়বৃষ্টি সহ নানা কারণেই বিশ্বের মানুষ হুমকির মধ্যে রয়েছে। বায়ুদূষণ, শব্দ দূষণ, পানি দূষণ, স্থালভাগ/মাটি দূষণের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তামাক চাষ, ধূমপান, কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়া পরিবেশকে দূষিত করছে। এ অবস্থায় দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে পরিবেশ রক্ষার বিকল্প নাই। ভারসাম্যপূর্ণ সুন্দর পরিবেশই রক্ষা করতে পারে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীকে। তিনি দেশ ও দেশের মানুষকে দূষিত পরিবেশকে বাঁচাতে একযুকে কাজ করার আহবান জানান এবং বেশী বেশী করে গাছ লাগানোর নিদের্শ দেন।

বুধবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও নাজমা পারভীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ রানা, ডিআইজি অফিস সিলেট রেঞ্জ এর পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) হোসাইন মো. আল জুনায়েদ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, সনাক সদস্য, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. আব্দুস শহীদ প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট সিলেটের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল।

অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাংকন, রচনা ও স্লোগান প্রতিয়োগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



রাবি অধ্যাপকের গবেষণায় চার সবজিতে ক্যান্সার প্রতিরোধী ঔষধি গুণের উদ্ভাবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

শাক হিসেবে পালংপাতা বেশ জনপ্রিয়। এর সাথে যখন টমেটো, ধনিয়া পাতা মিশিয়ে সবজি তৈরি করা হয় তখন এটির স্বাদ যেমন বাড়বে তেমনি পুষ্টিউপাদান হাজারগুণে বেড়ে যাবে। পাশাপাশি খাবার তালিকায় লেবু থাকলে এতে যোগ করে ভিন্নমাত্রা। এমনি চার ঔষধি গুণসম্পন্ন ভোজ্য খাবার, যা ক্যান্সারের কোষ সৃষ্টিতে বাধা দেয়। রাবি অধ্যাপকের গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। টমেটো, পালংপাতা, ধনিয়াপাতা এবং লেবুর খোসা ক্যানসার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস, কিডনি রোগ প্রতিরোধকসহ বিভিন্ন রোগের নিরাময় হিসেবে কাজ করে।

একদল গবেষককে সঙ্গে নিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ভোজ্য খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধী ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করে আসছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম খুরশীদ আলম। তাঁর গবেষক দল ড. মো. গোলাম সাদিক, ড. মামুনুর রশীদ, ড. আজিজ আব্দুর রহমান এবং বেশ কিছু ছাত্র মিলে বাংলাদেশের মার্কেটে পাওয়া যায় এমন ভোজ্য খাবারের (Edible Foods) প্রায় ৬৮টি প্রকরণ সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ৩১টি শাকসবজি, ১৭টি ফলমূল এবং ২০টি মসলা ছিল যা নিয়ে গবেষণা করে যাচাই করার চেষ্টা করেন এগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে কোনো ভূমিকা পালন করে কিনা।

এই গবেষণার বিশেষত্ব হলো আলাদা আলাদা কয়েক ধরনের ক্যান্সার কোষ ব্যবহার করা যেমন ফুসফুস, সার্ভিকাল, কিডনি, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি এবং বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন প্রায় সকল ভোজ্য খাবার গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা। আশ্চর্যজনকভাবে ৪টি ভোজ্য খাবারে কার্যকর ভূমিকা পাওয়া যায়, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। গবেষণায় তাঁরা প্রমাণ করেন টমেটো, পালংপাতা, ধনিয়াপাতা এবং লেবুর খোসা ক্যান্সার প্রতিরোধী।

গবেষণাটি ২০২৪ সালে পহেলা জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত 'ক্যান্সার রিসার্চ' (Cancer Research) জার্নালে প্রকাশিত হয়। অপর একটি পর্যালোচনা নিবন্ধে ১১টি ভোজ্য খাবারের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী (boost up) করায় আমেরিকা থেকে প্রকাশিত 'হেলিয়ন' (Heliyon) জার্নালে ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে।

ড. খুরশীদ আলম বলেন, ভোজ্য খাবারের এই উপাদানগুলো শরীরে ২টি মাত্রায় বাড়তি সুরক্ষা দেয় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে। এদের পুষ্টি উপাদানগুলো একদিকে দেহের ইমিওনিটি বুস্ট আপ করে আবার সুস্থ কোষকেও ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। সুস্থ কোষগুলো আশেপাশের ক্যান্সার কোষকে নিধন করতেও সক্ষম হয়। এই খাবারগুলো সহজলভ্য এবং এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সত্যি বলতে এগুলো আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত। অবচেতনভাবে আমরা এগুলো গ্রহণ করে থাকি। আমরা যদি জানতে পারি, কোনগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক, তাহলে সেই অনুযায়ী খাদ্য তালিকা তৈরি করতে পারলে ভোজ্য খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, ক্যান্সার গোটা বিশ্বে অন্যতম মরণব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে এর ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোজ্য খাদ্যসামগ্রী, যেগুলো ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে সেগুলোর সনাক্তকরণ ও সঠিক ব্যবহার আক্রান্তের হারকে অনেকাংশেই কমিয়ে আনতে পারে।

ফার্মেসির অধ্যাপক ড. খুরশীদ আলম উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, ক্যান্সারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বায়োমার্কার অথবা ক্যান্সার ইনিশিয়েটিং সেল (সিআইসি) নির্ণয় করার মতো কোনো যন্ত্র এখনও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি বলে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে ২০ লাখ ক্যান্সার রোগী রয়েছে, যেখানে প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ রোগী নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় যার মধ্যে প্রায় এক লাখ মারা যায়। এছাড়াও ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ মিলিয়ন যা প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন ক্যান্সারে মারা গেছে।

জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের (এনসিআই) দেওয়া তথ্য মতে, বর্তমানে সারা বিশ্বে মৃত্যুর ২য় সর্বোচ্চ কারণ হলো ক্যান্সার এবং ২০৪০ সালের মধ্যে যা ১ম স্থান দখল করবে বলে গবেষকদের ধারণা। বাংলাদেশেও মৃত্যুর ২য় সর্বোচ্চ কারণ হলো ক্যান্সার। অতএব কীভাবে ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটাই এখন সকলের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় এখনি সরকারকে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে এটিকে কীভাবে মোকাবেলা করা যায় সে ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি গবেষকদেরও ক্যান্সার চিকিৎসায় বিকল্প পদ্ধতি বের করার প্রতি জোর দিতে হবে। এই সব চিন্তা মাথায় রেখেই ড. খুরশীদ আলম ও তাঁর গবেষক দল প্রমাণ করলেন সবজির মধ্যেই রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ।

এর আগে, ড. খুরশীদ তুঁত ফল, বাকল ও মূল নিয়ে আলাদাভাবে গবেষণা করে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ আবিষ্কার করেন। গবেষণাপত্রটি ২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী বায়োমেড সেন্ট্রাল রিসার্চ নোট। পরে আরেকটি গবেষণা নিয়ে ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী পোলস ওয়ান-এ গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সালে ড. এ এইচ এম খুরশীদ আলম বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন স্বর্ণপদক পান। এছাড়াও তাঁর ৯৪টি গবেষণাপত্র দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: রাজশাহী

আরও খবর



বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নরকে বর্জন করলেন সাংবাদিকরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। যেখানে বাজেট নিয়ে কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বাজেট নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করেছেন সাংবাদিকরা। যেসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টারা। শুধু চুপ করে বসে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

সংবাদ সম্মেলনে কোনো বক্তব্য দেননি গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। যদিও তার কোনো কথা শুনবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন সাংবাদিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। সে জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা কেউ তার বক্তব্য শুনব না। তিনি যেন কোনো বক্তব্য না দেন, সে বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বক্তব্য দিলে আমরা তা বয়কট করব।

এরপর পুরো সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেননি গভর্নর। ব্যাংক নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ অন্যরা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ প্রমুখ।

এর আগে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই বাজেট পেশ করেন।

প্রস্তাবিত এই বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।

দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্বের প্রতিটি দেশে পালিত হয় দিবসটি। দিবসটির মূল লক্ষ্য পরিবেশ দূষণের কারণ ও দূষণ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে বের করা। এ ছাড়া মানুষকে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করে তোলাও এ দিবসের অন্যতম একটি লক্ষ্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা।’

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন উপলক্ষে সরকারিভাবে নেওয়া কর্মসূচি সর্ম্পকে জানাতে গতকাল দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নেওয়া কর্মসূচি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করবেন। পলাশ ও বেলগাছের দুটি চারা রোপণের মাধ্যমে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন তিনি।

তিনি বলেন, শেরেবাংলা নগরের এই পরিবেশ মেলা চলবে ৫ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এবং বৃক্ষমেলা চলবে ৫ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

মন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড কনজারভেশন ২০২৩ ও ২০২৪, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২২ ও ২০২৩ এবং সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠানো হবে।

সাবের চৌধুরী বলেন, দেশের সব জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর একশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শিশু চিত্রাঙ্কন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে পরিবেশ দিবসের তাৎপর্যভিত্তিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে স্মরণিকা ও বুকলেট প্রকাশ করা হবে।

এ ছাড়াও রোপণ করা বৃক্ষের যত্ন বৃদ্ধির জন্য এবারের জাতীয় বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ।’


আরও খবর



বাঘায় আ. লীগরে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫০

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে বাঘায় থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার বাঘা উপজেলার সচেতন নাগরিকের ব্যানারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর কর্মী সমর্থকরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। অপর দিকে একই দিনে বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মানববন্ধনের ডাক দেয় বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকরা উপজেলা চত্বরে জড়ো হলে এরমধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এতে ৫০ জন আহত হন।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলু, আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) কেন্দ্রীয় কার্যকারী কমিটির সদস্য ও জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি, পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম, আবদুল খালেক, জারমান আলী, আশিক হোসেন, সুলতান আলী, ফিরোজ হোসেন, শাহাদত হোসেন, ইশতিয়াক হোসেন, কামাল হোসেনসহ অনন্ত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দিকে পথচারী উজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি পুলিশের টিয়ারসেলে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া আশরাফুল ইসলাম বাবুল ও চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ দুজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিআর শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় বাঘা বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া এমপি শাহরিয়ার আলম গ্রুপ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর অনুসারীরা দেশিয় অস্ত্র হাতে বাঘা বাজারের দুই প্রান্তে অবস্থান নিয়েছিল। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিএইচএ ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, এখানে ১৮ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আরও অনেকেই বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুত্ব হওয়ায় তাদের রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আর যারা ভর্তি রয়েছেন তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি নিয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বাঘ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া বাবুলকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লায়েব উদ্দিন লাভলু ও আক্কাছ আলীর পক্ষে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, কয়েব বছর ধরে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-সম্পাদক অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ক্রেতার দলিল সম্পন্ন করতেন। এ নিয়ে সমিতি ভেঙ্গে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমান কমিটি পেশি শক্তি ব্যবহার করে সমিতির কাজকর্ম চালাতে চায়। আমরা এ সমিতির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ ও অবৈধ কমিটি বাতিল এবং অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করা হলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের পক্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদেক কবীর বলেন, কিছুদিন হলো শাহিনুর রহমান পিন্টুকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। আগে তারাই সমিতি কীভাবে চালাতেন ভাল বলতে পারবেন। তবে সমিতির নিয়মের বাইরে সাবেক সভাপতি চলতে চান। এ নিয়ে একটি পক্ষ মিছিল করার নামে আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর